ফেসবুক আইডি:নাই
কুকুরে ছাগল কামড়ানোর জের ধরে গাংনীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকরা একে অপরের ওপর হামলা চালিয়ে অন্তত ৩০ জনকে জখম করেছে। এ হামলা ঠেকাতে গিয়ে পুলিশও আহত হয়েছে। উপজেলার বাওট গ্রামে গতকাল সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
গত ১২ জুন বাওট গ্রামের দুই প্রতিবেশী নজরুল ও মতিয়ারের মধ্যে কুকুরে ছাগল কামড়ানো নিয়ে বাক-বিতন্ডা হয়। এরপর বিএনপি সমর্থক নজরুল তার লোকজন নিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থক মতিয়ারের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
এ সময় মারপিটে মতিয়ারসহ ৪ জন জখম হন। পরে মতিয়ার বাদী হয়ে গাংনী থানায় নজরুল গংয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার জের ধরে গত রোববার রাতে পুলিশ ওই মামলার আসামি নুরুল ও ভুটানকে গ্রেফতার করে। এরপর পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে ওঠে এবং নজরুল গং নতুন করে হামলার প্রস্তুতি নেয়। এ খবর পেয়ে মতিয়ারের লোকজনও পাল্টা প্রস্তুতি নেয়।
পরদিন গতকাল উভয়পক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। একপর্যায়ে পুলিশ ও র্যাব সংঘর্ষ থামাতে গেলে তারাও হামলার শিকার হয়। হামলায় কুমারিডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের এসআই আশরাফ, কনস্টেবল মিনহাজ, বাওট গ্রামের আওয়ামী লীগ সমর্থক মিজানুর, হান্নান, নিয়ামত, ডাবলু, মিন্টু, পাঞ্জাব, লাল্টু, আব্দুল এবং বিএনপি সমর্থক সুকজান, রেখা, বিলকিস, মুরশিদা, ফজিলা, মোস্তফা, সাথী, আশিক, রওশনারা, ভিলা, রাহেলা, শাকিব, জিয়াসহ অনন্ত ৩০ জন আহত হন।
এরপর ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান, র্যাব-৬ গাংনী ক্যাম্প কমান্ডার এএসপি শেখ জাহিদুল ইসলাম, গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহরাব আলী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহতদের গাংনী ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।