আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামাতের কৃষক সংশ্লিষ্ট উইং কর্তৃক ৫ লাখ আমানতকারী প্রতারিত

সুবহানাহু তায়া’লা ওয়ারাআল ওয়ারাই ছুম্মা ওয়ারাআল ওয়ারাই-জ্ঞান ও অনুভূতি যে পর্যন্ত পৌছে, আল্লাহতায়ালার জাতে পাক তার পরে, বরং তারও আরো পরে।

জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ না করলে দেশে ইসলামের বদনাম ঘোচানো যাবে না। শীর্ষক পোস্টের মন্তব্যে শ্রদ্ধেয় ব্লগার জনাব এ (একজন) আলী বলেছেন: View this link সে মোতাবেক উক্ত লিংক-এ গিয়ে দেখি ইংরেজি দৈনিক thedailystar -এর ৭/৭/২০০৭ ইং তারিখে প্রকাশিত একটি সংবাদ যা সকলকেই হতচকিত করবে নিঃসন্দেহে। খবরটি ইংরেজিতে প্রকাশিত বিধায় বুঝে নিতে যথেষ্ট অসুবিধা হয়েছে তথাপি ডিকশনারি ঘেটে খবরটির যে অনুবাদ আমি করতে পেরেছিলাম তাতে জামাতের পুরনো চরিত্র নতুন করে ফুটে উঠেছে। কাঁচা অনুবাদ আর অপটু লেখার ত্রুটি বিচ্যুতি মার্জনা করে আশা করি উৎসাহীগণ মূল বিষয় বস্তুর প্রতি নজর দিবেন ।

খবরটির অনুবাদ এরকমঃ জামাতের কৃষক সংশ্লিষ্ট উইং কর্তৃক ৫ লাখ আমানতকারী প্রতারিত সূত্র জানায় , জামাতে ইসলামী এর কৃষক সংশ্লিষ্ট উইং বাংলাদেশ চাষী কল্যাণ সমিতি ( বিসিকে এস) দেশের ১৭ টির অধিক জেলায় গত এক দশকের অধিক সময় ধরে অবৈধ ব্যাংকিং কার্যক্রমের মাধ্যমে দলের অর্থনৈতিক ফ্রন্ট হিসেবে ভুমিকা পালন করে আসছিল অথচ যা কিনা একটি এনজিও রূপে নিবন্ধিত। ১/১১ এর পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের ফলে এনজিও টি তাদের অফিস বন্ধ করে দেয় এবং ১৯৯৭ হতে গ্রাহকদের নিকট হতে ডিপোজিট, স্পেশাল ডিপোজিট স্কীত এবং বিনিয়োগের উপর ঋনের বিপরীতে সংগৃহিত বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করে। গোপনে দলের অর্থনৈতিক কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য বিসিকে এস ব্যবসা অবৈধভাবে জামাতের সমর্থকদের নিকট বিক্রি করে দেয়া হয়। ভিন্ন মতাবলম্বী বিসিকে এস কর্মকর্তারা, জড়িত জামাত নের্তৃবৃন্দ এবং প্রতারনার শিকার ব্যক্তিগণ জানান, আত্মসাৎকৃত অর্থের প্রকৃত পরিমান যথাযথ তদন্ত ছাড়া নির্নয় সম্ভব নয়। তথাপি তারা জানান ২৫ লাখ গ্রাহকের নিকট হতে সংগৃহিত মোট অর্থের পরিমান কমপক্ষে ১০০ কোটি হবে।

সূত্র আরো জানায় রাজশাহী বিভাগের ৭ টি বিসিকে এস শাখার প্রত্যেকটি বার্ষিক প্রায় আড়াইকোটি টাকা আয় করে এবং এনজিও স্টাফ গণ প্রারম্ভ লগ্ন হতেই এই অর্থ আত্মসাতের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একটি বিরাট অংশ এ প্রতারণার প্রতিবাদে চাকুরি এবং দল উভয় হতেই ইস্তফা দিয়েছেন যারা একই সাথে জামাত ও এর ফ্রন্ট উইংসমূহের সদস্য ছিলেন। জামাত কর্মীদের হুমকির মুখে বেশ কিছু দলত্যাগী কর্মচারী পলাতক রয়েছে। বিসিকেএস এর ফিল্ড ওয়ার্কার এবং প্রাক্তন ইসলামী ছাত্র শিবির সদস্য রফিকুল ইসলাম গত ১৬ জউন পুঠিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। তিনি বলেন বিসিকে এস এর গোপন তথ্য ফাসের জন্য তাকে মৃত্যুর হুমকি দেয়া হয়েছে।

