অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা
মানুষের চেহারা দেখতে আমার খুব একটা খারাপ লাগে না, আমি মানুষের মুখ দেখি নিয়মিত, মুখ কিংবা শরীরের ভঙ্গী দেখে একটা পূর্বানুমানও করে ফেলি, আগে দর্শনধারী পরে গুনবিচারী প্রবাদটা নেহায়েত ফেলনা নয়। বরং আমার ক্ষেত্রে অনেক বেশী যুৎসই।
হঠাৎ হঠাৎই কারো কারো ভঙ্গি দেখে পছন্দ হয়ে যায়, তাকে ভালো কিংবা সরল মনে হয়, এবং এই মনে হওয়াটা দীর্ঘস্থায়ী একটা ছাপ রেখে যায় আমার ভেতরে, এবং একই রকম ভাবে শুধুমাত্র চেহারা আর শরীরের ভাষা আমার পছন্দ হয় নি বলে অনেক নির্বিবাদী ভালোমানুষকেও আমি পছন্দ করতে পারি নি।
আমার পছন্দ- অপছন্দ হয়তো তেমন তীব্র নয়, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিষয়টা ম্যানিয়ার মতো হয়ে যায়। তাই রাস্তায় যেকোনো লোককে দেখে ভালো না লাগলে মনে হয় শালার বেটা একটা দুই নাম্বার জোচ্চোর, আবার কাউকে দেখে মনে হয় সাধুসন্ত।
আমার উপর তলায় এক পরিবার থাকে, মা এবং মেয়েকে দেখলে মনে হয় যমজ বোন। আমি প্রায় ৩ মাস ধরে দেখেও হঠাৎ করে ঠাওর করতে পারি না কোনটা মা কোনটা মেয়ে। এমন কি তারা যে আলাদা দুজন ব্যক্তি এটা আবিস্কার করলাম কয়েক দিন আগেই, যখন দুজনকে একসাথে দেখলাম তখন। উচ্চতা, শরীরের গঠন এমনকে পোশাক পর্যন্ত একই রকম। পারিবারিক সংস্কৃতি বোধ হয় এর নাম।
টিভিতে নিয়মিতই দেখি সাহারা খাতুনকে, আমাদের জাঁদরেল সরাষ্ট্র মন্ত্রী, তার নিজস্ব একটা স্টাইল আছে, চশমা এবং পোশাকের, কিন্তু তাকে দেখলেই আমার প্রথমে মনে হয়, যদি হঠাট করে চশমাটা খুলে যায় সেটার সাথে বোধ হয় মহিলার নাকটাও চলে আসবে। আমি ঠিক জানি না কেনো, আমার মনে হয় সাহারা খাতুনের চশমার সাথে নাকটা অতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে।
বিএনপির মহাসচিব খন্দকার দেলওয়ার হোসেনকে দেখলাম আজ অনেক দিন পরে, মাতাল বেচারার পায়জামা কেলেংকারী দেখবার পর থেকেই আমার বেচারাকে দেখলেই হাসি পায়, মনে হয় এই বুঝি খুলে গেলো, তবে ইদানিং দেলোয়ার সচেতন, বসে বসেই বক্তৃতা দেয়, ক্যামেরার সামনে ওয়ারড্রোব ম্যালফাংশনের সুযোগ নেই,
লর্ড অফ দ্যা রিংসের সম্পূর্ণ ছবিটাই মানুষের লালসার উপরে, মানুষের লোভ বিশেষত ক্ষমতার লোভ মানুষকে অন্ধ করে দেয়, তাদের মনুষ্যত্বকে বিকৃত করে তাদের পশুর আকৃতি দিয়ে দেয়। সেই যাদুর আংটি, যার দখল নেওয়ার জন্য বন্ধু বন্ধুকে খুন করে, এবং আংটির অভিশাপে তার চেহারা বিকৃত হয়ে যায় , সেই ছবিটাই ইদানিং দেখি খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মুখে।
তার মহাসচিব পদ আঁকড়ে রাখবার লোভ তার চেহারায় প্রকট।
এবং যত দিন যাচ্ছে তাকে কাছিম থেকে সেই লর্ড অফ দ্যা রিংসের বন্ধুঘাতী বিকৃত চেহারার মানুষটির মতৈ মনে হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।