আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাঁদনি যদি শাড়ী না পড়েই গান গাইতো

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

এমনিতে আমার টিভি দেখা হয় না, এবং আমি আজ সামান্য অবসরে যেটুকু দেখলাম তাতে আনন্দিত যে আমার টিভি দেখার অভ্যাস নেই। দুপুরের আগে আগে মানে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত যা তা অনুষ্ঠান চলতে থাকে বাংলাদেশের ১২ চ্যানেলে। সেখান থেকে ঘুরতে ঘুরতেই বলা যায় পৌঁছালাম বাংলাভিশনে, তারার গান একটা অনুষ্ঠান হচ্ছে- গান গাইছে চাঁদনী, বাপ্পার সাথে মনে হয় কয়েকদিন আগেই বিয়ে হয়েছে ওর। বিয়ের পর আর যাই হোক না কেনো গায়ে গতরে মাশাল্লা ভালোই বেড়েছে মেয়ে, গাইছে- আমায় উদাসী বানাইয়া গেলো বসন্তেরও কালে গো মরার কোকিলে। গানটা প্রথম এবং শেষবার শুনেছিলাম মমতাজের গলায়।

খুব একটা খারাপ লাগে নি, তবে চাঁদনির আর যাই হোক গানের গলা নেই, বাপ্পার সাথে বিয়ে হলে কিংবা বাপ্পার সাথে এক বিছানায় শুলেই যে তার গানের প্রতিভা বিকশিত হবে এমনটা ভাববার কোনো কারণ নেই। সুতরাং তার গানের বদলে আকর্ষণীয় হতে পারতো তার শরীর নাড়ানো, এবং সেটাও তার শাররীক গঠনের কারণে ততটা আকর্ষণীয় হয়ে উঠে নি। আশা করবো এরপরে গান গাওয়ার সময় দর্শকের মনোযোগ আকর্ষণ করতে আরও সংক্ষিপ্ত এবং খোলা মেলা পোশাক পড়বে চাঁদনি। তার পর গাইতে আসলো শারমিন লাকি- খুব একটা খারাপ লাগলো না তার গান। আমি অনেক দিন ধরেই চিন্তা করছি বেবী নাজনীন কেনো গান গায়।

মহিলাকে গান গাইতে শুনলেই আমার অনেক জায়গায় জ্বলা শুরু হয়, এবং পা দুটো অবাধ্য হয়ে উঠে। এলোমেলো বাতাসে উড়িয়েছি শাড়ীর আঁচল গানটির প্রকট বৈশিষ্ঠ্য হলো, এই গানের সবগুলো শব্দের শুরুতেই একটা বাড়তি 'ঁ' আছে। আনুনাসিক গান শুনে বিরক্ত হলেও কিছু করার নেই, তার গান ছিলো দুচোখে ঘুম আসে না তোমাকে দেখার পর- চলতি রাস্তায় একবার গানটা শুনে মনে আছে জ্যামের ভেতরে রিকশা থেকে নেমে হাঁটা ধরেছিলাম। কিন্তু এখন উপরি হিসেবে বেবী নাজনীনের কামনামদির চোখের দৃষ্টি বিভিন্ন ভাবে আড়ে আড়ে চেয়ে প্রলুব্ধ করবার প্রচেষ্টা এবং এই গানের অত্যাচারের পর একটাই কথা মনে আসলো, ঘুম আসে না তো কি হইছে দুরে গিয়া মর মাগি। কানের কাছে যন্ত্রনা করিস না।

একটা সময়ে পল্লব বাংলাদেশের ভালো মডেল ছিলো, তবে দিন দিন ওর ছাগলামী প্রবাদের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। কিংবা সামগ্রীক ভাবে উজবুক সৃষ্টিশীলতাবিহীন বিজ্ঞাপন চিত্র নির্মাতারা বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন বাজারে ঢুকে পড়েছেন। তাদের ন্যুনতম সাধারণ জ্ঞানের অভাব আছে, এমন কি সাধারণ একটা দৃশ্য যা হয়তো মনোরম না হলেও দৃষ্টিতে সহনশীল হতে পারতো, সেটাকে যথেচ্ছা রকমের দৃষ্টিকটু করে তুলতে তাদের বিকল্প নেই। সুতরাং এই ছাগলের বাচ্চা পেছনে পন্ডিতের টিকি ঝুলিয়ে কোমর দুলিয়া যে পণ্যের বিজ্ঞাপন করলো, যদি পল্লব হাতে পায়ে ধরে তাও আমি সেই পণ্য কিনবো না এমনটাই সিদ্ধান্ত নিলাম। বাজার বেড়ে গেলে রামছাগলেরা সবাই গলায় সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে বাণিজ্য করতে নামে।

বাংলাদেশের সংস্কৃতি জগতের সাম্প্রতিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে অবস্থা এরচেয়েও বাজে। এখন চিকা ইঁন্দুর, সবাই সংস্কৃতি জগতে রথিমহারথি হয়ে উঠেছে। একেজনের চেহারা দেখলে রাতে দুঃস্বপ্নে তাদের দেখে হার্ট এটাক হওয়ার সম্ভবনায় ফেলে দেওয়া যায় না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।