আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিজে নিজেই পিসির সংযোজন-২

লাইভ ওয়েব টিভি এর ব্লগ

Click This Link এই পর্বের বাকি অংশ নিচে দেওয়া হইলো। কীবোর্ড ও মাউস : ইনপুট ডিভাইসগুলোর মাঝে এই দুটি খুবই জনপ্রিয় ডাটা ইনপুট করা মাধ্যম। বাজারে সাধারণ কীবোর্ড এবং মাল্টিমিডিয়া কীবোর্ড পাওয়া যায়। মাল্টিমিডিয়া কীবোর্ডে অতিরিক্ত কিছু বাটন থাকে যার সাহায্যে অনেক কাজ করা যায়, যেমন- মিউজিক প্লেয়ার চালু করা, চলমান গানকে থামানো, গান পরিবর্তন করা, ভলিউম বাড়ানো বা কমানো, ওয়েব ব্রাউজার চালু করা, সরাসরি বাটন চেপে মাই কমপিউটার বা মাই ডকুমেন্টে যাওয়া, সার্চ অপশন আনা, ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা ইত্যাদি। বাংলা টাইপ করার জন্য রয়েছে বাটনে বাংলা অক্ষর সাজানো কীবোর্ড।

A-আকৃতিতে বাটন সাজানো কীবোর্ডও বাজারে পাওয়া যায়, এর সুবিধা হচ্ছে এতে টাইপ করার সময় হাতের কব্জির ওপরে চাপ কম পড়ে, তাই দীর্ঘক্ষণ টাইপ করলেও তেমন কোনো সমস্যা হয় না। বাজারে নিচে বল লাগানো মাউসের দেখা পাওয়া মুশকিল। সবখানেই ছেয়ে আছে অপটিক্যাল মাউস। নানারঙের বাহারি এই মাউসগুলো ইউএসবি বা পিএস/২ পোর্টের হয়ে থাকে। কিছু পাওয়া যায় তারবিহীন, তবে তার দাম বেশি।

বেশি বাটনযুক্ত কিছু মাউস রয়েছে, যা দিয়ে অফিসের কাজে কিছুটা সাহায্য হয় এবং গেম খেলার সময় অনেক কাজ খুব সহজেই করা যায়। গেমিং মাউসগুলোর দাম একটু বেশিই, তাও যারা গেমার তাদের জন্য এই মাউসই উত্তম। ইউপিএস : ইউপিএস (UPS-Uninterrupted Power Supply)-এর কাজ হচ্ছে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর কিছু সময়ের জন্য কমপিউটারকে সচল রাখা। আপনার কমপিউটার সিস্টেম যত শক্তিশালী হবে আপনার তত বেশি ওয়াটের ইউপিএস লাগবে। CRT মনিটরগুলো বেশি বিদ্যুৎ অপচয় করে, তাই তার জন্য ন্যূনতম ৬৫০ ওয়াটের ইউপিএস ব্যবহারের চেষ্টা করুন।

বাজার যাচাই করে ভালো ব্র্যান্ডের ইউপিএস কিনুন। ভালোমানের জিনিস পেতে টাকা একটু খরচ করতেই হবে। যত বেশি ওয়াটের ইউপিএস হবে তত বেশি সময় আপনি লোডশেডিংয়ের সময় কমপিউটারের জন্য বিদ্যুতের ব্যাকআপ পাবেন। স্পিকার : জোরালো প্রাণবন্ত শব্দে গান বাজানোর জন্য চাই ভালোমানের স্পিকার। ডিজিটাল স্পিকারগুলোর শব্দ অনেক নিখুঁত ও জোরালো হয় কিন্তু তাদের দাম বেশি।

বাজারে অনেক ডিজাইনের স্পিকার পাওয়া যায়। তাই নিজের পছন্দের মডেলের স্পিকার কিনুন, তবে তা কত ওয়াটের এবং কতটুকু জোরালো শব্দ করতে পারে তা দেখে নিন। বড় হলেই তা বেশি জোরালো হবে তা নয়, ছোট আকারের ভালো কোম্পানির স্পিকারের ক্ষমতাও অনেক বেশি। ওয়াট যত বেশি হবে শব্দের তীব্রতা তত বেশি হবে। বাজারে ২.১, ৪.১, ৫.১, ৭.১ এমনকি ১৬.১ স্পিকারও পাওয়া যায়।

হোম থিয়েটারের জন্যও রয়েছে বিশেষ ধরনের কিছু স্পিকার। যারা সাধারণ ব্যবহারকারী তাদের জন্য সাধারণ দুটি স্পিকারের সেট বা ২.১ স্পিকারই ভালো। আরো কিছু আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি উপরে আলোচিত হার্ডওয়্যারের বাইরে আপনি যদি প্রিন্টার, স্ক্যানার, পেনড্রাইভ কিনতে চান, তবে তার জন্যও কিছু বলা উচিত। প্রিন্টার কেনার সময় কোন ধরনের কিনবেন তা আগে আপনাকে পছন্দ করতে হবে। বাজারে ডট মেট্রিক্স, ইঙ্কজেট, লেজার, থার্মাল প্রিন্টার পাওয়া যায়।

কিন্তু বাসায় ব্যবহারের জন্য ইঙ্কজেট প্রিন্টার খুবই কম দামে পাবেন। এছাড়া কালির খরচও বেশ সাশ্রয়ী। প্রিন্টার কেনার সময় প্রিন্টারের আউটপুট ডিপিআই (ডট পার ইঞ্চি), ফটো প্রিন্টিং অপশন ও মিনিটে কয়টি পেজ প্রিন্ট করতে পারে সেগুলো যাচাই করে তারপর কিনতে হবে। এছাড়া স্ক্যানার কিনতে হলেও এর ডিপিআই ও রেজ্যুলেশন সাপোর্ট দেখে কিনতে হবে। পেনড্রাইভ কিনতে চাইলে মেমরি স্পেস, মডেল, ডাটা ট্রান্সফারের গতি ও ওয়ারেন্টি দেখে কিনতে হবে।

শেষ কথা পরিশেষে বলা যায়, সব যন্ত্রাংশ কেনার পর দেখে নিতে হবে সব যন্ত্রাংশের ক্রয়রসিদ ঠিকভাবে আছে কিনা। অনেক ক্ষেত্রে রসিদটিই আপনার কেনা পণ্যের ওয়ারেন্টি বহন করবে। হার্ডওয়্যার অ্যাসেম্বলিং নিয়ে চলতি সংখ্যায়ই রয়েছে আরেকটি প্রতিবেদন। সেখানে জানা যাবে নিজে নিজে কমপিউটারের যন্ত্রাংশ সংযোজন করে কিভাবে নিজেই গড়ে তুলতে পারবেন নিজের কমপিউটার । আর হ্যাঁ পিসির যত্নের খাতিরে ভালো স্থানে তা রাখুন এবং পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ পায় এমন ব্যবস্থা করুন।

সস্তার দুরবস্থা তাই সস্তা দরের মাল্টিপ্লাগ বা পাওয়ার স্টিকের বদলে ভালো ও দামীগুলো ব্যবহার করুন। এতে আপনার পিসি নষ্ট হবার ঝুঁকি অনেকাংশে কমাতে পারবেন। আশা করি এ প্রতিবেদন আপনাদের নতুন পিসি কেনার ক্ষেত্রে একটি গাইড বই হিসেবে কাজ করতে সক্ষম হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.