কাঙাল জানিয়া বাবা দিও দরিশন, অধম জানিয়া বাবা দিও দরিশন.....
জাতীয় সংসদের পাশে পায়চারী করছিলাম হাটতে হাটতে জাতীয় সংসদের প্রধান গেটে উপস্থিত । সেখানে উপস্থিত নিরাপত্তা কর্মী আমাকে দেখে খুব উচ্চস্বরে বলতে লাগলো আরে ব্লগার হামীম সাহেব আপনি এখানে কি করছেন।
আমি তো আশ্চর্য আমাকে চিনলো কেমনে। সে ব্লগিং টগিং করে মনে হয়। আমি তার পাশে গেলাম।
সে বলল আরে ভাই আপনি তো দেশের অনেক বড় বড় সমস্যার সমাধান করে দিচ্ছেন। যা বড় বড় মন্ত্রী সাংসদরা ও করতে পারছেন না। আপনার ব্লগিং এর জন্য জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে বসে থাকে। কখন আপনার লিখা আসবে। শুধু তাই না।
সাংসদ চিফ হুইপ থেকে শুরু করে অনেক মন্ত্রীরা পর্যন্ত আপনার লিখা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে।
আমি মনে মনে তার কথায় গর্ববোধ করি। আর ভাবতে থাকি তার কোন প্রতিকার বা প্রমাণ তো আমি পাই নাই। তবে আশ্বস্ত হই এই কথা ভেবে যে কোথাও না কোথাও পরিবর্তন তো হচ্ছে মানূষের মনজগতে পরিবর্তন হইলে হইতেও পারে।
তাকে প্রশ্ন করি তুমি এতো জানো কি করে।
সে নাকি চীপ হুইপের নিরাপত্তায় ছিল। তাই জানে। সে বলতে লাগলো স্যার চলেন চীফ হুইপের অফিসে। দেখবেন কি কান্ড। আমি মনে মনে ভয় পাই না জানি কি ঝামেলায় পড়লাম।
প্রায় জোড় করেই আমাকে চীফ হুইপের অফিসে নিয়ে গেল। সেখানে তাজ্জব ব্যাপার আমাকে যে দেখে সেই চেনে। পররাষ্ট্রমন্ত্রি থেকে শুরু করে প্রায় ডজন খানেক মন্ত্রী চীপ হুইপের অফিসে বসা। তারা সবাই আমার ব্লগিং পড়েছে। এবং এই গঠনমূলক ব্লগিং সমালোচনা তাদের কর্মজীবনে অনেক কাজে লেগেছে।
আমি মনে মনে ভাবলাম যদি তাই হয় তাদের কোন নড়াচড়া তো দেখি নাই। যদি জানতাম তাহলে আশ্বস্ত হয়ে আরো মনযোগ সহকারে গঠনমূলক আলোচনা লিখতে পারতাম। তারা সংসদে উপকৃত হলো আর আমি সাধারন ব্লগার সাধারন রয়ে গেলাম। যাই হোক সবার সাথে কুশল বিনিময় হলো। আমার লিখা তাদের মন্ত্রনালয়গুলোতে বাস্তবসম্মতভাবে প্রয়োগ হচ্ছে বলে আশ্বস্ত করলেন।
এবং ভালো ব্লগিং করার জন্যে অনুপ্রেরনা দিলেন।
চীপ হুইপ সাহেব বললেন চলো প্রধানমন্ত্রীর কার্য্যালয়ে। আমি বললাম খাইছে আমারে আমি একজন সাধারন ব্লগার আমাকে নিয়ে টানাটানি কেন । চীপ হুইপ সাহেব জোড় করে আমাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিয়ে গেলেন। প্রধানমন্ত্রীকে সালাম দিয়ে ঢুকলাম এবং চীপ হুইপ আমাকে ব্লগার হামীম হিসাবে পরিচয় করিয়ে দিলেন।
প্রধানমন্ত্রী আমাকে বললেন তিনি নাকি ভালো ভালো গঠনমূলক ব্লগারদের লিখা পড়েন। তিনি আমার লিখা গুলো পড়েছেন। তার সেই কথা শুনে আমি আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়লাম। নিজেকে সত্যিই অধম মনে হলো। আরো কত ভালো লিখা লিখতে পারতাম।
তাড়াহুড়া করে কত আজে বাজে লিখাও লিখেছি।
তিনি আমাকে একলক্ষ টাকার একটা চেক ভালো লিখার উপহার স্বরুপ অনুদান হিসাবে দিলেন। আমি বললাম যদিও আমার টাকার বিশেষ প্রয়োজন তবুও আপনি যে আমার লিখা পড়েছেন তাতেই আমি খুশি। আমি আপনার কাছে চির কৃতজ্ঞ এবং আমরা ব্লগাররা ভালো ভালো লিখা লিখতে চেষ্টা করে যাবো।
ঠিক তখনি গ্লাস ভাঙ্গা শব্দে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল।
আমার ছোট মেয়েটি পানি খাওয়ার সময় তার হাত থেকে পড়ে গ্লাস টি ভেঙ্গে যায়।
আর আমি ভাবি ইহা সত্য আমরা ব্লগাররা কখনো সরকারের বন্ধু হতে পারবো না। কঠিন সমালোচনায় আমাদের উপর নেমে আসতে পারে নির্মমতা বা শিকার হতে পারি আক্রোশের। তবুও
দেশকে ভালোবেসে সবাই ব্লগিং করে যাবো। কখনো একটি ভালো লিখা সরকারের ভিতর পরিবর্তন সাধিত হতে পারে।
একটু পড়েই একজন ক্রেতা আসবে আমার কম্পিউটারের দাম ঠিক করতে। হারিয়ে যাবে জীবনের দায়ের কাছে আমার ব্লগিং জীবন । হয়তো একদিন অনেকেই হারিয়ে যাবে।
সবাইকে ধন্যবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।