আমার একটা গড গিফটেড গুণ আছে। বাচ্চারা (বেশীর ভাগ) আমাকে পছন্দ করে। এমন না যে আমি প্রথমেই তাদের আদর করি বা তাদের সাথে খেলি, বাচ্চারাই আমার প্রতি প্রথম আগ্রহ দেখায়। রাস্তায়, বাসে বা মার্কেটে কোনো বাচ্চার সাথে চোখাচোখি হলেই দেখি আমার দিকে তাকিয়ে হেসে দেয়। এটার ব্যাখ্যা একটা বের করেছি, আমার ধারণা বাচ্চারা সব বোঝে, আমার দিকে তাকিয়েই তারা বুঝে ফেলে আমি একটা বিরাট মদন।
অবশ্য সব সময় একরকম হয়না। একটা ঘটনা বলি।
বিয়ের আগের কথা। তখন টারজানের সাথে আমার এনগেজমেন্টের কথা হচ্ছে। আমরা প্রতি উইকেন্ডে দেখা করতাম।
একবার এলিফেন্ট রোডের খুশবু রেস্তোরায় খাবারের অর্ডার দিয়ে বসে গল্প করছিলাম। পাশের টেবিলে এক দম্পতি তাদের ছেলেকে নিয়ে এসেছে। বয়স হয়তো দুই আড়াই হবে। বাচ্চাটা কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের টেবিলের কাছে চলে আসলো। (আমি কিন্তু কোনভাবে তার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করিনি, গল্পে মশগুল ছিলাম) ।
বাচ্চাটা কাছে আসার পর আমি তাকালাম। সে আমার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিলো আর তার পরপরই ওর দিকে ঘুরে চোখ গোল গোল করে আঙুল তুলে বলল, আআআআআপ্। তারপর আবার মায়ের কাছে চলে গেলো।
ও বলল, কী হলো, এটার মানে কী হলো?
একটু পর আবারও বাচ্চাটা এসে একই কান্ড করল। এভাবে ৫-৬বার করার পর বাচ্চার মা ব্যাপারটা খেয়াল করে তাকে সরিয়ে নিল।
টারজান বলল, জটিল তো, এর নিশ্চয়ই কোন ব্যাখ্যা আছে। আমি বললাম, ব্যাখ্যা আর কী, বাচ্চাটা আমাকে পছন্দ করেছে আর তোমাকে করেনি, সোজা হিসাব।
টারজান বলল, না, বুঝতে পেরেছি আসল ব্যাপারটা কী, আসলে ছেলেটা জেলাস ফিল করছে। তোমার সাথে আমাকে দেখে। ভাবছে আমার সাথে এরকম একজন নেই কেন।
আসলেই কি তাই নাকি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।