বিষয় : অন্তঃকরন
একজন অবিবাহিত তরুনের নানারকম সমস্যায় পড়তে হয়। আমি নিজে এই শ্রেনী ভুক্ত কি না, তাই নিজের গরজেই অবিবাহিত তরুনদের পে ঢোল বাজাচ্ছি। শুরুতেই এক অভাগা অবিবাহিত যুবকের গল্প শুনি। অবিবাহিত তরুন কক্সবাজার বেড়াতে এসে এক হোটেলে ওঠেছে। তার ঠিক পাশের রুমেই উঠেছে পাশের নব দম্পতি।
সম্ভবত মধুচন্দ্রিমায় এসেছে। তো রাতে সেই অবিবাহিত তরুন পাশের রুম থেকে নব দম্পতির কথাবার্তা শুনতে পাচ্ছিল। স্বামী বলছে, আজ তোমাকে রাতভর দেখবো, আহা! সত্যি কত সুন্দর তুমি! ইশ্বর যেন নিজের হাতে তোমাকে তৈরি করেছেন। তোমার ঠোট যেন গোলাপের পাপড়ি, তোমার চোখ যেন সমুদ্রের জলরাশি, তোমার চুল যেন.....! ইস! এখন যদি একজন ভাস্কর পেতাম....... তবে মুর্তি বানিয়ে রাখতাম!’ ঠিক এমন সময় নব দম্পতির ঘরের দরজায় টোকা পড়ল। বিরক্ত স্বামী চিৎকার করল, কে? বাইরে থেকে অবিবাহিত তরুনের গলা শুনা গেল, আমি ভাস্কর, মুর্তি বানাই।
নিখুত এর গ্যারান্টিসহ এইরকম মূর্তি বানানোর গোপন আশা লালন করে না এমন একটা অবিবাহিত তরুন খুজে পাওয়া দুস্কর। অবিবাহিত তরুনদের বিভিন্ন সমস্যা ছাড়াও পড়তে হয় খপ্পরে। এই টাইপের তরুনরা ফোনে পড়ার কথা বললেও আশেপাশের সকলে ভাবে হয়ত পীরিতের আলাপ চালাচ্ছে। আবার উপযুক্ত মেয়ে আছে এমন আত্মীয় স্বজন এর বাড়িতে গেলে আত্মীয়রা নিজেদেরকে অনিরাপদ অনিরাপদ ভাবেন। তবে অন্যান্যদের ফিলিংস যাই হোক না কেন, অবিবাহিত তরুনরা কিন্তু সামাজিক, মানসিক ও পারিবারিকভাবে নানান কায়দায় নির্যারিত হয়।
সবেেত্রই এদের খাটো করে দেখা হয়। বহুদিন চুটিয়ে প্রেম করার পর প্রেমিকটি প্রেমিকার বাবার সাথে দেখা করল। মুখোমুখি হয়ে অনেক ঢোক গিলে আমতা আমতা করে বলল দেখুন আপনার মেয়ে নিপার সাথে আমি গত দশ বছর যাবত প্রেম করছি।
-তা আমি কী করবো? প্রেমিকার বাবা খানিকটা বিরক্ত হয়ে জবাব দিল। তখন প্রেমিক বললো, ‘না মানে, আমি নিপাকে বিয়ে করতে চাই।
’
শুনে প্রেমিকার বাবা বাংলার পয়ত্রিশ নাম্বার হাসি দিয়ে বললো, ‘ওহ’ তাই বলো! আমি ভেবেছিলাম তুমি বুঝি এই দশ বছরের পেনশন চাইতে এসেছো!
আরেক তরুন ঠিক এমনিই দশ বছর প্রেম করে প্রেমিকার বাবার কাছে এসে অনেক আমতা আমতা করে বললো, আমি আপনার মেয়েকে বিয়ে করতে চাই।
প্রেমিকার বাবা ভাবলেশহীন ভাবে সরাসরি বললেন, আমার মেয়ের সাথে ফস্টি নস্টি করার এই-ই হলো উপযুক্ত শাস্তি। অন্য কথায় আসি। হালের তরুনরা একটা প্রেমেই সন্তুষ্ট থাকে না। তাদের ধারনা সারাজীবন কেবল একজনকেই ভালবাসার অর্থ হলো, জীবনে কেবল একটি বাতিই জ্বলতে থাকবে।
ওই বাতি ফিউজ তো সব ফিউজ। তবুও ছেলেরা পারে না নারীরা অন্তঃকরন খুজে বের করতে। কেননা বাস্তবিক নারীরা অন্তঃকরন এতই ছোট যে কেউ কেউ মনে করে নারীদের কোন অন্তঃকরনই নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।