মহলদার
ছোট বেলায় যখন বড় ওয়ানে পড়তাম (গ্রামের স্কুলে শিশু শ্রেণী ও ১ম শ্রেণীকে যথাক্রমে ছোট ওয়ান, বড় ওয়ান বলা হত) তখন আমাদের স্কুলে একটা কবিতা ও গল্পের বই পড়ানো হত। এর নাম ছিল চয়নিকা। এই একই নামে ক্লাস টু তে ও একটি বই ছিল। যাহোক, ঐ চয়নিকা বইয়ের ছড়া গুলো আমার ছিল খুব প্রিয়। যখন সবে বানান না করে লাইনগুলো পড়তে শিখেছি (তবে একটু কঠিন ধরনের শব্দ হলে সেটা বানান করে নেওয়া লাগত) তখন থেকেই চয়নিকা বইয়ের ঐ কবিতাগুলো মুখস্ত করে ফেলেছিলাম।
আজো ভাসা ভাসা মনে পড়ে আমার সেই প্রিয় কবিতা/ছড়া গুলোর দুই একটি। আর এগুলো মনে করতে করতে ফিরে যাই আবার সেই ছোট্ট বেলায়।
(কবিতার নাম কিংবা লাইনগুলো ১০০% হুবহু লিখতে পারলাম কিনা বলতে পারছিনা)
"পারিস কি তুই"
পারিস কি তুই শীতের ভোরে
দিঘীর জলে নামতে?
ডুবটি দিয়ে চুপটি করে
আপন মনে থাকতে?
পারবি নে তুই করতে এসব কিচ্ছু
কান্না জুড়িস হঠাৎ করে কামড়ে দিলে বিচ্চু।
"বেকার"
মামুদ মিয়া বেকার
তাই বলে কি সাধ নেই তার
বিশ্ব ঘুরে দেখার?
আসল যখন চেকার
মামুদ মিয়া বললে হেসে
ট্রেন কি তোমার একার?
"গান শেখা"
ওস্তদী গান শিখতে হলে ওস্তাদ কে মানো
তা না হলে হয়না শেখা কেউ কি তোমরা জান?
তাইতো হাবু শিখতে গেল খম্বাজ খাঁ র কাছে
খম্বাজ খাঁ র একটা ভাঙ্গা হারমোনিয়াম আছে।
সেইটি টিপে হাবু চেঁচায় সা....রে....গা.....মা
মা এর পরে পা রয়েছে শিখতে সারেগামা
খম্বাজ খাঁ বলেন এবার পা ধরে সাধ ব্যাটা
অমনি হাবু জড়িয়ে ধরে খম্বাজ খাঁ র পাটা
আমার পা নয় আমার পা নয়, সারেগামার পা রে
খম্বাজ খাঁ যতই চেঁচান হাবু কি আর ছাড়ে।
"রাম গড়ুড়ের ছানা"
রাম গড়ুরের ছানা
হাসতে তাদের মানা
হাসির কথা বললে বলে
হাসব না না না না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।