হাতের লেখা ভালো, চেহারা ভালো না
এটি একটি বর্ষার কবিতা
আতাহার সাজ্জাত ও মজিদ (আমরা তিন বন্ধু)
বর্ষায় আমার বাড়ির রাস্তায় পানি জমে বলে আমি অন্য একটা ঘরের উপর দিয়ে যাই।
সকালে যাইনা ঐ বাড়ির কাকা থাকেন তাই
বিকেলে যখন আমার ঘড়িতে ৫ টা বাজে তখন যাই
ও বাড়ির ছোট মেয়েটা নিজের বাড়ির গাছের উচু ডালে বসে তখন পেয়ারা খায়
আমি সেই গাছের নিচ থেকে যাই
আমার যেতে ভাল লাগে
আমার মাথায় উপর পেয়ারা খেয়ে খেয়ে ফেলে
আমি পকেটে জমা করে করে দু’পকেট ভরে ফেলেছি।
এরপর সেই ছোবলা গুলো একটা প্রেসে দিয়ে পরের শুক্রবার প্রেসে গিয়ে বলি,
ওগুলো দিয়ে কি কিছু বেরুলো?
প্রেসের মালিক দুলু ভাই হেসে হেসে বললেন,
দুইটা চিঠির মতো বেড়িয়েছে।
বাসায় এসে চিঠি দুটি গোপনে পড়তে শুরু করি,
প্রথমটাতে লেখা,
‘‘আপনার কি ঘাড়ে সমস্যা? উপরে চাননা কেন? ঘরে না থেকে এত কষ্ট করে এখানে উঠে লাভ কি হলো?’
এরপর থেকে আর না তাকালে আপনার সামনেই লাফ দিয়ে একটা কান্ড ঘটিয়ে ফেলবো।
অন্য চিঠিটা সব সময় আমার বুক পকেটে রাখি,
বুক পকেট বুকের খুব কাছাকাছি থাকে বলে কেমন যেন আরাম আরাম লাগে।
আরাম লাগলে আমার বেশ ভালই লাগে।
বিঃদ্রঃ আতাহার আর মজিদের মধ্যে মেয়ের পেয়ারা গাছে বসা নিয়ে দ্বন্দ হওয়ায় শেষের আট লাইন লেখার আগেই মজিদ কবিতার আসর ছেড়ে রেগে চলে যান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।