পথে নেমেছি; পথই আমায় পথ দেখাবে।
টানা তিনদিনের ছুটি পেয়ে সারা দেশ থেকে হাজার হাজার পর্যটক ছুটে এসেছে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে।
বান্দরবানে মেঘলায় রয়েছে দুটি ঝুলন্ত সেতু। যা দেশের অন্য কোথাও নেই। মেঘলায় আরো রয়েছে মিনি সাফারী পার্ক, শিশু পার্ক, প্রাকৃতিক লেক, চিড়িয়াখানা, চা বাগানসহ পর্যটকের মন ভোলানো সমস্ত আয়োজন।
এছাড়াও নীলাচল যেখানে পাহাড়ের সাথে আকাশ মিতালী গড়েছে। স্পটটিতে প্রয়োজনীয় তেমন সুবিধা না থাকলেও দেশি-বিদেশি যে কোন পর্যটক স্পটটিতে গিয়ে মুগ্ধ হতে বাধ্য। এ জেলায় রয়েছে দেশের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ বিজয়, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ ক্যাওক্রাডংসহ অসংখ্য পাহাড়। রয়েছে বাংলার দার্জিলিং খ্যাত চিম্বুক। যেখানে অনায়াসে মেঘের ছোঁয়া পাওয়া যায়।
এছাড়াও রিজুক ঝর্ণা নিজস্ব গতিতে সব মৌসুমেই থাকে সচল। শহরের অদূরে শৈলপ্রপাতের স্বচ্ছ পানি বয়ে চলছে অবিরাম ধারায়। এছাড়াও পুলপাড়ায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের স্বর্ণ জাদি জেলার পর্যটনের ক্ষেত্রে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। সব মিলিয়ে পর্যটকের মন জয়ের সবকিছুই আছে এখানে। এছাড়াও এই জেলায় মারমা, ত্রিপুরা, মুরং, বম, তঞ্চঙ্গ্যা, খুমি, খেয়াং, পাঙ্খো, চাকমা, চাক, লুসাইসহ ১৩টি আদিবাসী সম্প্রদায় বসবাস করে।
দেশের অন্য কোন জেলায় এতো আদিবাসীর বসত নেই। আদিবাসীদের বৈচিত্র্যময় জীবন চিত্র মানুষের মনকে উৎফুল্ল করে তোলে।
এছাড়াও যারা কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত দেখেছেন তার বিপরীত চিত্র পাহাড়ের সমুদ্র দেখতে হলে তাকে অবশ্যই বান্দরবানে আসতে হবে পর্যটন স্পট নীলাচলে। এ এক অপরূপ দৃশ্য। পাহাড়ের পর পাহাড় দিগন্ত জোড়া আকাশের সাথে মিশে সৃষ্টি করেছে পাহাড়ি সমুদ্রের।
বান্দরবানের যে দিকে চোখ যায় দেখা মিলবে এ পাহাড়ী সমুদ্রের।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।