আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
নারায়ণগঞ্জে ২০টি বাস ভাঙচুর করার প্রতিবাদে গতকাল বাস মালিক সমিতি ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রোডে দুপুর পর্যন্ত সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখে
শামীম ওসমান সমর্থক বাস মালিকদের ডাকে নারায়ণগঞ্জে পরিবহন ধর্মঘট পালিত
নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমান সমর্থক বাস-মিনিবাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বানে গতকাল নারায়ণগঞ্জে পরিবহন ধর্মঘট পালিত হয়েছে। এমপি কবরীর লোকজন বাস ভাঙচুর করেছে এ অভিযোগে তারা ধর্মঘট পালন করেন। ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলাকালীন যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অন্য দিকে এমপি কবরী, পৌর মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, শামীম ওসমান রাইফেল ক্লাবে বসে এমপি কবরীর গাড়ি বহরে হামলার নেতৃত্ব দেন।
আওয়ামী লীগের ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গত মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ (ফতুল্লা)-৪ আসনের এমপি সারাহ বেগম কবরীর নেতৃত্বে র্যালি নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার সময় বেলা ২টায় সন্ত্রাসীরা চাষাঢ়ায় গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে ১০-১২টি গাড়ি ভাঙচুর করে।
সন্ত্রাসীরা র্যালিটি পণ্ড করতে চাষাঢ়া রেলক্রসিংয়ের গেট ফেলে রাখে। শামীম ওসমান সমর্থক নারায়ণগঞ্জ বাস-মিনিবাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ অভিযোগ করে বলে, কবরী এমপি’র লোকজন বাসে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। এর প্রতিবাদে তারা গতকাল বুধবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করে। তবে ধর্মঘট উপেক্ষা করে গতকাল সকাল ৭টা পর্যন্ত বাস চলাচল করে। পরে শামীম ওসমান সমর্থক বাস মালিকদের বাধার কারণে নারায়ণগঞ্জ থেকে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ফলে নারায়ণগঞ্জ থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী হাজার হাজার বাসযাত্রী অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মুখে পড়েন।
অন্য দিকে এমপি কবরী, পৌর মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালিতে অংশ নিতে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি সারাহ বেগম কবরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী গাড়িবহর নিয়ে যাচ্ছিলেন। ঢাকায় যাওয়ার পথে গাড়িবহরকে বিভিন্ন স্পটে বাধা দেয়া হয়। চাষাঢ়া রেলক্রসিংয়ে গেট ফেলে রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। পাশাপাশি সড়কের ওপর এলোপাতাড়ি গাড়ি রেখে পরিকল্পিতভাবে যানজট সৃষ্টি করা হয়।
এক পর্যায়ে গাড়িবহরে হামলা করে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এর সবকিছুই করা হয়েছে একটি বিশেষ পরিবারের ইন্ধনে। সকাল থেকেই শামীম ওসমান রাইফেল ক্লাবে বসে থেকে এসব বিশৃঙ্খলার নেতৃত্ব দেন। শামীম ওসমানের লোক মোক্তারের সেকেন্ড ইন কমান্ড টাক্কু পলাশের নেতৃত্বে গাড়ি ভাঙা হয়। যার ভিডিও ফুটেজ আছে।
অথচ গাড়ি ভাঙচুরের দোষ চাপানো হচ্ছে সারাহ বেগম কবরীর লোকজনের ওপর। যাদের বিরুদ্ধে গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তারাই আবার অর্ধবেলা ধর্মঘট ডেকেছে। শামীম ওসমানের পরামর্শে চেঙ্গিস ও মোক্তার ধর্মঘট করেছে। ধর্মঘট ডেকে হাজার হাজার যাত্রীকে দুর্ভোগের মধ্যে ফেলা হয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে শামীম ওসমান অবস্থান নিয়ে কী প্রমাণ করতে চান? সেটা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানতে চায়।
নারায়ণগঞ্জ থানার ওসি আক্তারের সামনেই বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটিয়েছে সন্ত্রাসীরা। কিন্তু ওসি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরিবহন ধর্মঘট রোধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা মনে করছি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যাতে ঢাকায় শেখ হাসিনার অনুষ্ঠানে যোগদান করতে না পারে সে জন্য পূর্বপরিকল্পিতভাবে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।