তার সর্বশেষ সৃষ্টিটা ছিল পুরোপুরিই ব্যর্থ।
তাই সর্ব শক্তিমান সিদ্ধান্ত নিলেন, একেবারে নতুন কিছু সৃস্টি করার! যদিও পুরোপুরি নতুন বলতে ঠিক কি বুঝায় এটা এখনও বুঝে উঠতে পারেননি তিনি- কারণ সৃস্টির যাবতীয় সব জ্ঞানই তার ভেতরে আছে আর তার জানার বাইরে কোন কিছুর অস্তিত্য নেই! তাই ব্যাপারটা অনেকটা জুয়া খেলার মতই হচ্ছে।
এবার তিনি একটা মহা বিশ্ব তৈরি করলেন যেটা অসীম স্বাধীনতা ভোগ করবে। এই বিশ্বে অসম্ভব বলে কোন ঘটনা থাকবে না!
অতপর তিনি বললেন, "হও"!!
শুধু এটুকুই!!
এতেই একটা সৃস্টির সুচনা হল; কিন্তু কোন ধরনের নির্দেশনা ছাড়াই!
এবার তিনি বিশ্রাম নিবেন এবং দেখবেন কি হয়!!
এভাবেই আমাদের জগতের শুরু। যেখানে সব কিছুই ঘটা সম্ভব।
শুরুতে কিছুই ছিলনা। এরপর প্রাথমিক জীবনের সুত্রপাত হল এবং এক কোষী থেকে বহুকোষী প্রাণের সূচনা হল। তারপর জটিল থেকে জটিলতর জীবণ। বুদ্ধিমত্তা- একদিন জন্ম হল মানুষের।
সেই অকর্মক প্রাণী; যারা তাঁকে গত বার হতাশ করেছিল!! কিন্তু এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন! এখানে এখন কোন আইন নেই, যা করার তাদের নিজেদেরকেই করতে হবে! তারা জিততেও পারে কিম্বা হেরে যেতেও পারে, সব ই নির্ভর করছে তাদের নিজেদের উপর! কোন নির্দেশিত পথ নেই।
এইবার মানুষ- সৌর জগতের পৃথিবী নামের একটা গ্রহে তাদের জীবনের সূচনা করল। লক্ষ্য করার ব্যাপার ছিল, মানুষ তাদের আগের সময়গুলির মতোই এবারও সেই রকম ধারা গুলি অনুসরণ করল!
প্রথমে আসল যাদুবিদ্যা, ধর্ম, বিজ্ঞান, দর্শন। কিন্তু এবার মানুষ আবিষ্কার করল- প্রকৃতিকে তাদের ইচ্ছেমতো কাজে লাগাতে পারছে! প্রকৃতি তার নিয়মের ব্যাত্যয় ঘটিয়ে মানুষের অধীন এসে গেছে। অনেক 'উম্মাদ মানুষ' যদিও যুগে যুগে সভ্যতার অন্ত করে দিতে চেয়েছিল- যে কারণে মুলত আগের বিশ্ব ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল! কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে এবার -এই পর্যায়ে যাবার মতো যোগ্য কেউ হয়ে উঠতে পারেনি! তারপরেও তাদের এই হঠকারিতার মূল্য দিয়ে যেতে হলো মানব সভ্যতাকে! কারণ, খারাপ লোকেদের মানসিক ক্ষমতা এবং আকাঙ্ক্ষা ভালোদের চাইতে বেশীই থাকে। কোন মানব সভ্যতাতেই এর ব্যাতিক্রম দেখা যায়নি।
এই সময়েই আসলেন প্রথম "শীআর"- 'রক্তিম আলখেল্লা'! এ নামেই তিনি পরিচিত হবেন ভবিষ্যতের পৃথিবীতে! তার আগমন হয়েছিল মানুষের আকাঙ্ক্ষা থেকে। মানুষ পথ চেয়ে ছিল একজন মুক্তিদাতার- যে তাদেরকে এই উম্মাদ পৃথিবী থেকে রক্ষা করবেন, তাদের কে জানাবেন সত্যটা আসলে কি। যদিও তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী "শীআর" আসলেন, কিন্তু তারও ছিল নিজস্ব্যতা। - কারণ চেতনা স্রষ্টার সৃষ্টি করা হলেও তা ছিল এবার পুরপুরি স্বাধীন -ঠিক তার সৃষ্ট জীবনের মতোই।
'রক্তিম আলখেল্লা' মানুষের মনজগতে পরিভ্রমন করল।
আর আবিষ্কার করল- আসলে প্রকৃত সত্য হলো- সত্যের কোন অস্তিত্য নেই! কিন্তু তার অনুসারীদের তিনি সেটা জানাতে পারেননা। তাহলে- কেউ একজন হয়ত এতটাই ক্ষমতাশালী হয়ে উঠবে যে; সৃষ্ট সব কিছুকেই বিলীন করে দেয়ার ক্ষমতার অধিকারী হয়ে যাবে! যেহেতু সর্বশক্তিমান কাউকেই প্রতিরক্ষা করছেন না, তিনি কিছুই করতে যাবেন না! তাই "শীআর" তার অনুসারীদের কখনোই সত্যটা বলেনি।
বরং সে তাদের আস্বস্ত্য করল এই বলে- এই পৃথিবী সৃষ্টির উদ্দেশ্য হল- একে চিরস্থায়ি করা। সে পূর্ববর্তি সব মানবসভ্যতা সম্পর্কে জেনেছিল। এটাও জেনেছিল , স্রষ্টা কিভাবে ব্যর্থ হয়েছিলেন তার সৃষ্টিকে নিখুঁত করে বানাতে গিয়ে! কেননা একমাত্র স্রষ্টার পক্ষেই নিখুঁত হওয়া সম্ভব- সৃষ্ট কোন কিছু নিখুঁত হতে পারেনা! তারপরও তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন নিখুঁত করার প্রচেষ্টায়! যেন তিনি গর্ববোধ করতে পারেন তার মহামহিমতায়!
