আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দাওনা মা, মাথায় একটু হাত বুলিয়ে....

বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা, আমরা তোমাদের ভুলবো না...

কতদিন হলো মাকে দেখিনা...আদর করে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় না। মা তুমি, ভালো থেকো..... আমার ক্ষেত্রে বাবার চেয়ে মায়ের সাথেই বন্ধুত্বপুর্ণ সম্পর্ক বেশি জোড়ালো। কিভাবে কিভাবে যেনো ছোটবেলা থেকেই বাবার সাথে কিছুটা দুরত্ব তৈরি হয়ে গেছে, হয়তো বাবার কিছুটা গম্ভীর স্বভাবের কারনে। আমার মতো হয়তো অনকেরই একই অবস্থা। ছোটবেলা থেকেই যত আবদার মায়ের কাছে।

ঈদের জামা, জুতো থেকে শুরু করে ভার্সিটির হাত খরচ পর্যন্ত সবকিছুই চাওয়া মায়ের কাছে। ছোট বেলায় মাঝেমাঝেই কোনো কারনে রাগ অথবা অভিমান হলে, না খেয়ে থাকতাম। মা এসে কত আদর করে, হাত ধরে নিয়ে যেয়ে খাওয়াতেন। যতক্ষন না খেতাম ততক্ষন মাও খেতেন না। খাবার নিয়ে অনেক ঝামেলা করতাম, এটা খাবো না, সেটা খাবো না...মা আবার রান্না করতে বসতেন পছন্দেরর খাবার।

দুঃখ, ক্ষোভ, রাগ, অভিমান, আনন্দ সব অনুভূতি প্রকাশের স্থান এই একজনের ওপর। হাসি মুখে সব সহ্য করতেন। যখন থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকে মার সাথে খারাপ ব্যাবহার না করার চেস্টা করেছি। অনেক সময় না চাইলেও হয়তো বাহিরে কারো সাথে মনকষাকষি হয়েছে, বাসায় আসার পরে মা হয়তো কিছু বললেন তখন তার সাথে ঝাঝের সঙ্গে কথা বলেছি। হয়তো কখনো বলেছেন এই কাজটা করো, সাথে সাথে মুখের উপর বলে দিয়েছি পারবো না।

এমন কত কিছুই না করেছি মায়ের সাথে। তবুও কখনো মুখ ফুটে বলতে পারিনি মা, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও বা মা, তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি...বলা যায়ও না। মুখ ফুটে না বললেও মারা ঠিকই সন্তানের অন্তরের কথা জানেন অথবা বুঝতে পারেন তাদের ব্যবহার এবং আচরনে। বিপদে, দুঃখে, কস্টে মায়ের হাতের স্পর্শ কতখানি যে শান্তির পরশ এনে দেয়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই ভিনদেশে মায়ের অভাবটা খুব বেশি করে অনুভূত হয়।

নিজে এখন মা হবার পরে বুঝি, কি পরিমান কস্ট সহ্য করেন প্রতিটা মা হাসি মুখে। তার দুনিয়াটাই তখন আবর্তিত হতে থাকে সন্তানের হাসি, কান্নায়। দুনিয়ায় অনেক সুসন্তান যেমন আছে তেমন কিছু কুসন্তানও আছে। যারা প্রতিনিয়ত মাকে কস্ট দিয়ে চোখের জল ঝরাচ্ছে। আমার অতি আপনজন এমন এক মা আছেন, যিনি এই বৃদ্ধ বয়সেও কস্ট পাচ্ছেন তার সন্তানের কারনে।

তারপরেও তিনি রোজা রাখেন, দোয়া করেন তাদের মঙ্গলের জন্য....এরই নাম মা। এই মা দিবসে একটাই পার্থনা, কোনো মা যেনো তার সন্তানের জন্য কস্ট পেয়ে চোখের জল না ফেলেন। সেই সব সন্তানদের শুভ বোধের উদয় হোক....।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।