কৃষক blogsaudi@gmail.com
আগের পর্ব
Click This Link
প্রিয় পাঠক,
আপনাদের প্রতি রইলো আমার শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। একদিন খেয়ালের বশে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেম সিরিজটি শুরু করি। আপনাদের ভাললাগা দেখা আমি মুগ্ধ। পাঠক হলো কোন লেখার সঠিক বিচারক।
লেখথে লেখতে খেয়াল করলাম আমি শুধু আমার মনের কথা গুলিই বলতে পারছি।
কিষাণী মনের কথাগুলি ঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তাই কিষাণীর দারস্ত হলাম। সে তার মনের কথাগুলি বলতে রাজী হলো।
এই সিরিজে কৃষক এবং কিষানী দুইজন মানুষ। তারা তাদের স্মৃতিচারন করবে একই নিকে।
দেখুন কাহিনী যায় কোথায়। আশাকরি সঙ্গে থাকবের পূর্বের মতো। ভালো লাগলে জানাবেন খুশী হবো। খারাপ লাগলে বলবেন শুধরে নেবার চেষ্টা করবো।
আপনাদের আবার ধন্যবাদ
কৃষক
কিষাণীর আজকে লিখেছে কিছু কিন্তু বিদ্যুতসমস্যার জন্যে পোষ্ট করতে পারেনি।
অটো ড্রাফটে ছিলো তাই দিয়ে দিলাম -
কিষানী এখনও জানে না।
কিষাণীর আজকে লিখেছেঃ
আঠারো বছর বয়সের একটি মেয়ে যখন পরিবারের শাসন বারণ এর বেড়াজালের গন্ডি পেরিয়ে স্বাধীনতার স্বাদ উপবোগ করার পথে পা রাখলো, তখন তার চোখে মুখে শুধু বিস্ময় আর মুগ্ধতা। অজানাকে জানার আনন্দ।
মেয়েটি চঞ্চল, প্রানোচ্ছল,অস্থির: সিনিয়রদের সাথে বেশ ভাব, বান্ধবীদের সাথে বন্ধুত্বের বাইরেও একটু যেন মাতব্বরী ভাব।
ছেলেটি ভীষণ দুষ্টু, প্রাণবন্ত, উচ্ছল, বোহেমিয়ান এবং অসম্ভব মেধাবী।
সহপাঠি এবং সিনিয়রদের সাথে তার সহজ স্বভাবিক সম্পর্ক। যে কোন কঠিন বিষয় অল্প সময়ে বুঝে যেত। দুষ্টুমি খুনসুটিতে সারা ক্লাশ মাতিয়ে রাখতো। গলা ছেড়ে ভুল সুরে গান গাইতো, চিৎকার করে আবৃত্তি করতো। আঁতেল টাইপের বন্ধুদের নাস্তানাবুদ করতো।
সহজ, সাবলীল, প্রানবন্ত এই ছেলে টি আমার সব কাজের সাথী হয়ে থাকছে এতে আমি খুউব খুশি। এত ভাল ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও মুধুমাত্র অস্থিরতার জন্য তার ভাল রেজাল্ট হতো না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুতে আমার পড়ার চেয়ে ঘুরে বেড়ানোর দিকেই বেশী ঝোঁক। নবীনদের আগমন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখা, নদীর পাড়ে ঘুরে বেড়ানো এসবই হল মূল কাজ। উপরন্তু এখানকার পড়াশোনার স্টাইল SSC, HSC র মত না।
কাজেই ক্লাশের পড়া, assignment, peridical পরীক্ষা র মাথামুন্ডু কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। এহেন অবস্থায় নীরস assignment এর ভুতটিকে নিয়ে আমার যখল বেহাল অবস্থা তখন ত্রাণকর্তার মত আবির্ভৃত হলো বন্ধুটি, যে আমার পাশে বসে ক্লাশ করে, পাশাপাশি রোল। কিভাবে, কোন কাগজে, কোন স্টাইলে assignment করতে হয় আমাকে বুঝিয়ে দিল, বেশ বুঝতে পারলাম ও আমাকে একসাথে assignment করতে না ডাকলে আমার নাকানি চুবানির একশেষ হতো।
আমি তো আকাশের চাঁদ হাতে পেলাম, বুঝলাম সে সিনিয়রদের কছ থেকে এগুলো আগেই জেনে নিয়েছে; উদাসীন আমি যার কিছুই করিনি। আমি কি আর তাকে ছাড়ি, আঠার মত লেগে রইলাম; কে জানতো তাকে ছাড়া আমার আর চলবেই না! শুরু হল আমাদের একসাথে পড়াশোনা।
আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় একটি মেয়ে চাইলেই যা খুশী করতে পারে না। ইচ্ছে মতো একা একা ঘুরতে পারবে না, সমাজের চোখরাঙানী এড়াতে তার অতি অবশ্যই একজন সংগী লাগবে। চোখেমুখে অনাবিল আনন্দ আর বিপুল বিষ্ময় নিয়ে আমি যা দেখতে চাই, উন্মোচন করতে চাই, সে জন্য আমার একজন সাথী লাগবে। আমি বেশ বুঝলাম আমার অতিব ভাল বান্ধবীরা আমার এহেন এডভেন্চার এ কাজে আসবে না। অগত্য...
চলবে....
পরের পর্ব
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।