আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তিনি কেনো পাশ্চাত্যে পড়ে আছেন- ইসলামী চিন্তাবিদ ফিরোজ কামালকে নিয়ে ভাবনা



ফিরোজ মাহবুব কামাল, একজন ইসলামী চিন্তাবিদ, স্কুল জীবন শেষ করে পাকিস্তানের কিং এডওয়ার্ড মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস করার পরে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি করেছেন, তিনি নর্থ ক্যারোলিনা চ্যাপেল হিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ইন পাবলিক হেলথ ডিগ্রী নিয়ে বর্তমানে যুক্তরাজ্যের পাবলিক হেলথ সার্ভিসে কর্মরত। তবে তার গবেষণা সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে এবং তিনি শুধুমাত্র এই বিষয়েই গবেষণা করে থাকেন। বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী এই ব্যক্তি ইসলামী চিন্তাবিদ। প্রবাসী বাংলাদেশী ভয়ংকর বস্তু, নিজেদের বিচ্ছিন্নতা এড়াতে তারা সামাজিকতা কারণেই ধর্মীয় গোষ্ঠীর সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে উঠেন, বস্তুত বাংলাদেশের মুসলিমের যত বেশী উদারনৈতিক আচরণ করে থাকে প্রবাসী মানুষেরা তার চেয়ে ঢের বেশী গোঁড়া মুসলিম। এবং পাশ্চাত্যের প্রভাবেই হয়তো অনেক বেশী মৌলবাদী আচরণ করে থাকেন।

ফিরোজ কামালের ক্ষেত্রে এই ঐক্য আরও ভয়ানক, তিনি তার চিন্তাভাবনা গঠিত হওয়ার সম্পূর্ণ সময়টাই কাটিয়েছেন পাকিস্তানে। তার নিজের ওয়েব সাইটে তার লিখিত সমাজচিন্তা প্রকাশিত হয়, এবং সেসব অনেক পত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়, তবে সেসব পত্রিকা আমি নিয়মিত পড়ি না বলেই আমার সামনে ফিরোজ কামাল উপস্থিত হয় না একজন চিন্তাশীল ব্যক্তি হিসেবে। এখানে ইসলামী রাজনীতির চর্চাকরা নিয়মিত মানুষেরা ইদানিং তেমন ধর্মীয় বাহাসে যেতে চান না, তারা অবশ্য নিয়মিতই তাদের মতের পক্ষে যায় এবং প্রবন্ধ ও নিবন্ধের অনুলিপি এখানে রেখে যান। এবং সেখানে তারা কোনো মন্তব্যও করেন না। আলোচনা নয়, বরং মৃদু উপস্থিতি রেখে যাওয়া এইসব প্রবন্ধের ভেতরে আপত্তির কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।

আমাদের বাংলাদেশী হিসেবে সবচেয়ে বড় লজ্জার বিষয় হলো, বাংলাদেশের সবচেয়ে গণতান্ত্রিক এবং সংবদ্ধ রাজনৈতিক দল হলো জামায়াতে ইসলামী, এবং সবচেয়ে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির। অন্তত বাংলাদেশের প্রেক্ষিত বিবেচনা করলে বলা যায়, ছাত্রশিবির প্রশিক্ষিত রাজনৈতিক কর্মির জন্ম দেয় এবং তাদের কেউ কেউ পরবর্তীতে ছাত্র শিবির ও ধর্মীয় রাজনীতি ছেড়ে দিলেও অধিকাংশই ইসলাম প্রবর্তনের রাজনীতিতে আজন্ম লিপ্ত থাকে। ব্লগেও এমন অনেক শিবির কর্মী, রুকন এবং সাথীদের আনাগোনা। তাদেরই কারো কারো কল্যানে আমি এই প্রথম ফিরোজ কামালের সমাজচিন্তা পড়লাম। মূলত বাংলাদেশের রাজনীতি বাঙালী জাতিয়তাবাদ এবং বাংলাদেশী মুসলিম জাতীয়তাবাদী ভাবধারার বিরোধ, এখানে ভারতবিরোধিতা, আমাদের সাম্ভাব্য ভারতের করদ রাজ্য হয়ে যাওয়া এবং আমাদের রাজনৈতিক প্রচারনার কারণে ভারতজুজুর উপস্থিতি, সব মিলিয়ে আমাদের রাজনৈতিকগণও এই প্রশ্নে খুবই স্পর্শ্বকাতর আচরণ করেন।

