মাছগুলো তাকিয়ে থাকে মাছির চোখের দিকে। ভনভন আওয়াজে ঘুরতে থাকে রিকশার প্যাডেল। কে চালায় তা বুঝা যায় না। তবে নেপথ্যে কেউ
নিয়ন্ত্রণ করে হাতের আঙুল , সে বিষয়ে আমরা সম্মত হই। এ পর্যন্ত আমরা
আরো বেশ কিছু বিষয়ে পৌঁছে গেছি ঐক্যমতে।
যত্রতত্র প্রয়োগ না করলেও আমরা সবাই মিথ্যা কথা বলতে জানি, কিংবা আষাঢ়ে নদীর চোখে রাখতে পারি নিজেদের চোখ - এমন বেশ কিছু সত্যকে মেনে নিয়েছি আমরা বেশ আগেই। আরো সম্মত হয়েছি , এখন থেকে বৃষ্টিতে নামতে গেলে বাদ দেবো ছাতার ব্যবহার। কারণ প্রকৃতির মাঝে ভিজে যাওয়ার যে আনন্দ তা পুকুর কিংবা বাথটাবে নেই।
ভিজে যাবার দৃশ্যাবলি স্মরণে এলেই আমার মনে পড়ে যায় সেন্ট্রাল পার্কের সেই স্কেচম্যানটির কথা। যে মাত্র দশ ডলারের বিনিময়ে আমার মুখাবয় এঁকে দিয়ে দিয়ে হেসেছিল উল্লাসের হাসি ।
আর বলেছিল আমার
পূর্বপুরুষ ও নাকি ভিয়েতনামিজ ছিলেন ! লোকটা কেন এমন বললো তা
খুঁজে পেতে কয়েকদিন সময় লেগেছিল আমার। আমার বাস্তুভিটে কোনো
আগ্রাসনের শিকার হয়েছিল কিনা , কিংবা আমার পূর্বপুরুষেরা মোহাজের
হয়ে মাটি বদল করেছিলেন কিনা - এমন কিছু প্রশ্নের জবাব খুঁজেছিলাম আমি। কিন্তু অগ্রজ প্রজন্মের কারো দেখা না পাবার কারণে উত্তরগুলো থেকে গিয়েছিল অমীমাংসীত।
আজ ভোরে দৈনিক কাগজগুলোতে চোখ বুলাতে বুলাতে সেসব প্রশ্নের
কিয়দংশ জবাব পেলাম আমি। আমাদের প্রথম কৃষ্ণাংগ প্রেসিডেন্ট তার
কায়রো ভাষণে মুসলিম নারীনেতৃত্বের প্রশংসা করে বাংলাদেশের নামোজ্জ্বল করেছেন।
না তিনিও , মাছের চোখ নিয়ে মাছির দিকে তাকিয়ে
থাকা সেদেশের ভুখা মানুষগুলোর কোনো প্রশংসাপত্রতে সম্মতি দেন নি।
ছবি- ওলে এইনস
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।