বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
লি বাই। (৭০১-৭৬২ খ্রিষ্টাব্দ) তাঙ যুগের চিনের তাওবাদী কবি। চিনের বাইরে ইনিই সবচে বেশি পরিচিত।
স্বয়ং এজরা পাউন্ড লি বাই-এর কবিতা অনুবাদ করেছেন। তুমুল বাউন্ডুলে ছিলেন লি বাই আর মদ খেতেন খুব। তাঁর কবিতায় মদের বর্ননায় ভরপুর। জ্যোস্নায় একা একা মদ পান কবিতায় লিখেছেন-
ফুলের বাগানে মদের পাত্র
পান করার বন্ধুরা নেই।
কাজেই উজ্জ্বল চাঁদের পানেই পাত্র তুলছি
এবং আমার ছায়ার প্রতি-এভাবে তিনজন হল
কিন্তু চাঁদ তো আর মদ খাবে না
আমার ছায়াও তো আমার গোড়ালির কাছে লেপ্টে আছে
যদিও হে চাঁদ, হে ছায়া -তোমাদের এই সঙ্গ
বসন্ত শেষে ভালো লাগছে আমার
আমি গান গাইলে চাঁদ ওঠে শিউরে
আমি নেচে উঠলে আমার ছায়াও নাচে
এ ভাবে কত মজা হয়
তার পর ঘুমিয়ে পড়ি
মাঝে মাঝেই এমন শূন্যযাত্রা ভাগ করে নেওয়া যায়
ধবল নক্ষত্রের নদীতে আবার দেখা হবে।
কবি সম্পদশালী ছিলেন-সারা জীবনই ঘুরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। একবার হল কী-নৌকায় করে কবি ইয়াংসি নদীতে যাচ্ছিলেন। তখন রাত, চাঁদ উঠেছে, কবি মদ খাচ্ছিলেন। নদীতে চাঁদের প্রতিবিম্ব। কবি চাঁদটা ধরার জন্য নদীতে ঝাঁপ দিলেন।
সময়টা ৭৬২ খ্রিষ্টাব্দ ...
চিনের সিচুয়ান প্রদেশে কেটেছে কবির ছেলেবেলা ।
সিচুয়ান প্রদেশের পাহাড় ও প্রকৃতি
দিনভর মাতলামি
বিশাল স্বপ্ন বাদে বাঁচাই মুশকিল
কাজকর্ম করে নিজেকে শাস্তি দিয়ে কী লাভ!
কাজেই এই দিনভর মাতলামি।
দরজার কাছে মুখ থুবড়ে পড়েছি, বাইরে কী হচ্ছে জানি না
জেগে উঠে বাগানের দিকে তাকালাম
ফুলের মাঝে পাখি গাইছে
ভাবছি-এখন কী ঋতু!
আমার মনে হল যে সে বলছে: “পাখিরা গান গায় বসন্তের বাতাসে। ”
বিষাদ বোধ করি, দীর্ঘশ্বাস ফেলি
না! পানপাত্রে মদ ভরে নিই
গান গাই, থাকি চাঁদের অপেক্ষায়
গান শেষ হলে আমি সব ভুলে যাব।
সেকালের চিনা পানপাত্র
পাহাড়ে জিজ্ঞাসা
তুমি জিজ্ঞেস করেছিলেন কেন আমি পাহাড়ে থাকি
উত্তর না দিয়ে আমি হেসেছিলাম।
আমার হৃদয় শান্ত।
ফুলের পাঁপড়ি জলে ভেসে যায়, ফিরে আসে না।
দূরে রয়েছে স্বর্গ আর মত্ত্য
নিচে ভিড়ের নগর।
লি বাই
গান
পুরো জঙ্গলটাই ধূসর
কুয়াশায় মোড়ানো।
ঠান্ডা পাহাড় বিষাদের রং
ফিকে লালচে।
লম্বা বাড়িতে গোধূলি এসেছে
দোতলায় অসুখী কেউ
সাদা রঙের ধাপের ওপর দাঁড়িয়ে।
একজন নারী সময় কাটাচ্ছে, করার কিছুই নেই
পাখিরা ফিরে যাচ্ছে নিড়ে
আমি কোন্ পথে সেখানে যেতে পারি?
আমি কেবলি দেখি দূর দূর দূর ...
ইয়াংসি নদী। মনে থাকার কথা-একবার হল কী-নৌকায় করে কবি ইয়াংসি নদীতে যাচ্ছিলেন। তখন রাত, চাঁদ উঠেছে, কবি মদ খাচ্ছিলেন। নদীতে চাঁদের প্রতিবিম্ব।
কবি ধরার জন্য ঝাঁপ দিলেন। সময়টা ৭৬২ খ্রিষ্টাব্দ ...
সাধুর বাজনা
এই সাধুর আছে সবুজ রেশমি তারের বাজনা
ওমেই পাহাড়েরর পশ্চিমে
আর তার বাজনায়
উপত্যকার অজস্র গাছেরা গেয়ে ওঠে।
প্রবাহিত জল আমার ভ্রমনশীল হৃদয়কে স্বচ্ছ করে।
শীতার্ত ঘন্টার মতো শব্দেরা ধ্বনিত হয়
সবুজ গোধুলিতে ঢেকে যাচ্ছে পাহাড়
বসন্তের কালো মেঘ ধেয়ে আসছে দ্রুত ।
কবির আচ্ছন্নতা বর্তমানকালের শিল্পীর তুলিতে ...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।