বাঁশীর জগতে স্বাগতম। আসুন সুরের মুর্ছনায় নিজেকে বুঝতে শিখি
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি....
আমরা সবাই জানি একুশে ফেব্রুয়ারী আসলে কি? ফেব্রুয়ারি মানে ভাষা আন্দোলন। মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের এক রক্তক্ষয়ী আন্দোলন। মনের আবেগকে মায়ের ভাষায় প্রকাশ করার অধিকার প্রয়োগ করা। পৃথিবীতে একটাই জাতি আছে যারা ভাষার জন্য নিজেদের তাজা রক্ত দিয়ে রাজপথ রক্তাক্ত করেছিল।
আর এ জাতিই হলো একমাত্র বাঙালী জাতী।
"মাগো ওরা আর তোমাকে মা বলে ডাকতে দিবে না।
ওরা আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চায়।
তা কি করে হয় ...?"
সেদিন বাংলা ভাষার জন্য বাংলার টগবগে তরুণরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল রাজপথে। রাজপথ রক্তাক্ত করে আমরা যে মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার লাভ করেছি, তা আজ আমরা কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পেরেছি? আমার প্রশ্ন- আজ আমরা কোন পথে চলছি? কোথায় বা এর শেষ? আমাদের ভাষা ব্যবহার না করে বিদেশী ভাষা কেন ব্যবহার করছি? চীন, জাপান, কোরিয়া, রাশিয়া, ভারতের মতো দেশ তাদের নিজদের ভাষা ব্যবহার করে এগিয়ে চলেছে তীব্র গতিতে।
তাহলে আমরা আমাদের বাংলা ভাষাকে ব্যবহার করতে কেন পারবো না? আমরা বংলাভাষা অর্জন করেছি বুকের রক্ত দিয়ে। সুতরাং এখান থেকে আমাদের সরে আসতে হবে। আজ আমরা যে মুখের ভাষায় কথা বলি তাও ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরেজি কিংবা হিন্দি অথবা এরাবিক ভাষার মিশ্রণ নিয়ে। এতে কি আমাদের ভাষার মান বাড়ছে? আদৌ না। বরং আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন থেকে দূরে সরে আসছি।
আমরা চাই ভাষার জন্য সালাম, বরকত, রফিক জব্বার-এর দেয়া রক্তের যথার্থ সম্মান দিতে।
আসুন, আমরা আমাদের বাংলা ভাষাকে সর্বক্ষেত্রে ব্যবহার করে ভাষার রক্ত ক্ষরণের স্বার্থকতা অর্জন করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।