"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার
চরিত্র মানব জীবনের অমূল্য সম্পদ। এটা সকল লোকের ভূষণ ও বটে। একজন দুর্জন বা চরিত্রহীন ব্যক্তি যতই বিদ্বান হোক না কেন সমাজের সবাই তাকে দুশমন ভাবে। তাকে সকলেই ঘৃণা ও করে।
মানুষের সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে তার চরিত্র।
যার চরিত্র নেই সে শুধু ঘৃণার পাত্রই নয় বিপদজ্জ্বনক ও বটে। চরিত্রহীন ব্যক্তি শিক্ষিত হলে ও দুর্জন বলে আখ্যায়িত। লেখাপড়া শিখে যদি চরিত্রই গঠনকরা না যায়,তবে সে বিদ্যার কোন স্বার্থকতা নেই। চরিত্রহীন লোক অতি সহজেই মানুষের কিংবা সমাজের ক্ষতি করতে পারে। একজন দুশ্চরিত্র বিদ্বান তার বিদ্যাকে খারাপ কাজে প্রবৃত্ত করতে পারে।
এতে করে মঙ্গলের সমস্ত সম্ভাবনা তিরোহিত হয়। সমাজের বুকে নেমে আসে অভিশাপ যার বিষবাষ্পে সবকিছুই পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। প্রবাদ আছে,”সৎ সংগে স্বগর্বাস,অসৎ সংগে সবর্নাশ”। সংগদোষে মানুষ অনেক সময় তার সর্বস্ব হারায়। চরিত্রহীন ব্যক্তি এতটাই পদস্খলিত হয় যে,সে অত্যন্ত নীচ স্তরে চলে যেতেও কুন্ঠিত হয় না।
চরিত্রহীন বিদ্বান ব্যক্তি আমাদের সমাজে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এরা খুব সহজেই অপরকে প্রভাবিত করে। এদের মিথ্যা আলোর ঝলকানি দেখে যারা আকৃষ্ট হয় তারা হয় সর্বশান্ত। বিষধর সাপের মাথায় মহামূল্যবান মণি থাকলে ও যেমন তার সংগ কামনা করা উচিত নয় ;তেমনি চরিত্রহীন ব্যক্তি বিদ্বান হলেও তাকে এড়িয়ে চলা উচিত। এদের দ্বারা সমাজ ও জাতি উপকারের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশী।
চরিত্র,মনুষ্যত্ব,জ্ঞান ও কর্মের মাঝেই মানুষের প্রকৃত মূল্য নিহিত। কেবল চরিত্রবান ব্যক্তিই অপরের নিকট থেকে শ্রদ্ধা অর্জন করে এবং এজন্য সে নিজেকে নিয়ে গর্ব অনুভব করে। পৃথিবীর সব মহামানবদের শ্রেষ্ঠত্বের মূলে রয়েছে তাদের চরিত্রশক্তি। সত্যবাদী,বিনয়ী,পরদুঃখে কাতর ও ন্যায়বান লোকই চরিত্রবান লোক।
আমাদের সময় ক্লাস নাইন-টেনে “চরিত্র” রচনা তেমন ইম্পর্টেন্ট ছিলো না।
তাই পড়া হয় নি। সেদিন জেলীবু এই রচনাটা দেয়ার পর পড়ে বেশ মনে ধরেছে আর আফসোস হচ্ছে কেন এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ রচনা আমি জীবনে মিস করেছি তাই আমার মত যারা এই মূল্যবান রচনাটি মিস করেছেন তাদের জন্য আবার দিলাম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।