যুদ্ধাপরাধীদের মামলার রায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে মানুষের আকাঙক্ষা বিবেচনায় নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিচারের রায় দেবে ট্রাইব্যুনাল। আইন দেখে তারা চলবেন। তবে মানুষের আশা-আকাঙক্ষা যেনো বিবেচনায় নেয়া হয় সেটা আমাদের অনুরোধ থাকবে। একইসঙ্গে শাহবাগে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংসদের পক্ষ থেকে একাত্মতা ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধ মামলা বিচারের ক্ষেত্রে আইনগত কোন দুর্বলতা থাকলে প্রয়োজনে তা সংশোধন করা হবে। এজন্য সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরিতে সবার সহযোগিতা চাই। রায় যেনো কার্যকর হয় সেজন্য দেশবাসীর সহযোগিতা চাই। গতকাল সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ২৩ মিনিটের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারীরা যেসব শপথ পাঠ করেছে তার প্রতিটি বাক্য অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত।
তাদের শপথ বাস্তবায়নে যা যা করা দরকার আমরা তা করবো।
শাহবাগ আন্দোলনকারীদের দাবী যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের ফাঁসী ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনি পারবেন না যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসী তো দুরের কথা কাঠগড়ায় দাড়করাতে ।
আপনি বলবেন যুদ্ধাপরাধী যা মানবতা বিরোধী অপরাধী ও তা, একেই কথা ।
হ্যা, একেই কথা হতে পারে, কিন্তু ওই যুদ্ধাপরাধীদের বরবরতার কথা শুনলে গায়ের লোম সোজা হয়ে যায় ।
ওরা মুক্ত, ওরা টিভিতে আমাদের আন্দোলন দেখছে ।
প্রধানমন্ত্রী আপনি ট্রাইব্যুনালকে বললেন, মানুষের আকাঙক্ষা বিবেচনায় নেয়ার জন্য ।
হ্যা, ট্রাইব্যুনাল আপনার অনুরোধ বিবেচনায় নিবে, ৭ জনকে ফাঁসী দিবে ।
শাহবাগের দাবী পুরন হবে ।
তার পর কি বলতে পারবেন, ন্যায় বিচার হয়েছে ?
এই প্রজন্মই শেষ প্রজন্ম নয় আরো প্রজন্ম আছে, অপরাধীও তার ন্যায্য ন্যায় বিচার পাওয়ার আধিকার রাখে রাষ্টের কাছে ।
লিন্ক ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।