যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
পদ্মার ফেরি মানেই বিশাল যজ্ঞ। আগে ছিল আরিচা, এখন হয়েছে পাটুরিয়া। উৎসবের মৌসুমে এখানে লম্বা লাইন লাগে; গ্রীষ্মে ধুলার ঝড়ে মিলেমিশে পুরা কেয়ামত।
বাসট্রাকের ড্রাইভারদের নাকি এই ফেরিতে ওঠার দক্ষতা প্রদর্শন করতে হয় চাকুরী পাকা করতে। শুনেছি ফেরির ড্রাইভার আর ফেরিতে বাস ওঠানোর হেলপাররাও নাকি ওয়াল্র্ড ক্লাস।
একদম নিখুঁত হিসাবে গাড়ী এটে যাবে এদের ইস্ট্রাকশন ফলো করলে।
ফেরিগুলাও মাশাল্লাহ। পাঁচতলা। কেন্টিনে ইলিশ মাছের বন্যা। তবে আমার সবচেয়ে ভাল লাগে একদম টপের বসার জায়গাটা।
সেখান থেকে নদীর দারুন ভিউ।
কিন্তু ফেরিতে উঠতেই যত ঝামেলা। এই মউসুমে নদীর পানি অনেক নিচে নেমে যাওয়ায় রাস্তা কেটে ঢালু করতে হয়েছে।
আরিচা থেকে ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিতে আগে ঘন্টা দুই সময় লাগতো। এখন পোনে এক ঘন্টায় পৌঁছে যাওয়া যায় অন্য পাড়ে।
নদীর মাঝে নদী এখন। এত বিশাল চর যে মনেই হয় না এ-ও নদী। প্রমত্তা পদ্মার সেই যৌবনের ছিটেফোটা কেবল বর্ষায় দেখা যায় অথবা বন্যায়। চর ডুবে তখন আবার আরেক মসিবত - যত্রতত্র আটকে থাকে ফেরি। দৌলতদিয়ার যেখানে ফেরি ভেড়ে একশ বছর আগে সেটা ছিল মাঝ নদী।
তখন পদ্মার পশ্চিম পাড় ছিল গোয়ালন্দে। ঢাকা থেকে কোলকাতা যেতে হলে নারায়নগঞ্জ থেকে স্টিমারে করে গোয়ালন্দে যেতে হতো। সেখান থেকে ছাড়তো কোলকাতা যাবার ঢাকা মেইল। এখন পদ্মার মাঝখানে এত বিশাল বিশাল চর যে ভবিষ্যতে হয়তো আর ব্রীজ তৈরী করতে হবে না। নদীর মাঝে রাস্তা তৈরী করলেই চলবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।