আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন এই অতিরিক্ত বেতন বৃদ্ধি?

ফেসবুক : www.facebook.com/mahmud.sust
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন বৃদ্ধি এখন প্রতি বছরের সাধারন ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর ক্রেডিট ফি বাড়াবেন আর ছাত্ররা শুরু করবে আন্দোলন, ভাঙচুর, অবরোধ। মানছি যে বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়, তাই বলে প্রতি বছর বেতন বৃদ্ধি বা আকাশ ছোয়া বেতন বৃদ্ধি কখনও সমর্থনযোগ্য নয়। সরকারের এখানে কি কিছুই করার নেই? আজকে প্রথম আলো পত্রিকায় একটি নিউজ পড়লাম "নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের অবরোধ, ভাঙচুর"। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে এখন প্রতি ক্রেডিট ৪০০০/= টাকা থেকে বেড়ে ৫৫০০/= টাকা করা হচ্ছে।

অর্থাৎ ক্রেডিট প্রতি বাড়ছে ১৫০০/= টাকা প্রতি সেমিস্টারে ১২ ক্রেডিট থাকলে ১৮০০০/= টাকা এবং বছরে ৩টি সেমিস্টারে অতিরিক্ত দিতে হবে মোট ৫৪০০০/= টাকা.......!! যা একটি পূর্ন সেমিস্টারের ফিসের সমান। শোনার পর আপনাদের কি মনে হচ্ছে জানিনা কিন্তু আমার মাথা পুরা আউলা হয়ে গেছে.... একটা সময় ছিল যখন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি গুলোতে শুধুমাত্র উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা পড়ত। কিন্তু সেই দিন এখন আর নেই। উচ্চ-মধ্যবিত্তর গন্ডি পেরিয়ে এখন মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেরাও প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। যত যাই বলেন, সরকার হাজার হাজার A+ পাওয়া স্টুডেন্ট বের করছে কিন্তু শুধুমাত্র এইসব মেধাবী ছাত্রের জন্যও পর্যাপ্ত সংখ্যক পাবলিক ইউনিভার্সিটির সিট নাই।

তো এরা প্রাইভেটে যাবে না তো কই যাবে? বাবা-মাও চায় তার সন্তানেরা উচ্চশিক্ষিত হোক, কষ্ট করে হলেও পড়াশোনার টাকা যোগার করেন। এখন যদি এসব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলো হঠাৎ করে এত টাকা ফিস বৃদ্ধি করে তবে এদের কি উপায় হবে! এখানে দোষটা কার???? আমাদের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়েও একই ঘটনা ঘটেছে কিছুদিন আগে। নতুন ব্যাচ ভর্তি হবার পর তাদের ক্রেডিট ফি দ্বিগুন করে দেওয়া হয়েছে। আমরা (২০০৪ ব্যাচ) প্রতি ক্রেডিট ফি দেই থিওরি ৪০ টাকা এবং ল্যাব ৭০ টাকা। আর নতুন ব্যাচের জন্য ক্রেডিট ফি করা হয়েছে থিওরি ৮০ টাকা এবং ল্যাব ১৪০ টাকা।

অর্থাৎ গড়ে ২০ ক্রেডিটের একটি সেমিস্টারে বাড়তি দিতে হচ্ছে প্রায় ১০০০ টাকার মত, বছরে ২টি সেমিস্টারে প্রায় ২০০০ টাকা বেশি । এর জন্য ছাত্ররা এক সপ্তাহ ব্যাপি নানা আন্দোলন কর্মসূচি করেছে। আমি এখন ভাবছি যদি তাদের ৫৪০০০/= টাকা বাড়তি দিতে বলা হত তবে তো তারা হার্টফেল করে মারা পড়ত। যাইহোক, বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের উচিৎ এ ব্যাপারে সজাগ হওয়া। ভেবে চিন্তে ফিস বাড়ানো যাতে করে এটি এটি সহনশীল মাত্রায় থাকে।

সরকারও পারে এ ব্যাপারে একটি সুষ্ঠ তদারকি করতে, যাতে করে নীতিমালার বাইরে গিয়ে কেউ বেতন বাড়াতে না পারে।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.