আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুফিয়ার কবর চাঁদার টাকায়ঃ ইউনূসের হাতে নোবেল

ফেসবুকে আমারে "বিডি আইডল" নামে সার্চ দিয়া পাওয়া যাবে
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষুদ্রঋণের সাফল্য হিসেবে সারাবিশ্বে তুলে ধরা হয় চট্টগ্রামের ‘জোবরা’ গ্রামের সুফিয়াকে। প্রচার করা হয়, গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ নিয়ে সুফিয়া স্বাবলম্বী হয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে এই সুফিয়া খাতুন চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে মারা যান ১৯৯৮ সালে। গ্রামবাসী চাঁদা তুলে তার দাফনের ব্যবস্থা করে। সুফিয়ার পঞ্চাশোর্ধ্ব অসুস্থ দুই মেয়ে হালিমা ও নূর নাহারের এখন দিন কাটে অর্ধাহারে, অনাহারে।

তবে অনেক অনুরোধের পর ড. ইউনূস তাদের একটি রিকশা দিয়েছেন। সাপ্তাহিক ২০০০-এর চলতি সংখ্যায় এ প্রসঙ্গে ‘সুফিয়ার কবর চাঁদার টাকায়/ইউনূসের হাতে নোবেল’ শিরোনামে আজাদ তালুকদার একটি সরেজমিন প্রতিবেদন করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭৪ সালে ‘জোবরা’ গ্রামের সিকদারপাড়ার অভাবী নারী সুফিয়া খাতুনের হাতে ঋণ হিসাবে প্রথম ২০ টাকা তুলে দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন শিক্ষক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বেশি ঋণের আশ্বাস পেয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই ঋণ পরিশোধ করেন সুফিয়া। নতুন করে ঋণ পান পাঁচশ টাকা।

একসঙ্গে এত টাকা পাওয়ার আনন্দে সুফিয়া সেদিন তা সারা গ্রামে জানিয়ে দেন। এর অল্পদিনের মধ্যে ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের আওতায় চলে আসে পুরো জোবরা গ্রাম। জোবরার ঘরে ঘরে তখন নগদ টাকার উৎসব। কিন্তু সেই আনন্দ মিলিয়ে যেতে বেশিদিন লাগেনি। সুদে-আসলে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন, এলাকা ছেড়েছেন রহিমা ও সায়েরা খাতুনসহ অনেকেই।

আজও জোবরা গ্রামের মানুষদের আক্ষেপ স্বাবলম্বী করার নামে ড. ইউনূসের ‘ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প’ তাদের গরিব থেকে আরো গরিব করেছে। গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ শোধ করতে তারা ‘আশা’র দ্বারস্থ হয়েছেন। আশার টাকা শোধ করতে আবার দ্বারস্থ হয়েছে ‘ব্র্যাক’-এর কাছে। জোবরা গ্রামের অধিবাসী সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া বলেন, "ঋণ-বাণিজ্যের মাধ্যমে সহজ-সরল মানুষকে দারিদ্র্যের চূড়ান্ত পর্যায়ে ঠেলে দেয়ার কারণে ড. ইউনূসের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত"। এদিকে উন্নয়ন মডেল সুফিয়ার পরিবারে এখন প্রকট দারিদ্র্যের চিহ্ন।

মাথা গোঁজার কুঁড়েঘরটি ভেঙে পড়ার অপেক্ষায়। গত বর্ষায় তারা অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নেন। এখনই যদি ঘর মেরামতের ব্যবস্থা করা না যায় তাহলে এই বর্ষায়ও তাদের ভিজতে হবে। সুফিয়ার পরিবার অভিযোগ করে বলেন, বাড়ির যেখানে এমনই দশা সেখানে ড. ইউনূস প্রচার করছেন আমাদের নাকি পাকা বাড়ি আছে। এ প্রসঙ্গে প্রতিবেশী রুকুনুজ্জামান বলেন, অনেকদিন ধরে দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় সুফিয়ার বাড়ির পাশের দোতলা বাড়িটি সুফিয়ার বাড়ি বলে দেখানো হচ্ছে।

গ্রামবাসীর মতো ওই দোতলা বাড়ির মালিক দুবাই প্রবাসী জেবল হোসেনও এতে চরম ক্ষুব্ধ। গ্রামবাসীদের তিনি জানিয়েছেন বাড়ি নিয়ে প্রতারণার দায়ে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। আজকের আমাদের সময় থেকে। ।
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।