বিডিআরের সদর দফতর পিলখানা হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুরো জাতি যখন শোকে স্তব্ধ, তখন পরিস্থিতি বিবেচনায়, রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থার নানা ভুমিকা নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। ঘটনার সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রি নির্বাক, নির্জীব অবস্থায় কাটিয়েছে বলা যায়। এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রি ও হুইপ যে ভুমিকা পালন করেছে তা প্রশ্নহীন ভাবে প্রশংসনীয়। সাহসের জয় হয়েছে । যে কাউকে এই দায়িত্বটি নিতে হতো এবং তারা নিয়েছেন ঝুঁকিসহ।
এই সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রি আরো কয়েকদিন আগে থেকেই ছুটিতে আমেরিকা প্রবাসী স্ত্রী সন্তানের নিকট রয়েছেন। যদিও বিডিআরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ক্রোড়পত্রে তার বাণী প্রকাশিত হয়েছিল। পিলখানা হত্যাকান্ডের খবর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রি কতক্ষণে পেয়েছেন জানিনা। তবে এখন পর্যন্ত অনেক সময় পার হয়েছে কিন্তু তার কোন বক্তব্য জাতি জানতে পেরেছে বলে আমার জানা নাই। সম্ভবত এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিও সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফেরা যেত।
ব্যক্তিগত ছুটিতো হিসাবে নেওয়ারই প্রশ্ন উঠেনা। পিলখানার বিষয়টি নিতান্তই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। আমি কোন দেশের বাসিন্দা, আর মন্ত্রি সাহেবই কোন দেশের? এমনই দেশপ্রেম জাতির ক্রান্তি লগ্নে যাকে প্রয়োজন তাকেই পাওয়া যায় না। কান্ডজ্ঞান বলেও তো একটা কথা আছে সেটাও কি নেই আমাদের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রির?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।