সে অনেক আগের কথা। তখন আমরা থাকি কুষ্টিয়া ওয়াপদা কলোনিতে। আমার দুজন বন্ধু ছিল। একজনের নাম ফারুক। আর একজন সাফিন।
১৯৮২ সালের মার্চ মাসে সকাল সাতটায় আরবী পড়ার জন্য মসজিদে গিয়েছি। হঠাঁৎ খবর এলো দেশে মার্শাল ল দিয়েছে হু মো.এরশাদ। তিনি তখন সেনা বাহিনীর প্রধান। ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করার পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছিল। ওই নির্বাচনে বিচারপতি আব্দুস সাত্তার নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তার কাছ থেকে এরশাদ অবৈধভাবে ক্ষমতা কেড়ে নেয়। তখন আমার বয়স মাত্র দশ বছর তাই এত কিছু বুঝতাম না। তবে মার্শাল ল এর খবরে আমাদের হুজুর (যিনি অনেক আগেই মারা গেছেন) তিনি ছুটি দিয়ে দিলেন। আমরা সবাই ভয়ে যার যার বাসায় চলে গেলাম।
বাসায় আসার পর রেডিওতে খবর শুনলাম।
অবশ্য আবার আব্বা খবর শুনছিলেন তার পাশে বসে আমিও শুনলাম। বেশ ভয় লাগছিল। আব্বা বললো সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে। না জানি কি হয়। একটা অন্য রকম অনুভুতি।
এভাবে কয়েকদিন কেটে গেল। আমিও বড় হতে লাগলাম। এরশাদও দেশ চালাচ্ছে। ভাল চালায় না খারাপ চালায় তা বোঝার ক্ষমতা তখন হয়নি। তবে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া আর আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা এই এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলেন।
আমি ১৯৮৮ সালে মুসলিম হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করলাম। ১৯৮৮ সালের শেষ দিকে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হলাম।
১৯৮৯ সালের নভেম্বর মাসে আমার বাবা চাকরি থেকে অবসর নিলেন। তাই সবাই আমাদের জেলা পিরোজপুরে চলে এলাম।
১৯৯০ সালের জুনে এইসএসসি পরীক্ষা দিলাম।
পাশ করলাম। ডিসেম্বরে এরশাদ বিরোধী-------আগামীকাল পরের অংশ লিখবো...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।