তাই আওয়ামী লীগ আসলে দেশ ভারতের কাছে বেচে দিবে, ট্রানজিট দিবো না, প্রয়োজনে বুকের রক্ত দিবো- ট্রানজিট আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরুপ- এবং ইত্যকার নানাবিধ কথা রাজনীতি মহলে এবং অরাজনৈতিক সচেতন মহলে প্রচলিত এবং প্রচারিত হচ্ছে। এবং আওয়ামী লীগও এই প্রশ্ন পাশ কাটিয়ে বলছে ট্রানজিট সংক্রান্ত চুক্তি আদতে তাদের সময়কালে করা নয়, বরং ইদানিং যারা এই ট্রানজিট ইস্যুতে এত সরব তাদের সময়কালেই সম্পাদিত হচ্ছে। যদিও মুল বিবেচনা হওয়া উচিত ছিলো, ট্রানজিট দেওয়ার ফলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবে না কি হবে না। এখানে অর্থনৈতিক বিবেচনাই মূখ্য হওয়া উচিত। ব্যবসায়ী সম্প্রদায় রাজনীতির বিরুদ্ধে নয় কিন্ত ব্যবসার পূঁজি নিরাপত্তার জন্য গণতান্ত্রিক বিরাজনীতিকরণের পক্ষে।

যেহেতু কোলকাতার আদালত রায় দিয়েছে হরতাল গণতান্ত্রিক অধিকার, সুতরাং তাদের বিবেচনাকেও আমি সম্মান করতে চাই। এবং আমার নিজের মতও একই রকম। অত্যাধিক হরতাল হয়তো অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকারক, কিন্তু বয়কট করা কিংবা নিজস্ব দাবি-দাওয়া পুরণে স্থানীয় প্রশাসনকে অচল করে দেওয়ার রাজনীতি আমি সমর্থন করি। যেকোনো সঠিক কারণে যদি স্থানীয় জনগণ মনে করে স্থানীয় প্রশাসনকে অচল করে হলেও নয়ায় প্রতিষ্ঠা করা উচিত, আমি এমন আন্দোলনের পক্ষে, বিরোধিতা মূলক হরতালের জবরদস্তির বিরুদ্ধে, কাউকে তার মতের বিপক্ষে হরতাল মানতে বাধ্য করা কিংবা নৈরাজ্য ও সম্পদ ক্ষয়ের দিকটা নিয়ন্ত্রিত করতে পারলে হরতাল চমৎকার এক রাজনৈতিক অস্ত্র। ফিরোজ কামাল বাংলাদেশী মুসলিম জাতীয়তাবাদের ধারক বাহক এবং তিনিও ভারত কিংবা পৌত্তলিকতা, যে অর্থে সনাতন ধর্ম হয়েও সে ধর্মকে বিকৃত ভাবে আমরা হিন্দু শব্দে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করি, সেই ধর্মকে হেয় জ্ঞান করেন, তার ভাষ্যমতে ইসলাম ধর্ম উপমহাদেশে এসেও নিজের সাতন্ত্র নিয়ে টিকে আছে, অন্য সব ধর্মই উপমহাদেশে এসে নিজের সাতন্ত্র হারিয়েছে।

এমন উদ্ভট কথা আমি আগে শুনি নি। বাংলাদেশের ইসলামপ্রতিষ্ঠার ইতিহাস ওয়াহাবী ইসলামের ইতিহাস নয়, বাংলাদেশের কিংবা উপমহাদেশের ইসলাম অনেকবেশী সুফিবাদ প্রভাবিত ইসলাম। এবং সুফিবাদ, সেই অর্থ মৌলিক ইসলামিক মতবাদ নয়, বরং পরস্য প্রভাবিত ইসলামের একটি অপভ্রংশ। তিনি বলেছেন বৌদ্ধ মতবাদ হিন্দু ধর্মে হারিয়ে গিয়েছে, তবে বাস্তবতা হলো বৌদ্ধ ধর্ম সনাতন ধর্মকে অবজ্ঞা করেই নতুন একটা ধর্মমত প্রতিষ্ঠা করেছে, এবং সেই ধর্মমত শুধুমাত্র মানুষের বিবেচনা বোধ ও শুভবোধের উপর নির্ভরশীল, তেমন কোনো মুর্ত বা বিমূর্ত ইশ্বরের ধারণাবিহীন বৌদ্ধ ধর্ম হিন্দু ধর্মে কবে আত্মসাৎ হলো, সে সত্য আমার জানা নেই, ফিরোজ কামাল জানেন, কিংবা তিনি সেইসব পঠনবিমুখ রোকন আর সাথীদের নিশ্চিত করতে চান, ভারতে শুধুমাত্র হিন্দুধর্মই প্রচলিত, জৈন ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম, খ্রীষ্টান ধর্ম সবই হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি। তার ভাষ্যমতে পাশ্চাত্য যে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে সেটা সঠিক নয়, পাশ্চাত্য ইসলামকে একটি ধর্ম হিসেবে দেখে, সেখানে ধর্মীয় বিশ্বাসের স্বাধীনতা রয়েছে, রয়েছে নিজস্ব ইসলামি সংস্কৃতি বিকাশের স্বাধীনতা, এবং ইসলামী পোশাক পরিধানের এবং ইসলামী মতে জীবন যাপনের স্বাধীনতাও রয়েছে একজন মুসলিমের।

