উন্মাদ খুলির পৃষ্ঠাগুলি
পর্যটকের স্বগতোক্তি
নষ্ট ফলের ঘ্রাণ মুছে দেবতাহীন জঙ্গলে সন্তর্পণে খুলে দিচ্ছি
অস্থি জ্বরের কালো বাধন, অজস্র পাতার তারায় ঝলমল করছে স্মৃতি চিহ্ন
কফিনের পেরেকবিদ্ধ অনুভব থেকে নিঃসৃত পায়রাদের পালকে
গেঁথে যাচ্ছে প্রণয়ের অন্ধকূপ।
অসংখ্য ডানার শব্দস্তূপে পৃথিবীর সমস্ত ফুলের কঙ্কাল আর সন্দেহ
সংখ্যাহীন মেঘের টুকরোতে খুলে ফেলছে
মুখোশ বল্লম, স্পর্শের রজনী মুগ্ধপথের কাঁটা সরিয়ে
উন্মুক্ত দ্বারের খিড়কিতে লিখে রাখছে রুমাল বিক্রেতার শোক।
সমস্ত পাখিদের নকশাপঞ্জির ম্যাপে রোদ্দুর আর
মধ্যরাতের অবিশ্বস্ত খুরের আর্তনাদ খুঁজে ফেরে হারানো পেন্সিল
আমাদের গুপ্ত বাসনার সিল দেখে
রাতজাগা অসফল সঙ্গম মুহূর্তগুলি চিনে নেই পাহাড়ের চূড়া।
কাননবালার রূপ
বুড়োবটের হলুদ পাতায় ভরে উঠছে শহর
শুকনো শিরার মধ্যে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে কচি কাঁচা গৃহহীন শিশুদের দল
প্রকৃতপক্ষে কোন ডাকবাক্সই আর খালি নেই, ভুলেভালে
ভরা কাঁপা কাঁপা হাতগুলো ক্ষয়িষ্ণু ইটের ফাঁকে বিলি করছে ভুল ঠিকানা
তন্ময় উরুর স্লেটে বিবৃত পাখার আওয়াজ
ক্ষীণকণ্ঠস্বরে ড্রেন ভরে তুলছে যেসব নতুন চশমা আর বেঢপ পাজামা
তাদের পিতৃগৃহে মৌচাকের পাশে পড়ে আছে জায়নামাজ
বস্তুত ডাকপিয়নের হাড়ের ছুরি উইঢিবির দিকচিহ্ন কোনদিনও চিনবেনা
মুখের ভিতর কষ আর আইচক্রিমের ঠাণ্ডা নিয়ে এরা হর্ষ-উন্মাদের
ঘামে ভেজা দেওয়ালে ঝুলে থাকে, দেখাচ্ছে সানন্দে দাঁত, জিহ্বা
লকলকে লোল আর লালায় ভরতি এদের সীমানা
তবুও মরা চোখের ভিতর গড়ে তুলছে কেউ কেউ কপোতাক্ষ নদ
কাননবালার রূপ খুঁড়ে বৃক্ষ আর লতাগুল্মের শরীরে লেপটানো নিঃশব্দের
হরিৎ স্ফূরণ ভেঙে কেউ কেউ যেতে চাই আরো গভীরতর মহিষের শিঙে
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।