চলছি, যেমন চলছে। ইমেইল: lostindrk@gmail.com
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘুর্ণিঝড় 'বিজলী' আরো জোরদার হয়ে উত্তর/উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ মেঘনা অববাহিকার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকুল অতিক্রম করতে পারে।
সকাল নয়টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বুলেটিনে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরসমূহকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত এবং মংলা সমুদ্র বন্দরকে পাঁচ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, বরিশাল, চাঁদপুর জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বুলেটিনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি সামান্য উত্তর-পূর্ব দিকে সরে গিয়ে উত্তর-বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
সকাল নয়টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘুর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৭০ কি.মি. যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘন্টায় ৯০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের চারপাশে সাগর উত্তাল রয়েছে।
উপক'লীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, চাঁদপুর, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রমের সময় ভারী বর্ষণসহ ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৭-১০ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবাহওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার সকাল নয়টা থেকে উপক'লীয় জেলাগুলোতে নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া পটুয়াখালী ও ভোলায় সকাল থেকেই প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ঘুর্ণিঝড় মোকাবিলায় ভোলার সব উপজেলা প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যানদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
তথ্যসূত্র:
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
আপডেটেড ঘুর্ণিঝড় 'বিজলী' দেখুন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।