আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চলমান গনজাগরন এবং বিএনপির ভুমিকা প্রসংগে

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি প্রজন্মের জাগরনের সুনির্দিষ্ট দাবী দাওয়াগুলো সরকার মেনে নিয়েছে - এখন দরকার সেইগুলো কার্যকর করার জন্যে আন্তরিক পদক্ষেপ - তার মধ্যে দুইটা বিষয় গুরুত্বপূর্ন মনে করছি - তা হলো ১) জামায়াত শিবিরকে সংগঠন হিসাবে স্বাধীনতা বিরোধী ভূমিকার জন্যে নিষিদ্ধ করা। এই কাজের জন্যে বাচ্চু রাজাকারের রায়ের যে অংশ জামাতের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ভূমিকা নিয়ে কথা বলা হয়েছে - সেই অংশটা ব্যবহার করা সহজ হবে। এই কাজে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রীতার বিষয়টি নজর রাখা দরকার। ২) জামাত-শিবিবের আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে দ্রত ব্যবস্থা গ্রহন করা। জামাত যতটুকু শক্তি অর্জন করেছে আর যে শক্তির জোরে মওদুদ থেকে থেকে জামাতের পক্ষে কথা বলে উঠে তা হলো জামায়াতের অর্থ।

জংগীবাদ আর মৌলবাদের প্রসারের জামাত প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে। সেই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে যথেষ্ঠ দলিল আছে। এখন সময় হয়েছে সেইগুলো ব্যবহার করে জামায়াতের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নিয়ে আসার। মোট কথা - তরুন প্রজন্ম জামাত শিবিরের ৩৫ বছরের অর্জনকে শূণ্যে পৌছে দিয়েছে। অভিনন্দন সকল তরুন প্রজন্মের জন্যে।

তোমাদের কাছে কৃতজ্ঞ হয়ে রইল জাতি। অন্যদিকে জামায়াতের একটিভ পার্টণার বিএনপি অনেকটা প্যারালাইসিস হয়ে যাচ্ছে। তাদের রাস্তায় শক্তি প্রদর্শন বা সমাবেশগুলো সফল করার জন্যে জামাত শিবিরের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলো। জামাত শিবিরের ব্যাক টু দ্যা প্যাভিলিয়ানের দৃশ্য বিএনপি অনেকটাই দিশেহারা। প্রথম কিছুদিন বিএনপির নেতারা চুপ থাকলেও গতকাল থেকে তারা আবার শুরু করেছে তাদের "কিন্তু" "যদি" র খেলা।

গতকাল আব্দুল্লাহ আল নোমান, বিগ্রেডিয়ার হান্নান শাহ আর আসাদুজ্জামান রিপন প্রজন্মের আন্দোলন নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। আজ দেখলাম জয়নুল আবেদিন ফারুক যদি কিন্তু দিয়ে চলমান আন্দোলনের ভিন্ন ডেফিনেশন দিচ্ছেন। বিএনপি মুলত দেওয়ালের লেখাটা পড়তে ব্যর্থ হয়েছে - অথবা ডিনাই করছে। জনমানুষের কাতারে আসতে ব্যর্থ রাজনৈতিক দলগুলো যেমন মুসলিম লীগ, জাসদের ইতিহাসের দিকে তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করবো। দয়া করে জামাতের মৃতদেহটার থেকে নজর সরান।

লাশ টেনে লাভ নেই - জামাত মুলত একটা মৃত সংগঠন - তাকে যথাযথ সৎকারের ব্যবস্থা করার জন্যে অবিলম্বে জামাতের সাথে সম্পৃক্ততা ছিন্ন করার প্রকাশ্য ঘোষনা দিয়ে - যদি কিন্তু ছাড়া প্রজন্মের দাবীর সাথে এক হয়ে যান। নতুবা ইতিহাসের অমোঘ বিধান গুলোর পথেই হেঁটে এক সময় ইতিহাস হয়ে যেতে হবে বিএনপিকেও। একটা কথা মনে রাখা জরুরী - গনতন্ত্রের স্বার্থে একটা দেশে একাধিক শক্তিশালী দল থাকা জরুরী। ইতোমধ্যেই বিএনপি সাংগঠিক এবং লক্ষ্য আর কর্মসূচীকে যথেষ্ঠ অবিবেচনা আর দূর্বলতার পরিচয় দিয়েছে। গনতন্ত্রকামী মানুষ হিসাবে বিএনপির সবল সাংগঠনিক এবং সক্রিয় ইতিবাচক কার্যক্রম দেখতে চাওয়ার বিকল্প নেই।

বিএনপির নেতাকর্মীদের উপলদ্বি করতে হবে - গনজাগরনের বিরুদ্ধে গিয়ে কতিপয় রাজাকারকে বাঁচানোর জন্যে একটা দলকে বিলুপ্তি পথে টেনে নিয়ে যাবেন কি না? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।