আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কথার মূল্য বৃদ্ধি, বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ অথবা প্রেমিক প্রেমিকা আর চোরের গল্প



প্রথমেই মোবাইল কোম্পানীগুলোকে ধন্যবাদ জানাই, তারা একটা ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন। এদেশে মানুষের কথার দাম যে হারে কমে যাচ্ছিল তা পুনোরোদ্ধারে একটি সময়োপযোগী ও কার্যকরী একটা ভুমিকা নিয়েছেন। কথার মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছেন। এখন রাস্তাঘাটে খুব একটা শোনা যাবেনা, যা ব্যাটা তোর কথার দাম নেই। কল রেট বৃদ্ধির এই সংবাদে একটা বিশেষ শ্রেনী ছাড়া আহত হননি এমন খুব কমই আছেন।

বিশেস করে প্রেমিক প্রেমিকা সম্প্রদায়ের মাথায় যেভাবে বাজ পড়েছে তা লক্ষ্য করার মতো। এক ধরনের চাপা ক্ষোভও বিরাজ করতে দেখা গেল তাদের মনে। সে ধারাবাহিকতায় আমার এক প্রায় বিশ্বপ্রেমিক মামাতো ভাইয়ের কাছ থেকে একটি বিশেষ মোবাইল কোম্পানী বর্জনের আহবান জানানো এসএমএসও পেলাম। আশংকায় পড়ে গেলাম। কল রেট বৃদ্ধি কোন দিকে নিয়ে যাবে? এমনিতেই দেশে ভালোবাসা কমে গেছে।

তার উপর এই বিষয়টা প্রেমিক প্রেমিকাদের মনে অসন্তোষের জন্ম দিয়ে দেশ থেকে ভালোবাসার পরিমান আরো উঠিয়ে নিচ্ছে কিনা কে জানে? তবে সবাই এ ঘটনায় বেজার হবে এমন তো হবার নয়। তা, হলে যার যাই হোক এতো কষ্ট করে বিজ্ঞানী হওয়া নিউটনের একটা জনপ্রিয় সূত্রই তো বৃথা যাবে। সমান ও বিপরীত প্রতিক্রীয়াতো থাকতেই হবে। সেটা আছেও। আমার এক বন্ধুর মতে, এ কল রেট বৃদ্ধিতে চোরদের একরকম উপকার হয়েছে।

কল রেট কম থাকায় প্রেমিক প্রেমিকাদের রাত জেগে পেট ভরে কথা বলা চোরদের পেটে লাথির মতো ছিল। তাদের বহু রাত মিজেদের এসাইনমেন্ট রেখে প্রেমিক প্রেমিকাদের আলাপন শুনে পেট ভরাতে হয়েছে। যাই হোক, দেখা যাক এই কলরেটালোচনা কোথায় গিয়ে থামে? বা আদৌ থামবে কিনা কে জানে? এর পরিনতি নিয়ে আমার অবশ্য চিন্তা নেই, যতটা চিন্তা এক পরিচিত ব্যাক্তিকে নিয়ে। যে কম কল রেটের সময়ও তার নিজের বাড়ীতে আগুন লাগায় প্রথম দিকে অনেকক্ষণ ফায়ার ব্রিগেড অফিসে মিসড কল দিয়ে দেখেছে সেখান থেকে কলব্যাক করে কিনা?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।