এবং যেহেতু ধর্মকে ধর্মনিরপেক্ষতা মনে করে মানুষের ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও ব্যক্তিগত সংস্কৃতি চর্চার জায়গা, সুতরাং ইসলামকে নিয়ে রাজনীতি করতে দেয় না ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। ইসলামী রাষ্ট্র গড়ে তোলা, কিংবা নিজস্ব পরিমন্ডলে ইসলামী সংস্কৃতি বিকশিত করবার সহিংস ও অহিংস রাজনীতি এবং সংঘবদ্ধতা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র করতে দিতে নারাজ। এটাই পাশ্চাত্য দেশে ইসলাম ধর্মমত অনুসরণের অসুবিধা, এটাই ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে বসবাসের অসুবিধা। যদিও এই যৌক্তিক ভাবনায় আমি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের ধারণাকে কোনোভাবেই ভ্রান্ত বলতে পারলাম না। নিজস্ব জীবনযাপন ও সংস্কৃতি চর্চার বাধা না দিলে কেনো একজন মানুষ কোনো মত প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করবে? তার যেমন ধর্মপালনের স্বাধীনতা রয়েছে, তেমনই অন্যসব ঐশ্বরিক এবং পৌত্তলিকতা বিশ্বাসী মানুষেরও ধর্ম পালনের অধিকার আছে, প্রতিটা মুসলিম আল্লাহর প্রদর্শিত পথে উচ্চতর সভ্যতা নির্মানের যোদ্ধা, এই বক্তব্যটাই আমার কাছে আপত্তিকর মনে হয়।

সভ্যতার উচ্চতা এবং অবনতি আদতে কে কোন অবস্থান থেকে দেখছে তার উপরেই নির্ভর করে। প্রত্যেকের নিজস্ব উপলব্ধি এবং নিজস্ব বিশ্বাসের দর্পন এই সংক্রান্ত সংবেদ দিয়ে যায় তাকে। আমি নিজস্ব বিশ্বাসে যেটাকে উন্নত মনে করি, সেটা আমার বিবেচনায় উন্নত, কিন্তু উন্নত ভাবনার কিংবা সভ্যতার কোনো সার্বজনীন কাঠামো নেই। মুসলিমেরা কেনো অনেক দেশে বসতি স্থাপন করে নি,এই বিষয়ে ফিরোজ কামালের বিজ্ঞ মতামত- "অনৈসলামিক দেশের কুফরী পরিবেশে মুসলমানের সন্তানেরা মুসলিম হিসেবে বেড়ে উঠবে এমনটা কি ভাবা যায়? এ কারণেই মুসলিমগণ অনেক দেশেই বসতি স্থাপন করে নি। " রাষ্ট্রের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক পরিবেশ যেনো ঈমানের পুষ্ঠি জোগায় সে জন্য রাষ্ট্র গড়া ইসলামে ফরজ, এ লক্ষ্যে যেকোনো প্রচেষ্টাই জিহাদ।

ইসলামী রাষ্ট্র গড়া অসম্ভব মনে হলে সে দেশে বসতি না গড়ে সেদেশ থেকে হিজরত করে মুসলিম। তিনি বলেছেন অর্থের লোভে কুফরি পরিবেশে নিজেকে সমর্পন করা নবী রসুলের সুন্নত নয়। পাশ্চাত্য দেশসমুহে মুসলিমদের সবচেয়ে বড় শত্রু এইসব দেশের শিক্ষা দীক্ষা ওসংস্কৃতি, এটা যেমন আগ্রাসী এবং তেমনই ঈমাণবিনাশী। পাশ্চাত্যে আমাদের শিশুরা ধর্মান্তরিত হচ্ছে না এটা সত্য কিন্তু লাখে লাখে হারিয়ে যাচ্ছে এমন উদাহরণ তো বিরল নয়। মুসলমানের ঈমানী স্বাস্থ্যের জন্য সুশিক্ষার এবং সুসংস্কৃতির পবিত্র পরিবেশ চাই।

