১.
ব্লগে ইসলামিস্ট এবং রাজাকার অনেকটাই সমার্থক হয়ে গেছে। যে কেউ ইসলামের পক্ষ নিয়ে খুব সিরিয়াস ধরনের কিছু লিখছে মানেই যেন সে রাজাকার বা জামাত সাপোর্টার বা ইত্যাদি।
ধারনাটা কি আসলেই ভুল? আমি যতগুলো লেখার উপরে ভর করে এই ধারণা দাঁড় করিয়েছি, তা পড়ে আমার সেটাই মনে হয়েছে (তথ্যসুত্র অপ্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে, তবে চাহিবা মাত্র সরবরাহিত হইবে)।
যদি সত্যিই তাই হয়ে থাকে, তাহলে তার মানে কী দাঁড়াচ্ছে?
২.
আমি এক ছাত্রনেতাকে চিনতাম (আমরা বলতাম তুলতুল ভাই, নামটা অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ না), সে ছাত্রদল দুই চোখে দেখতে পারতো না, কিন্তু মাঝে মাঝে ছাত্রদলের মিছিলে যেত,আর তখন সে হতো সবথেকে সক্রিয় কর্মীদের একজন। দরাজ গলায় শ্লোগানে শ্লোগানে কাঁপিয়ে দিত গোটা এলাকা।
তারপর আশেপাশে মিছিলের যাত্রাপথে হঠাৎ কোনো পুলিশ ফাঁড়ি পড়লে.. একটা ঢিল, তারপর তার তার পালিয়ে আসা। সে দেখতে পারতো না ব্যক্তিগত কারণে; কিন্তু এই প্রসঙ্গ এখানে তোলার কারণ সম্পূর্ণ ভিন্ন।
ব্লগের লেখাগুলো পড়তে পড়তে আমার মাঝে মাঝে হঠাৎ মনে হয় এখানেও মনে হয় উনি আছেন।
যারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ফ্যানা তুলে ফেলছেন, সবাই কি আসলেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ???
৩.
সবাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা বলছে। আমার হাসি আসে।
আমরা আসলে জামায়াতের জন্য একটা সেফ ফিউচার তৈরী করে দিচ্ছি।
বিশ্বাস করুন, যদি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি থেকে যায় তাহলে এই বিচার ওদের জন্য সিম্প্লি একটা হুদাইবিয়া হয়ে যাবে। এই বিচারের পর তাদের বাকিরা আর যুদ্ধাপরাধী থাকছে না। কারণ তখন ব্যাপারটা দাঁড়াবে এরকম যে যারা যুদ্ধাপরাধী ছিল, তাদের বিচার হয়ে গেছে, বাকিরা তো আর তা না (কারণ তা যদি হত তাহলে তো এই তাদেরও বিচার হতো); সুতরাং জামায়াত তখন ফ্রেশ।
যদি আসলেই জামায়াতের বিচার করতে হয়, ওদের প্লাটফরম নিয়ে আগে চিন্তা করা উচিত।
আমাদের আবেগ একজন অনুচিত মানুষকে অলরেডি নাগরিক বানিয়ে দিয়েছে।
প্লাটফরম না ধরে শুধু 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার' আমাদের কী দেবে, এখন সেটাই দেখার্য।
৪.
মানুষ বোধহয় বেসিকালি অনুভূতি-ব্যবসায়ী। এই অনুভূতি কখনো হয়ে উঠছে ধর্ম, কখনো মুক্তিযুদ্ধ;
আমরা মানুষ হয়ে উঠছি না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।