ধুমপানে বিষপান
সামু ব্লগের অসংখ্য ব্লগারকেই আমার কাছে নাস্তিক বলে মনে হয়! আরো কিছু আস্তিক আছে যারা নাস্তিকদের অকট্য যুক্তি তর্ক আর নানা ধরনের নাস্তিক পোষ্ট পড়ে পড়ে আস্তিক আর নাস্তিকের মাঝামাঝি অবস্থায় আছে, ঈমান বড়ই দুর্বল, যেকোন সময় U টার্ন নিতে পারে!! আজকের এই জুম্মার দিনে সকলের ঈমান আক্বিদা যেন আরো মজবুত হয় তাই আমার আজকের এই পোষ্ট:
পবিত্র কুরআন আক্ষরিক অর্থে কোন বিজ্ঞান গ্রন্থ না হলেও কুরআন ও বিজ্ঞানকে আলাদা চোখে দেখার কোন সুযোগ নেই। আজ বিজ্ঞানীরা বলতে বাধ্য হয়েছেন যে, কুরআন শুধু ধর্মগ্রন্থই নয় বরং এটা প্রাচুর্যপূর্ণ বিজ্ঞানের এক মহা উৎসব। আল্লাহর বাণী ও তাই প্রমাণ করে যে,-‘‘ইয়াছিন। বিজ্ঞানময় কুরআনের শপথ’’।
তবে বিজ্ঞানের সূত্র নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে কুরআনের নিজস্ব ভঙ্গিমা রয়েছে।
এটি বৈজ্ঞানিক সূত্রসমূহের মূল প্রতিপাদ্য তুলে ধরে। আর এভাবেই পবিত্র কুরআনে বিজ্ঞানের বিভিন্ন দিক খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।
ডঃ মরিস বুকাইলি তাঁর অধুনা প্রকাশিত ‘‘দি বাইবেল দি কুরআন এন্ড সায়েন্স’’ গ্রন্থে বলেছেন- “পরিশেষে প্রমাণের ভিত্তিতে আমাকে এই স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হয় যে, কুরআনে এমন একটি বক্তব্য নাই- যে বক্তব্যকে বৈজ্ঞানিক বিচারে খন্ডন করা যেতে পারে’’। তবে এটা সত্য যে, বিজ্ঞানের আলোচনা না করলে যেমন কুরআনের প্রকৃত মর্যাদা বোঝা যায় না, তেমনি কুরআনের মহাবানীগুলো গভীরভাবে গবেষণা না করলে বিজ্ঞানের পথও সুগম হয় না। এ জন্যই বিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছেন- Sciene with religion is lame and religion without scinec is blind''
এখন পবিত্র কুরআনে উল্লেখিত বিজ্ঞানসমৃদ্ধ হাজার হাজার বিষয়াবলী থেকে কিছু বিষয় খুব সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।
কুরআন ও জ্যোতির্বিজ্ঞান
বিশ্বের সৃষ্টি সম্পর্কে জ্যোতির্বিদগণ কর্তৃক পদত্ত ব্যাখ্যাটি একটি বিস্ময়কর বিষয়, যা- [Big-Bang theory] হিসেবে সুপরিচিত। যুগ যুগ ধরে জ্যোতির্বিদ্যাগণ কর্তৃক সংগৃহীত পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণমূলক তথ্যের মাধ্যমে এ ধারণাটি সমর্থিত হয়েছে। [Big-Bang theory] অনুসারে প্রাথমিক অবস্থায় পুরো বিশ্বটা একটি বড় পিন্ড আকারে ছিল। তারপর সেখানে একটা বড় বিস্ফোরণ ঘটে, যার ফলে Galaxy তৈরী হয়। পরর্বতীতে এগুলো গ্রহ, তারা, সূর্য, চন্দ্র ইত্যাদিতে পরিণত হয়।
পবিত্র কুরআনে এই [Big-Bang theory]-এর কথাই ১৪০০ বছর পূর্বেই বলে দেয়া হয়েছে এভাবে- ‘‘অবিশ্বাসীরা কি দেখে না যে, আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল। অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম। ’’। (সুরা আম্বিয়া ৩০ আয়াত)। কুরআনের এই আয়াত এবং [Big-Bang theory]এর মধ্যে বিস্ময়কর সাদৃশ্যতা কিছুতেই উপেক্ষণীয় নয়।
কুরআন ও রসায়ন বিজ্ঞান
রসায়ন বিজ্ঞানের মূল উপাদান পানি। পানিকে রসায়ন বিজ্ঞানের প্রাণ বলা হয়। পানির ফরমূলা H2O। পানিই একমাত্র পদার্থ যা জমাটবদ্ধ হলে ওজনে কমে যায়। তাপমাত্রা ও আবহাওয়ার উপর এই পানি বিশেষ প্রভাব ফেলে।
তাপমাত্রার সঙ্গে যদি পানির সুসমন্বয় না থাকত, তাহলে এই পৃথিবীর জীবনধারণের জন্য সম্পূর্ণই অনুপযোগী হতো। রসায়ন বিজ্ঞানের গবেষণার প্রারম্ভেই যে পানি, সেই পানির কথা পবিত্র কুরআনের অসংখ্য জায়গায় বলা হয়েছে- ‘‘আল্লাহ প্রত্যেক প্রাণীকে পানি থেকে অস্তিত্ব দান করেছেন’’ (সুরা নূর ৪৫ আয়াত)।
