জানি আমি তোমার দু'চোখ আজ আমাকে খোঁজে না আর পৃথিবীর পরে
গতকাল দেশের বেশ কয়েকটি সংবাদ পত্রে ও কয়েকটি বার্তা সংস্থার সংবাদে দেখলাম, মৌলভীবাজারের এক গৃহবধুকে ১০১ ঘা দোররা মারা হয়েছে অন্য ধর্মের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার অপরাধে।
আমাদের দেশে দোররা মারার ঘটনা আজ নতুন কিছু নয়। কিন্তু অন্য ধর্মের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার অপরাধে দোররা মারা মতো নিন্দনীয় ও বর্বরোচিত ঘটনা আমার মনে হয় এটিই বাংলাদেশে সর্ব প্রথম ঘটনা।
ঘটনাটি এরকম-------------------------
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার শাসন গ্রামে এক গৃহবধূকে (৩৮) ১০১ ঘা দোররা মারা হয়েছে। অন্য ধর্মের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলায় ওই গৃহবধূকে দোররা মারা হয়।
গত ৩১ মে গ্রাম্য সালিশে একজন মৌলবীর ফতোয়ায় স্থানীয় মাতব্বররা ওই গৃহবধূকে এ শাস্তি দেন।
বোনের বাড়িতে যাওয়ার সময় এক গৃহবধু প্রতিবেশী হরেন্দ্র দেবের ছেলে বিকাশ দেবের সঙ্গে পাওনা টাকা নিয়ে কথা বলেন। বিকাশের সঙ্গে কথা বলতে দেখে তাদের গ্রামের এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে মাতব্বরদের জানায়।
গ্রামের মাতব্বররা হিন্দু ছেলের সঙ্গে কথা বলায় ওই বধুর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে বলে বলাবলি শুরু করেন। এবং মাতব্বররা ওই গৃবধুর স্বামীকে চাপ দেন, স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার জন্য।
তারা শর্ত দেয় যদি স্ত্রীকে রাখতে হয় তাহলে সালিশ বৈঠকে তওবা করতে হবে। কিন্তু সালিশ বৈঠকে তওবা না পড়িয়ে পাশ্ববর্তী চকগাঁও গ্রামের বাসিন্দা শাসন গ্রামের মসজিদের ইমাম মৌলবী নুর উদ্দিন দোররা মারার ফতোয়া দেন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন এবং এর মধ্যে কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা চালান বলেও জানান ওই ব্যক্তি।
তিনি অভিযোগ করেন, আইনের আশ্রয় নেওয়ায় গ্রাম্য মাতব্বররা তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল নেতা রাশেদা বেগম বলেন, মহিলাটি তাদের আশ্রয়ে আছেন।
তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন এ আশঙ্কায় তাকে পাহারা দিয়ে রাখতে হচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।