আমরা জানতাম আমরা পৃথিবীর মূলধারায় নেই।
আমরা যা ভাবছি তা অনেক আগেই ভাবা হয়ে গেছে, হয়েছে চূড়ান্ত বিকশিত।
আমরা যা তৈরির জন্যে প্রাণপাত করছি তা তৈরি হয়েছে শতাব্দী আগে।
আমরা শিখেছি,শিখছি বিলুপ্ত ,অপাঙক্তেয়, অপ্রয়োজনীয় বিদ্যা।
তবু এখানে আমরা শিখছি সেটাই, অস্বাভাবিক নিষ্ঠার সাথে।
বিলুপ্ত বিদ্যার-ও এখানে প্রয়োগহীন কদর যেহেতু ,এবং নির্বোধ অভিবাদন ও আপ্লুত শ্রদ্ধা-র লোভে,কিছু সময়োচিত সুবিধা করে নেবার সম্ভাবনাতেও।
কাগুজে বিদ্যার সুবিধাজনিত ফলাফলে আমরা কেউ কেউ হয়তো ঘোরাতে পারি কর্তৃত্বের স্থানীয় ছড়ি,তবু এখানে আমরা,সকল সুবিধাবাজ,নিশ্চিত জানি আমরা পৃথিবীর মূলধারায় নেই,কখনো ছিলাম না। আমরা কোটি কোটি পতঙ্গ মানুষ, আমাদের ছাড়াও পৃথিবীর বেশ চলে যাবে ।
নাসা অভিযান চালাবে দূরতর মহাকাশে, সার্ন খুঁজে পাবে সৃষ্টির ভৌত নকশা, জৈবিক মানুষ হবে আরও উন্নত,হাজারতলা দালান হবে, শিল্প আরও শিল্পিত হবে,উত্তরাধুনিক সাহিত্যে আসবে নতুনতর ধারা।
আমরা তখনও এমনকি সাইকেল বানাতে শিখব না, আমাদের সকল দালান ভেঙ্গে পড়তে থাকবে,আমাদের শিল্প হবে চূড়ান্ত আবর্জনা,আমাদের সাহিত্য পাবে না আধুনিকতারও ছোয়াঁ।
আমরা আরো পেছনে ফিরতে থাকব। আমাদের আদর্শ হবে মধ্যযুগ। আমরা বিশ্বাস করব মরুজ ও আরণ্যিক ভ্রাণ্তিতে।
এখানকার আমরা একদিন হঠাৎ বিলুপ্ত হলে দৈনন্দিন পৃথিবী হয়তো খানিক বিচলিত হবে, পরিচিত যে কোন প্রাণীর মৃত্যুতে আমরা যেমন হই। পৃথিবীর বদলে যাওয়াতে এটা আনবেনা এতটুকু বদল।
আমরা অনেকেই জানতাম,আমরা নিশ্চিত জানি, আমরা শুধুই বেঁচে থাকার জন্যে বেঁচে আছি,চূড়ান্ত বিলুপ্তির আগে কয়েকটা দিন,যেটা না জানলেও আমাদের বেশ চলে যেত,যেমন চলে যাচ্ছে অনেকেরই,চমৎকারভাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।