‘‘অবিশ্বাসীরা কি দেখে না যে, আসমান ও জমিন ছিল মিলিত। আমি তাকে করেছি বিচ্ছিন্ন। আর আমি পানির সাহায্যে সবকিছুকে করেছি জীবন্ত।
(সুরা আম্বিয়া ৩১ আয়াত)
এখান থেকে পরষ্কার বোঝা যাচ্ছে- পানি থেকেই যাবতীয় প্রাণীর সৃষ্টি। বৈজ্ঞানিকেরাও আজ কুরআনের এই বক্তব্যের সাথে একমত হয়ে স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন যে, প্রতিটি রাসায়ননিক ক্রিয়া ও নতুন সৃষ্টির মূল উপাদান এই পানি।
কুরআন ও পদার্থ বিজ্ঞান
অতি পারমাণবিক কণিকার অস্তিত্ব নিয়ে ‘পরমাণুবাদ’ নামে একটি সুপরিচিতি তত্ত্ব ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়েছিল। ডেমোক্রিটাস নামে এক গ্রীক দার্শনিক কর্তৃক এই তত্ত্বটি প্রস্তাবিত হয়েছিল। ডেমোক্রিটাস এবং তার পরবর্তী লোকেরা ধারণা করত যে, পরমাণু হচ্ছে বস্তুর একক।
এটা এমন ক্ষুদ্রতম একক, যা কখনো- বিভাজিত হতে পারে না।
পরমাণু ---------- অপেক্ষা ক্ষুদ্র বা বৃহৎ সব কিছুর ব্যাপারে আল্লাহ সচেতন। সুতরাং এ থেকে প্রমাণীত হয় যে, পরমাণু অপেক্ষা ক্ষুদ্র কোন বস্তুর অস্তিত্ব থাকা সম্ভব। আর এ সত্যটি সম্প্রতি আধুনিক বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে।
কুরআন ও চিকিৎসা বিজ্ঞান
পবিত্র কুরআনে মানুষের রোগ নিরাময়ের কথাও বলা হয়েছে।
এই রোগ নিরাময়ের একটি মাধ্যম হচ্ছে মধু। মৌমাছি বিভিন্ন ফুলের পরাগ রেণু হতে সংগ্রহ করে, তারপর নিজের শরীরের মধ্যে মধু তৈরির পর তা মোমের কোষে মজুদ করে। জনৈক মক্ষিকা তত্ত্ববিধ মৌমাছির কর্ম-পদ্ধতি দেখে অবাক হয়ে বলেছিলেন- How mighty and how majestic are the works and with what a pleasant dread? these swell the soul, মধু যে মৌমাছির পেট থেকে আসে তা মাত্র কয়েক শতবছর পূর্বে মানুষ জানতে পেরেছে। অথচ এ ধ্রুব সত্যটি ১৪০০ বছর পূর্বেই কুরআন বলে দিয়েছে।
‘‘তাদের (মৌমাছি) পেট থেকে বেরিয়ে আসে বিভিন্ন বর্ণের পানীয়।
যাতে রয়েছে মানুষের জন্য রোগমুক্তি। (সুরা নাহল ৬৯ আয়াত)।
এই শ্রেষ্ঠ উপাদান মধু চিকিৎসা বিজ্ঞানে যে আলোড়ন এনে দিয়েছে তা কোন চিকিৎসা বিজ্ঞানী অস্বীকার করতে পারবে না।
চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বলেছেন যে, একমাত্র মধুর ব্যবহারে হাজার হাজার কঠিন রোগ অতি অল্পদিনেই আরোগ্য হয়েছে। তাহলে প্রতীয়মান হয় যে- চিকিৎসা বিজ্ঞানে যে মধুর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম, তা বহু পূর্বেই কুরআন বলে দিয়েছে।
উপসংহারঃ পবিত্র কুরআনের অন্যতম একটি নাম হচ্ছে হিকমাহ। আর হিকমাহ শব্দের অর্থ বিজ্ঞান। কাজেই কুরআন ও বিজ্ঞানের মধ্যে কোন বিরোধ নেই। বরং জ্ঞানের পরিসীমা যেখানে শেষ, বৈজ্ঞানিকের চিন্তাধারা যেখানে স্তব্ধ হয়ে যায় সেখানেই প্রয়োজন হয় এ ঐশী বাণীর। কারণ, বৈজ্ঞানিকের থিওরি বদলায় কিন্তু কুরআনের থিওরি বদলায় না।
কখনো বদলাবেও না। ( সংক্ষেপায়িত)
আসল কথা হইল লেখাটি আমি আজকের দৈনিক ইত্তেফাক থেকে সরাসরি কপি করেছি! এটি কোন এক রচনা প্রতিযোগিতার নির্বাচিত প্রথম লেখা!ভাল লাগল তাই দিলাম! কুরআনের এই সকল বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা নিয়ে আমাদের অবুঝ মনে হাজারো প্রশ্ন! যেকোন প্রশ্ন থাকলে নির্ধিদ্বায় করতে পারেন, নাস্তিক হওয়ার কোন ভয় নাই! !
পুনশ্চ: এইটা কিন্তু কোন রিভার্স খেলা না! আর আমিও কিন্তু নাস্তিক না!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।