গতকাল শ্রদ্ধেয় প্রয়াত লেখক শহীদুল জহিরের বই কেনার উদ্দেশ্যে আজিজ মার্কেটে 'পাঠক সমাবেশ' এর স্টলে যাই। একটু তাড়াহুড়োর মধ্যে ছিলাম কেননা পরীক্ষা দিয়ে ডিপার্টমেন্ট থেকে বের হয়ে হেঁটে শাহবাগ গিয়ে আবার দ্রুত ডিপার্টমেন্টে ফেরার তাড়া ছিল অ্যাসাইনমেন্টের কাজের জন্য। তো পাঠক সমাবেশে গিয়ে শহীদুল জহিরের বই চাইতে তার একটি গল্পগ্রন্থ আর একটি উপন্যাসের সমগ্র বের করে দিল। আমি কিনতে উদ্যত হওয়ায় বিক্রেতা ক্যালকুলেটর টিপে আমাকে দুটি বইয়ের মোট দাম বলল ৫৪৮টাকা। আমি জিজ্ঞস করলাম আরেকটু কম টম হবে কিনা? উনি বলল, না ভাই কমিয়েই তো দিলাম।
যাই হোক, বই খুলে আর দাম দেখা হল না। টাকা দিয়ে দ্রুত ডিপার্টমেন্টে ফিরে এলাম। এরপর সারাদিন বিভিন্ন কাজে বাইরে দৌড়াদৌড়ি করে রাতে বাসায় ফিরে ব্যাগ খুলে আর বইগুলো দেখা হয় নি। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে বই খুলে দেখলাম প্রতিটি বইয়ের মূল্য ২৭৫ টাকা অর্থাৎ দুটি বইয়ের মোট মূল্য ৫৫০ টাকা। ভাবলাম এরা কি বইয়ে ডিসকাউন্ট দেয় না? তাহলে আবার দু' টাকা কম রাখল কীসের ভিত্তিতে? যাই হোক দশটার দিকে পাঠক সমাবেশে ফোন করে জানতে চাইলাম শহীদুল জহিরের বইগুলোর দাম কত? ওপাশ থেকে বলল যে প্রতিটি ২৭৫ টাকা।
এরপর জিজ্ঞেস করলাম আপনারা ডিসকাউন্ট কত শতাংশ দেন? উনি বলল, এমনি কিনলে ১৫% আর পাইকারি কিনলে ৩০%। যাই হোক ফোন রেখে চিন্তা করলাম আমাকে কোন রশিদও তারা দেয়নি। ১৫% ডিসকাউন্ট দিলে বই দু'টির মূল্য দাঁড়ায় ৪৬৭.৫০ টাকা। এখন প্রশ্ন হল যে সেই দোকানি আমাকে দুই টাকা ছাড় দিল কী হিসেবে? এটা কি তাহলে পাঠক সমাবেশে কর্মচারীর প্রতারণা করার একটা নিজস্ব স্টাইল? তারা এটা যদি মালিকের নির্দেশে না করে এবং ক্যাশ মেমো ছাড়া বই বিক্রি করে তাহলে তারা দোকান মালিক এবং ক্রেতা উভয়ের সাথেই প্রতারণা করছে। আমারও ভুল হয়েছে তাড়াহুড়ো করে দাম না দেখেই বই কেনাটা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।