এই ব্লগে মৌলবাদী, রাজাকার এবং জামাত শিবিরের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
গফরগাঁও উপজেলার বারইহাটিরৌহা গ্রামের নূরজাহান আক্তার রোজী নামে এক তরুণীর স্বামীর দায়িত্ব নিতে ৪ তরুণের মামলা-মোকদ্দমা নিয়ে গফরগাঁওয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
বারইহাটিরৌহা গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক নুরুল হুদার মেয়ে নূরজাহান আক্তার রোজী কুমারী পরিচয়ে ৬ মাসের ব্যবধানে ৪ যুবককে বিয়ে করে। উপজেলার নিধিয়ারচর গ্রামের ব্যবসায়ী কামাল হোসেনের সাথে ১ বছর প্রেম করার পর গত বছর ১৪ নভেম্বর গফরগাঁও ইউনিয়নের কাজী অফিসে রেজিস্ট্রিমূলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় নূরজাহান আক্তার রোজী। পরে গত ১৬ মার্চ নূরজাহান আক্তার রোজী তার প্রথম বিয়ে গোপন করে কুমারী পরিচয়ে উপজেলার বিরই গ্রামের কুয়েত ফেরত লুৎফরের সাথে দ্বিতীয়বার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
রোজীর প্রথম স্বামী কামাল হোসেন জানায়, বিবাহের ৩ দিন পরেই নগদ টাকা, স্বর্ণালন্কারসহ প্রায় ২ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায় নূরজাহান রোজী। বিবাহের ২২ দিনের মধ্যে রোজী তার দ্বিতীয় স্বামী লুৎফরের ৯০ হাজার টাকা, স্বর্ণালন্কারসহ পাসপোর্ট, ভিসা, কুয়েত যাওয়ার বিমান টিকেট নিয়ে পালিয়ে যায়। লুৎফর তার স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য ময়মনসিংহ কোর্টে মামলা দায়ের করে। থানা পুলিশ উপজেলার বাশিয়া গ্রামে রোজীর সন্ধান পেয়ে থানায় নিয়ে আসার সময় বাশিয়া গ্রামের তারিফ রোজীকে নিজের স্ত্রী হিসেবে দাবি করে। সে জানায় মে মাসের ২ তারিখে রোজীর সাথে তার রেজিস্ট্রিমূলে বিয়ে হয়েছে।
পূর্বের ২ স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়ে কুমারী পরিচয়ে রোজী তার তৃতীয় স্বামীকে টাংগাব ইউনিয়ন কাজী অফিসে বিয়ে করে। টাংগাব গ্রামের বিজন নামে এক তরুণের সাথে তিন মাস পূর্বে রোজীর আরো একটি বিবাহ হয় বলে জানা গেছে। এসব ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর রোজীর প্রথম স্বামী কামাল উদ্দিন তার স্ত্রীর দাবি নিয়ে থানায় মামলা দায়ের করে। এদিকে ২১ বছরের তরুণী নূরজাহান আক্তার রোজীর স্বামীত্বের দাবি নিয়ে ৪ স্বামীর মামলা মোকদ্দমা ও ইউনিয়ন বোডের্র সালিশ-দরবার নিয়ে উপজেলায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
তথ্যসূত্র: আজকে প্রকাশিত দৈনিক ভোরের ডাক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।