আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টিপাই মুখে বাঁধ নির্মাণ বন্ধ কর। সুরমা-কুশিয়ারা মেঘনা রক্ষা কর।বাংলাদেশকে মরুভূমি বানানোর পন্থা রুখে দাঁড়ও।



সুরমা-কুশিয়ারার উজানে বরাক নদীর টিপাই মুখে ভারতকর্তৃক বাঁধ নির্মাণ করে বাংলাদেশকে মরুভূমি বানানোর চক্রান্তেôর প্রতিবাদে আজ ১৩ মে ২০০৯ বিকেল সাড়ে চারটায় মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বাসদ ঢাকা মহানগর সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক কমরেড খালেকুজ্জামান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, কেন্দ্রীয় বর্ধিত ফোরামের সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন। সমাবেশে শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশে খালেকুজ্জামান বলেন, আন্তôর্জাতিক রীতি-নীতি লংঘন করে ভারত একতরফাভাবে একের পর এক বাঁধ নির্মাণ করে যাচ্ছে। ফারাক্কার প্রভাবে উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে দেশের এক-তৃতীয়াংশ আজ মরুকরণ প্রক্রিয়ার শিকার হয়েছে।

তিস্তôার উজানে গজলডোবায় বাঁধসহ ভারত থেকে আসা ৫৪টি নদীর প্রায় সবগুলোতেই বাঁধ দিয়ে পানি প্রত্যাহার করছে। সুরমার উজানে বরাক নদীতে টিপাই মুখ নামক স্থানে বাঁধ দিয়ে জল বিদ্যুৎ প্রকল্প করার মাধ্যমে ভারত সুরমা-কুশিয়ারা-মেঘনাকে বাস্তôবে শুকিয়ে ফেলার বিষয় উপেক্ষা করছে। ফলে উত্তর পূর্বাঞ্চলের ৭টি জেলা সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জসহ সারা দেশে এর এ প্রভাব হবে ভয়াবহ। নদীর নাব্যতা নষ্ট, লবনাক্ততাবৃদ্ধি, বনাঞ্চলসহ পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটবে। আন্তôর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী উজানের দেশ ভাটির দেশের পানি একতরফাভাবে প্রত্যাহার করতে পারে না।

কিন্তু ভারত এর কোন তোয়াক্কা করছে না। তিনি বলেন, ভারত দীর্ঘদিন ধরে টিপাই বাঁধ নির্মাণ প্রচেষ্টা চালালেও বাংলাদেশ সরকার আন্তôর্জাতিক ফোরামে এ বিষয় এখনও উত্থাপন করে নাই। সরকার এখনও নির্বিকার। আন্তôর্জাতিক জনমত গড়ে তুলে দেশের নদী ধ্বংস ও পরিবেশ বিপর্যয় সৃষ্টির এ অশুভ তৎপরতা রম্নখে দাঁড়ানোর জন্য খালেকুজ্জামান সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। একই সাথে সর্বস্তôরের বাম-প্রগতিশীল দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রের আগ্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।