কম্পিউটার আর ইন্টারনেট হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে সারাবিশ্ব। তাই ঘরে বসেও থাকতে চাই সবার সাথে।
রামি ও সামি দুই ভাই। তাদের মা রোজি মিজান ৬ মাস আগে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে পরপারে চলে গেছেন। মাতৃহীন এই দুই শিশুর একমাত্র আশ্রয়স্থল ছিল তাদের বাবা মেজর মিজান।
কিন্তু নিয়তির কি নির্মম পরিহাস ২৫ ফেব্রুয়ারি রামি ও সামিকে ছেরে তিনিও চলে গেছেন পরপারে।
দরবার হলে বিদ্রোহী বিডিআর জওয়ানদের হাতে নৃশংস ভাবে খুন হন মেজর মিজান। মাকে হারিয়ে রামি ও সামি বাবার স্নেহ,আদরে ভালই ছিল। কিন্তু ঘাতকদের এটা সহ্য হয়নি।
১০ বছরের রামি বুঝতে পারলেও সামি কিছুই বুঝছে না।
কারন তার বয়স মাত্র ৫ বছর। সে এখনও ফিডারে দুধ খায়। সামি এখনও ফিডারে দুধ নিয়ে তার বাবার জন্য অপেক্ষা করে। বাবা এলে বাবার সামনে খাবে। কিন্তু তার বাবা যে আর বেঁচে নেই সেটা সে মোটেই বুঝছে না।
পিতা মাতা হারা এই দুই শিশুর ভবিষ্যৎ কি। মা বাবার অভাব পূরণ হবে। কে দিবে মায়ের আদর সোহাগ আর বাবার স্নেহ ভরা ভালবাসা।
মেজর মিজানের মা কাঁদেন আর তার ছেলেকে ফিরে পাবার আর্তনাদ করেন। কিন্তু ফিরে কি আসবে তার পুত্র যে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহী বিডিআর জওয়ানদের হাতে নৃশংস ভাবে খুন হন।
রামি ও সামির মত অনেক শিশু হারিয়েছে তার বাবাকে। বিদ্রোহী বিডিআর জওয়ানদের শাস্তি চাই। এদের কঠিন বিচার করা হোক এটাই সকলের দাবী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।