আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অদ্য বাংলা ১৪১৬ সালের প্রথম সকালের জাংলা স্টাইলের পান্তা ভক্ষনের কিচ্ছা!!!!

সামুতে বারবার ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করলেও কর্তৃপক্ষের নিশ্চুপ থাকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে ব্লগিং বন্ধ করলাম এখানে। ধিক্কার সামুর কর্তৃপক্ষকে

বাঙ্গালী স্টাইলপ্রিয় আর হুজুকে জাতি। কোন বিশেষ দিন আসলেই উঠেপড়ে লেগে যায়, ঐ বৈতরনী পার হয়ে গেলে, আর খবর নাই। এই বৈশাখীতে সেই পান্তা-ইলিশ আর বাঙ্গালী হবার ফ্যাশানের মত। আমি অবশ্য আগে থেকেই পান্তা খেতে পছন্দ করি।

আর কুরবানীর ঈদে আমার পান্তা খাবারের ঝোক বেড়ে যায়। উত্তরাঞ্চলে বাড়ি হওয়ায়, আলু বেশ প্রিয়, এজন্য আলুর সিজনে আলুর বাটাম ( আমাদের এলাকায় আলুকে ফালি ফালি করে কেটে লবন-মরিচ-পেয়াজ দিয়ে সিদ্ধ করে খাওয়া হয়, একে বাটাম বলে) দিয়েও পান্তা বেশ লাগতো। এরই ধারাবাহিকতায় জাপানেও ৫/৬বার পান্তা খাওয়া হয়ে গিয়েছে। আশা করছি সামনে আরো বাড়বে। যা হোক বৈশাখীর এই লগ্নে আমিও এক অধম বাঙ্গালী পান্তার আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।

আমি সাধারনত একমাসের মাছ-মাংস দেশীয় মালিকানাধীন হালাল শপ থেকে অর্ডার দিয়ে আনাই। কিন্তু এমাসের বাজারে আমার আর খেয়াল নাই যে বৈশাখ মাসের কথা, পরশুদিন মনে হলে আফসোস করলাম ইলিশ মাছ কিনতে হত, যা হোক কি আর করা, ইলিশ নাই তাই বলে বৈশাখের পান্তা খাওয়া মিস হবে? আর যেহেতু জাপানে আছি, সেজন্য একটা জাংলা (জাপান-বাংলা) ইষ্টাইল হলে খারাপ কি? আমি ভাত রাঁধি প্রতিদিন রাতে পরের দিনের লাঞ্চ আর ডিনারের জন্য, রাইসকুকারে চাল দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালের পান্তার জন্য একটু বেশি চাল আর ৩টা আলু দিয়ে রাইসকুকারে দিলাম, ল্যাব থেকে ৮টার দিকে ফিরে। ভাত রান্না হয়ে গেলে পান্তার জন্য বক্সে ভাত নিলাম পানি মেশানোর জন্য। আবারো সেই বাঙ্গালী মানসিকতা টের পেলাম, আমাদের নাকি পেট ভরে তবু চোখ ভরে না, ভাত তুলছি, মনে হল, এই সামান্য ভাতে পান্তা হবে আর কতটুকু, যাহোক, ভাত নিয়ে পানি দিলাম.......... সকালবেলা বক্স বের করে দেখি পান্তার যা পরিমান আমার পক্ষে শেষ করা সম্ভব না, আর ওদিকে দুই বক্সে লাঞ্চ আর ডিনারের জন্য ভাত তুলে দেখি, একটা বাচ্চাও শেষ করবে অনায়াসে, শেষে কি আর করবো, আক্কেল সেলামী হিসাবে, কিছু পান্তা দিয়ে ঐ দুই বক্স পুরুন করলাম।

এরপর আলু ভর্তা করলাম। ইলিশ মাছ নেইতো কি হয়েছে, ইদানিং স্যামন মাছের একনিষ্ঠ লেজবিশিষ্ট ফ্যান হয়ে গেছি। তাও আবার বারবিকিউ স্টাইলে ফ্রাই করে খাই, কোন লবন-মরিচ, তেল না মিশিয়ে সোজা বাংলায় আগুনে পুড়ি। এরপর সবকিছু প্লেটে নিয়ে বেশ চোখ জুড়িয়ে গেল, দেরি না করে ডান হাতের ব্যাপারটা সেরে ফেললাম!! এই হলো আজ বাংলা ১৪১৬ সালের ১ম সকালের পান্তার কিচ্ছা!!! লেখাঃ ১লা বৈশাখ ১৪১৬ বঙ্গাব্দ

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।