এজন্যই ইসলামী রাষ্ট্র চাই। পাশ্চাত্যে সেটা সম্ভব নয়, তাই এখানে মুসলিনের জীবন নিরাপদ নয়। আমি নিজেও চিন্তিত হয়ে পরেছিলাম এই পর্যায়ে এসে, ঠিক কোন যুক্তিতে ফিরোজ কামাল নিজের পাশ্চাত্য বসবাসের যৌক্তিকতা তুলে ধরবেন। এবং তিনি ঠিক কেনো সব ছেড়ে পাশ্চাত্য থেকে যা কিছু শেখার শিখে নিয়ে মুসলিম দেশে ফিরে সে দেশের পুনর্গঠনে মনোযোগি হচ্ছেন না। তার ভাষ্যমতে তেমন একটি ইসলামী দেশ পাকিস্তান।

আমি অবাক হই না। বাংলাদেশী মানুষের কাছে লাল মসজিদ মক্কার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মদীনার চেয়ে পবিত্র কারাচী মসজিদ। এই পাকিস্তানী ইসলামী রাষ্ট্র এবং এই সংক্রান্ত পবিত্রতার বোধ নিয়ে রুকন সাথীদের সাথে বিতর্ক চলে না। এটা তাদের কাছে প্রতিষ্ঠিত সত্য পাকিস্তানই বিশ্বের মুসলীমদের তীর্থক্ষেত্র।

সৈদী আরব যেখানে মার্কিন তাবেদার, সেই অর্থ সৈদী আরবে মার্কিনীদের বিরুদ্ধের প্রতিরোধ নেই, পাকিস্তানও মার্কিনী তল্পিবাহক, তবে এদের বিরোধিতার জন্য পাকিস্তানে রয়েছে আত্মঘাতী বোমাবাজ, পাকিস্তানের পবিত্র ভুমিতে আছে আনসার ও আজহার, যারা বালিকা বিদ্যালয়ে বোমা ছুড়ে শিশু মেয়েদের হত্যা করে। এমন পবিত্র দেশ ইসলামের আদর্শের ধারক হয় আছে ফিরোজ কামালের বক্তব্যে, আমি শিউড়ে উঠি না, বরং একটা বিষয়ে নিশ্চিত হই, নির্বোধের সাথে তর্কে অহেতুক শক্তিক্ষয় ছাড়া অন্য কিছু হয় না । বরং নির্বোধের সাথে তর্ক সবসময় স্বাস্থ্যকরও নয়, নির্বোধের মস্তিকের পেশী বলিষ্ঠ হয় না চর্চার অভাবে কিন্তু তাদের শরীরের পেশী বেশ বলিষ্ঠ এবং জেহাদী মনোভাবের কারণে তারা অনেক বেশী ঈমানি জোশে যেকোনো বিতর্ককে রক্তাক্ত একটি ঘটনা বানিয়ে ফেলতে পারে। ফিরোজ কামাল নিজের অবস্থানের যৌক্তিকতা তুলে ধরেছেন, কারণ তার এই ইসলামপ্রেমী বক্তব্যের কোনো গ্রহনযোগ্যতা নেই, সেইসব আলট্রাইসলামী বাঙালীদের কাছে, যারা পাশ্চাত্যের নিরপাদ পরিবেশে মুসলিম মুসলিম ভাই ভাই মহামন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছে, যারা কিজের কৌম খুঁজে পেয়েছে মসজিদে, এইসব মানুষেরা নিশ্চিত জীবনের সুযোগ সুবিধা বিসর্জন দিয়ে পাকিস্তান পুনর্গঠনে ব্রতী হবে না, সুতরাং তাদের ঘাড়ে ফিরোজ কামাল দাওয়াহর দায়িত্ব ছেড়ে দেন। নিজস্ব পরিমন্ডলে একটু ইসলামী ঈমানের উপযোগী পবিত্র পরিবেশ নির্মাণের দায়িত্ব দেন, নইলে, তার সাবধানবানী- নিজেদের ছেলে মেয়ে ও আপনজনের অনেকেই অনৈসলামিকতার প্লাবনে ভেসে যাবে সেটা সুনিশ্চিত , কারণ কুফরীর স্রোত এভাবেই মানুষকে গ্রাস করে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.