জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ২০০৯ সালের নির্বাচনের পরিকল্পনা করা হয়েছে ১২ মে ২০০৯ তারিখে, এতে ১৮টি সদস্য নির্বাচিত করা হবে৷ উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এবার বাংলাদেশ এশীয় গ্রুপের একটি প্রার্থী। শক্তিশালী ও কার্যকর মানবাধিকার কাউন্সিলের জন্য আসন্ন নির্বাচনগুলোতে কিছু শর্তাবলির প্রতি পূর্ণ সম্মান থাকা আবশ্যক৷ বিশেষ করে, উন্মুক্ত ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনে সাধারণ পরিষদের সকল সদস্যের নির্বাচিত করার মতো সত্যিকার পছন্দ অবশ্যই থাকতে হবে, যেভাবে কাউন্সিলের সদস্যরা বলেছেন যে, সদস্যদের স্বেচ্ছাপ্রণোদিত প্রতিশ্রুতির মধ্যে সহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও মানবাধিকারের সমর্থনের জন্য অকৃত্রিম অঙ্গীকার প্রদর্শন করতে হবে।
নির্বাচনের ঠিক আগে আমরা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাথে সহমত পোষন করে এই দাবীগুলো জানাতে পারি:
১. মানবাধিকার হাইকমিশনারের অফিস কর্তৃক তৈরি, মানবাধিকার কাউন্সিলের নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের স্বেচ্ছাপ্রণোদিত অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতিগুলোর প্রস্তাবিত উপাদানসমূহ বিবেচনা করার মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবাধিকারের প্রসার ও সুরক্ষার জন্য দৃঢ়, বিশ্বাসযোগ্য ও পরিমেয় অঙ্গীকার করার জন্য৷
২. মানবাধিকার সম্পর্কিত মূল চুক্তিগুলোর এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সম্পর্কিত রোম সংবিধি অনুসমর্থনের জন্য তাদের অঙ্গীকারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার জন্য, এই ধরনের চুক্তির প্রতি বাধা সৃষ্টিকারী আপত্তি প্রত্যাহারের জন্য এবং চুক্তি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলোকে পূর্ণ সহযোগিতা দেয়ার জন্য, যাতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যথাসময়ে নিয়মিত প্রতিবেদন জমা দেয়া এবং চুক্তির সংস্থার সুপারিশগুলো অবিলম্বে ও সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা৷
৩. মানবাধিকার কাউন্সিলের বিশেষ কার্যপ্রণালীর সাথে সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করার জন্য, তাদের অঙ্গীকারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার জন্য, যাতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তাদের সুপারিশগুলোর প্রতি অবিলম্বে ও সত্যিকারভাবে সাড়া দেয়া এবং সকল বিশেষ কার্যপ্রণালীর জন্য একটি স্থায়ী আমন্ত্রণ ইস্যু করা৷
আরো পড়ুন এখানে: Click This Link
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।