আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেবদূতদের জন্য ভালোবাসা ...

শিশুতোষ যে কোন রচনা।  

ছোটদের সামহোয়ার ইন যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। আমাদের আশেপাশে, ঘরে, বাইরে ছড়িয়ে থাকা দেবদূতদের জন্য আমাদের মাধ্যমে এই বিষয়টা সামান্য হলেও ভুমিকা রাখবে এই প্রত্যাশা রইল। এই গ্রুপের যাত্রার শুরুতে এটি একটি পরীক্ষামূলক পোষ্ট। যা দেবদূতদের অধিকার সচেতনতা বিষয়ে আমাদের সচেতনতার জন্য... কাকে শিশু বলা যাবে? জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের সংজ্ঞা অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে সবাই শিশু।

পরিসংখ্যান অনুযায়ি, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৪৮ ভাগই এই দলে। অর্থাৎ এদেশে শিশুর সংখ্যা প্রায় ছয় কোটির উপরে। এই সংজ্ঞা অনুযায়ী শিশু সম্পর্কিত সকল আইন, নীতি, ও চর্চা ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। শিশু অধিকার জাতিসংঘ সনদের অধিকাগুলোকে চারটি গুচ্ছে ভাগ করা হয়- বেঁচে থাকার অধিকার - এর মধ্যে রয়েছে জীবনধারণে সহায়ক মৌলিক বিষয়াদির অধিকার। যেমন, স্বাস্থ্য সেবা, পুষ্টিকর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ।

বিকাশের অধিকার - এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষার অধিকার, শিশুর গড়ে ওঠার জন্য উপযুক্ত একটি জীবনযাত্রার মান ভোগের অধিকারএবং অবকাশ যাপন, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহনের অধিকার। সুরক্ষার অধিকার - এই শ্রেণীতে রয়েছে ঝুকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে শিশুদের অধিকার সমুহ, যেমন শরনার্থী শিশু, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন শিশু এবং শোষন, নির্যাতন ও অবহেলার শিকার হবার সম্ভাবনা আছে এমন শিশু। অংশগ্রহনের অধিকার - এর মধ্যে রয়েছে শিশূদের স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার, অন্যদের সাথে অবাধে সম্পর্ক গড়ে তোলার অধিকার এবং তথ্য ও ধারনা চাওয়া, পাওয়া ও প্রকাশের অধিকার। চারটি মূলনীতি এই সনদে চারটি মূলনীতি রয়েছে যা এর বিধানগুলো ব্যাখ্যা ও প্রয়োগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বৈষম্যহীনতা - সকল শিশুর লিঙ্গ, অর্থোনৈতিক অবস্থা, ধর্ম, ভাষা, জাতীয়তা, গোত্র, বর্ণ, শারীরিক সামর্থ অথবা জন্মের ভিত্তিতে কেনোরকম বৈষম্য ছাড়াই সনদে বর্ণিত অধিকারসমুহ ভোগের অধিকার রয়েছে।

শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থ - মা বাবা, সংসদ, আদালত, এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপ অবশ্যই শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থে কাজ করবেন। শিশুদের অধিকার সমুন্নত রাখায় পিতামাতর দ্বায়িত্ব - সনদে বর্ণিত অধিকারসমূহ প্রয়োগের ক্ষেত্রে মা বাবার একটি বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। শিশুর বয়স এবং পরিপক্কতা অনুসারে তাকে পরিচালিত করতে হবে। এই নীতিতে যে ধারণাটি তুলে ধরা হয়েছে তা হচ্ছে, শিশুদের কিছু অধিকার আছে এবং শিশুদের পরিচালনার সময় এসব অধিকার তারা কিভাবে প্রয়োগ করবে, তার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। শিশুর মতামতের প্রতি সন্মাণ প্রদর্শন - নিজের মতামত গঠনের উপযোগি বয়সের শিশুর নিজস্ব বিষয়ে অবাধে মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে।

শিশুর মতামত কতটা গুরুত্ব পাবে, তা নির্ভর করবে শিশুর বয়স ও পরিপক্কতার ওপর। ঘরে এবং স্কুলে প্রতিদিন যেসব সিদ্ধান্ত মুখে মুখে নেয়া হয়, তার সকল ক্ষেত্রে এই নীতি প্রযোজ্য। (জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ অনুসারে)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।