চরাঞ্চলে ভূমিহীনরা জমি না পেলেও জমির অভাব হয় না জোতদারদের জন্য। সরকারের ভূমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালার ফাঁরফোকর গলিয়ে নোয়াখালীর চরাঞ্চলের বছরের পর বছর এভাবে চলেছে খাস জমি লুট। আর এক খন্ড ভূমির জন্য ভূমিহীনদের মুখোমুখি হতে হয় মামলা, হামলা এবং নির্যাতনের। গতকাল মঙ্গলবার নোয়াখালী বিআরডিবি মিলনায়তনে সাধারণ সম্পদের ওপর প্রান্তিক জনগোষ্ঠির প্রবেশাধিকার শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এই অভিমত পোষন করেন।
অক্সফাম জিবি’র সহায়তায় পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড এ্যাকশন নেটওয়ার্ট-প্রান আয়োজিত সেমিনারে নোয়াখালীর সুবর্নচর উপজেলায় সরকারি খাস জমিতে ভূমিহীনের অভিগম্যতা বিষয়য়ে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক রুদ্র মাসুদ।
নুরুল আলম মাসুদের সঞ্চালনে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সুবর্নচর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম, জেলা তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন। আলোচনায় অংশ নেন এনআরডিএস’র নির্বাহী প্রধান আব্দুল আউয়াল, নিজেরা করির গৌরাঙ্গ ঘোষ, ভূমিহীন সিরাজ ডাক্তার, সফিক উল্যা, চরআমানুল্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক বেলায়েত হোসেন, কৃষিবিদ নাসিমুল হক প্রমুখ।
সভায় বক্তারা চরাঞ্চলের খাসজমি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে বন্দোবস্ত দেয়া এবং অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে সরকারি খাস জমি উদ্ধারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একই সাথে ভূমিহীনদের মাঝে খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়ার সময় জীবিকায়নের বিষয়টি বিবেচনার দাবি করেন।
#
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।