বিহারী পল্লী
বাংলার মাটিতে ই যেনো পাকিস্থানের একটি অংশ।
একটা সময় ছিলো বিহারীরা নিজেদের মত করে থাকতো। কিন্তু সময় গড়নোর পাশাপাশি তারা অনেক আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে।
আমার চোখের দেখা মোহাম্মদপুর বিহারী পল্লী।
কোনো একটা ব্যাক্তিগত কাজে সেখানে কয়েক ঘন্টা সময় ব্যয় করার সুযোগ হয়েছিলো আমার।
একটা সময় তাদের ব্যাপারে জানার জন্য অনেক কৌতূহলী হয়ে উঠি, কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় খুব একটা জানার সুযোগ হয়নি।
তাদের ভাষা যেমন আলাদা তেমনি আমাদের সব কিছু থেকে ও তারা অন্যরকম তারা আজ ও পাকিস্থানের পতাকা উড়ায় বিহারী পল্লীতে ।
ওই খানে গেলে মনে হবে না বাংলাদেশে আছি আমি।
এক সময় নিজেদের মধ্যে বিয়ে সাদি সীমাবদ্ধ থাকলে ও সেটা আস্তে আস্তে বাঙ্গালীদের সাথে বিয়ে রীতি শুরু হয়ে।
বাংলাদেশ মিশ্র সংস্কৃতির দেশ।
দেশের সুপ্রাচীন ইতিহাসে ভিন্ন ভিন্ন ভাষাগোষ্ঠীর আগমনের প্রমাণ পাওয়া যায়। একসময় বাংলাদেশে উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর ব্যাপক আগমন ঘটে| পুরানো ঢাকা কিংবা দেশের অন্যান্য স্থানে যে বনেদী মুসলমান পরিবারগুলো ছিল তারা নানা কারণে আরবি এবং ফার্সির পাশাপাশি উর্দু চর্চা করত। তাদের পারিবারিক ও সামাজিক পরিমণ্ডলের ভাষাও ছিল উর্দু। ব্রিটিশ শাসনামলের শেষ দশকগুলোতে ব্রিটিশ প্রশাসনের অধীনে কাজ করার জন্য অনেক উর্দু ভাষাভাষী তৎকালীন পূর্ব বাংলায় আসে। তাদের মধ্যে এক বিশাল অংশ ছিল বিহার থেকে আগত যারা প্রধানত রেল, পুলিশ, বিচার ব্যবস্থা ও অন্যান্য বেসামরিক পদগুলোতে যোগ দিয়েছিল।
১৯৭১ সালে বাস্তুহারা বিহারীরা যারা মোহাম্মদপুরের রাস্তা, মসজিদ, স্কুলে অবস্থানরত ছিল। এটি বর্তমানে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ৪৫ নং ওয়ার্ডের অধীনে অবস্থিত।
আজ কাল শুনা যায় এরা দেশের অনেক অপরাধ এর সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত।
এই দেশ টা কে তারা এখন ও নিজের দেশ বলে মেনে নিতে পারি নি।
সরকার ও কিছু একটা বলে না।
তারা কখন ও বিদুৎ বিল দিতে হয় না। পানি বিল ও না।
ঢাকাতে অন্য কোথাও চাপ-কল আছে কিনা জানি না কিন্তু আমি মোহাম্মদপুর বিহারী ক্যাম্প এ দেখেছি তারা সেই সুবিধা পাচ্ছে।
কখন ও কখন ও মনে হয় আমাদের থেকে তারা অনেক বেশী সুবিধা পায় এই ঢাকা সিটি তে।
জেনেভা ক্যাম্প নামে পরিচিত এই মোহাম্মদপুর বিহারী পল্লী ।
মোহাম্মদপুর ছাড়া ও বাংলাদেশে আর ও অনেক যায়গায় বিহারী ক্যাম্প আছে চট্রগ্রাম, রংপুর সৈয়দপুর এ আছে আমার জানামতে।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।