এরপর আসল বিজ্ঞানের যুগ।
মানবসভ্যতা সব ধরনের ভবিষ্যতবানীকে পরিত্যাগ করল। আলোকময় এক যুগ, বিজ্ঞান তার উন্নতির চরম শিখরে।
(অনুবাদ অংশের সমাপ্তি; বাকিটুকু অনুবাদকের সংযোজন)
এখানে এসেই বইটা শেষ হয়ে গেছে! আসলে শেষ হয়নি! কে যেন পাতা ছিড়ে ফেলেছে!! মেজাজটা খাট্টা হয়ে গেলো 'লী ওয়াং' এর। আজকাল এই এক নতুন যন্ত্রণা শুরু হয়েছে স্বর্গে! একটা গ্রুপ গজিয়ে উঠেছে "তালিবাং" নামে। এরা পৃথিবী সংক্রান্ত কোন লেখাই স্বর্গে থাকতে দিবেনা।
বইটা হাতে নিয়ে দ্রুত লাইব্রেরিয়ানের ডেস্কে ছুটে গেলো লী।
এনামুল আজিম রানা'র মূল ইংরেজী গল্প থেকে অনুদিত
LAST
The last of the creation was utter failure ,so the Mighty One decided to create something entirely new, although He had no idea what entirely new meant ,for He possessed all knowledge and nothing was possible outside his knowledge .So He played a gamble ,this time He would create an universe which would have unbounded freedom, nothing would be imposible to be done in that universe , so He said ,"Be.", and nothing more for in that way something would be created but without any sort of direction it would be an all allowed universe , He would now take rest and see what happens. Thus came our universe , in which everything was possible . It contained nothing at first , then eruption of primavel fire, and formed all sort of bizzaire forms ,then came life of all possible sort in this universe ,then life became sentinent , all possible sort of intelligence came then ,one day came man , the hopeless creature of the last creation that failed Mighty One miserably ,but this time they would face a different situation in which there was no law ,they could win all lose, everything wholly depend on them , no more devine guidence. This time ,human began their journey in a earth like planet, revolving around a sun like star .Curiously human history mimicked their past cousines ,there came magic ,religion ,science, philosophy . But this time man found out that nature mireculasly obeyed their deires , there was no law .Many mad in all time tried to destroy whole creation ,for that was one of the destructive hidden feeling that ruined the last universe ,but fortunately no one achieved suffficient desire potential to do that ,yet many payed their price in this irrationality ,for usually bad man always possessed more mental power and desire than a good man .All this anarchy prevailed in all of human history more or less. Then came the first seer , the Red Robed One ,as he would be called in the future ,he came from the deire of many a man , their desire for the saviare who would come and save them from this mad world ,who would told them what was reality. Even as the seer came as they wished , yet he had a mind of his own, for created counsciousness was also consciousness ,for created life was also life.The Red Robed One explored mind space ,to find out the horrible truth that there was no truth ,but he must not tell his followers this, for one of them might possess enough will power to obliterate all of this creation ,for The Mighty One was not protecting it, He was letting it go as it could, so the seer never told them the truth .He rather told them that the world had a purpose, and that was to make it eternal .He even found out about all of the past creations that the Mighty One had tried create a perfect creation , and how He had failed , for only the Mighty One was perfect, not His creation ,yet He was trying from time immemorial to perfect His creation ,for only creating a perfect creation He could feel proud of His devinity.Then came the age of science.Mankind rejected all sort of prophecy, the age of inlightenment , where science developed unboundedly.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।