" আমি কল্পনাও করতে পারি নি যে জামাতের লোকেরা প্রতারনা করছে। ' নাজমুল হক ডেইলি স্টারকে জানান। তিনি ছিলেন জামাতের বাঘা ইউনিটের রোকন এবং বিসিকেএস এর অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর এবং উভয় পদ হতেই গত সেপ্টেম্বর ২০০৭ ইং তারিখে পদত্যাগ করেন। সদস্যরা তাদের লগ্নীকৃত অর্থের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশংকাগ্রস্থ হয়ে উঠেছিল. আমি তাদের এ বলে আস্বস্থ করি যে জামাতেরর লোকেরা প্রতারণা করতে পারে না। জামাতের উপর আমার এতটাই ভরসা ছিল যে, আমি তাদেরকে কথা দেই যে যদি কোনক্রমে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটেই যায়, আমি নিজে তাদের টাকা ফেরৎ দিব।

আমার স্বপ্ন এখন ভঙ্গ হয়েছে। আমি সর্বস্বান্ত হয়েছি নিজ পকেট হতে প্রতারিত গ্রাহকদের অর্থ ফেরৎ দিতে গিয়ে। শুধু নাজমুল নয়, প্রাকক্তন বিসিকেএস এর সুপারভাইজার আমিনুল ইসলাম, ফিল্ড ওয়ার্কার রফিকুল ইসলাম, দামাদি গ্রাম , নামাজ গ্রামের নজরুল ইসলাম, খালিদ এবং আগলা গ্রামের আমিনুলও দল এবং বিসিকেএস দুই ই ত্যাগ করে। এমনকি বিসিকেএস এর কার্যক্রম সম্পর্কে জামাতের একদল নেতাও বিরুপ মনোভাব ব্যক্ত করে। জেলা জামাতের এক্সিকিউটিভ মেম্বার ও চাপাইনবাবগহ্ঞ্জ বিসিকেএস এর প্রেসিডেন্ট রফিকুল ইসলাম বলেন " আমরা জামাতের অর্থ সংক্রান্ত কার্যক্রমে জড়িত থাকার বিপক্ষে.......অনিয়ম আর সুদ সমেত দেনা আদায় আমাদেরকে জনগণের শত্রুতে পরিণত করেছে, " তিনি আরো বলেন, ‌বিসিকেএস বন্ধ ঘোষনা করার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় কমান্ডের নির্দেশে অনুযায়ী নয় বরং আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে হয়েছে।

জামাতের আরেক সদস্য রকিবুল ইসলাম যিনি বিসিকেএস এর রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর এবং পাবনা জেলা প্রেসিডেন্টও একই মত ব্যক্ত করেন। যেভাবে বিসিকেএস এনজিও হয়ে উঠে স্বাধীনতার পূর্বে বিসিকে এস প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাকালীন সহযোগী এবং খূলনা শান্তি কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা আবুল কালাম মুহাম্মদ ইউসুফ ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান চাষীকল্যাণ সমিতির প্রেসিডেন্ট। সূত্র জানায়, বর্তমানে জামাতের আমির রুপে কার্যরত এখনও বিসিকেএস পরিচালনা করেন। জেলা এবং উপজেলা জামাত আমিরগণ বিসিকেএস এর উপদেষ্টা মনোনীত হন।

যাহোক , জুন ১৯৭৭ ইং হতে সূত্রপাত চাষীদের কল্যানের জন্য দেখিয়ে বিসিকেএস সমাজকল্যান অধিদফ্তর হতে সেপ্টেম্বর ১৯৯০ সালে নিবন্ধিত হয়। ১৯৯৭ হতে বিভিন্ন জেলায় এটি ব্যংকিং কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয় এবং জুন ২০০২ সনে সমাজকল্যান মন্ত্রালয় হতে দেশব্যপী বানিজ্য সম্প্রসারণের অনুমোদন লাভ করে। জানুয়ারী ২০০৫ সনে এটি NGO Affairs Bureau (NAB) হতে রেজিস্ট্রেশন ম্যানেজ করে। অর্থণীতিবিদ আবুল বারাকাত "Economics of Fundamentalism" শীর্ষক নিবন্ধে এই বিষয়টি 'কোন রাজনৈতিক দল বা তাদের অঙ্গ সংগঠন সমূহ NAB -এ রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে না' দেশের এই আইনের সাথে সাংঘর্ষিক বলে উল্লেখ করেন NAB Assistant Director (Registration) প্রনব কুমার ঘোষ-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এই রেজিস্ট্রেশনের সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় হতে কোন অবজেকশন দেয়া হয় নি। ।

তবে, নিরাপত্তা-৪ শাখার ডেপুটি সেক্রেটারি মোজাক্খের আলী NAB এর এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। (....দীর্ঘ পোস্ট অনেকেই পছন্দ করেন না বলে তথ্য নির্ভর বাকী অংশটুকু দিলাম না)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.