স্বপ্নচূড়া ঐ দেখা যায় !!
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের ক্ষুদ্রঋণ এ সাফল্যের জন্য নোবেল পেয়ে আমাদের ধন্য করেছেন এটা পুরনো কথা । তার এই সাফল্যের পেছনে তুলে ধরা হয় চট্টগ্রামের "জোবরা" গ্রামের সুফিয়া বেগম কে ।
প্রচার করা হয় সুফিয়া গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ নিয়ে সুফিয়া খাতুন স্বাবলম্বী হয়েছেন । সুফিয়া ছিল গ্রামীণ ব্যাংকের প্রথম ঋণ গ্রহিতা । ১৯৭৪ সালে জোবরা গ্রামের সিকদার পাড়ার অভাবী নারী সুফিয়া খাতুনের হাতে ঋণ হিসাবে প্রথম ২০ টাকা তুলে দিয়ে ক্ষুদ্রঋণের যাত্রা শুরু করেন তৎকালীন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. ইউনুস ।
বেশি ঋণের আশ্বাস পেয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই ঋণ পরিশোধ করেন সুফিয়া । নতুন করে ঋণ পান ৫০০ টাকা । একসঙ্গে এত টাকা পাওয়ার আনন্দে সুফিয়া সেদিন তা সারা গ্রামে জানিয়ে দেন । এর অল্পদিনের মধ্যে ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের আওতায় চলে আসে পুরো জোবরা গ্রাম । জোবরার ঘরে ঘরে তখন নগদ টাকার আনন্দ ।
কিন্তু সেই আনন্দ মিলিয়ে যেতে বেশিদিন লাগেনি । সুদে আসলে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন অনেকে , এলাকা ছেড়েছেন রহিমাও সায়েরা খাতুন সহ অনেকেই ।
আজও জোবরা গ্রামের মানুষের আক্ষেপ- স্বাবলম্বী করার নামে ড. ইউনুসের " ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প" তাদের গরীব থেকে আরো গরীব করেছে । গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ শোধ করতে তারা "আশা'র দ্বারস্থ হয়েছেন । আশার টাকা শোধ করতে "ব্র্যাক"এর দ্বারস্থ হয়েছেন ।
এভাবে ঋণ বানিজ্যের নামে গরীব দুঃখী , সহজ-সরল গ্রামের মানুষদের কে ঠেলে দেওয়া হয়েছে দারিদ্রের চরম পর্যায়ে ।
আর এদিকে উন্নয়ন মডেল সুফিয়া খাতুন চরম দারিদ্রের মধ্যে বিনা চিকিৎসায় ধুকেঁ ধুঁকে মারা যান ১৯৯৮ সালে । গ্রামবাসী চাঁদা তুলে তার দাফনের ব্যবস্থা করে । সুফিয়ার পঞ্চাশোর্ধ্ব অসুস্থ দুই মেয়ে হালিমা ও নূর নাহারের এখন দিন কাটে অর্ধাহারে , অনাহারে । তবে অনেক অনুরোধের পর গ্রামীন ব্যাংক হতে তাদের একটি রিকশা দেয়া হয়েছিলো ।
বর্তমানে তাদের মাথা গোজাঁর কুঁড়েঘরটি ভেঙ্গে পড়ার অপেক্ষায় । গত বর্ষায় তারা অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নেয় । ঘর মেরামত না হলে এই বর্ষায়ও তাদের ভিজতে হবে ।
অথচ এই সুফিয়া সম্পর্কে প্রচার করা হয়েছে তার নাকি পাকা বাড়ি রয়েছে । প্রকৃত পক্ষে সুফিয়ার বাড়ির পাশে দুবাই প্রবাসী জেবল হোসেনের দোতলা বাড়ি টিকে সুফিয়ার নিজের বাড়ি বলে সারা বিশ্বে প্রচার করা হয়েছে ।
দেশি -বিদেশী মিডিয়া এটিকেই সুফিয়ার বাড়ি হিসেবে প্রচার করে ইউনুসের গুনকীর্তন করেছেন । এ কেমন প্রতারণা ?
জেবল হোসেন ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে প্রতারণার দায়ে মামলা করবেন বলে গ্রামবাসীকে জানিয়েছেন । হয়ত মামলা করলেও ড.ইউনুসের কিছুই হবে ।
কিন্তু আমাদের বিবেক কি ইউনুস কে ক্ষমা করতে পারবে ?
গরীবের রক্ত শুষে জোকেঁর মত ফুলে ফেপেঁ নোবেল মেডেল গলায় দিয়ে ড. ইউনুস কি রাতে ঘুমাতে পারে ?
তথ্য সংগ্রহ - আমাদের সময়, সাপ্তাহিক ২০০০
(বিঃদ্রঃ লেখার শিরোনাম এবং ছবি বিডি আইডল এর একই বিষয়ে পোষ্ট এ সঙ্গে মিলে যাওয়ায় দুঃখিত । অনিচ্ছাকৃত ব্যাপারটার জন্য আন্তরিক ভাবে ব্লগারদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি ।
)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।