সব ক'টা জানালা খুলে দাওনা...
বিশ্বের প্রাকতিক সপ্তাশ্চর্যের তালিকা তৈরির জন্য ভোটাভুটি চলছে।
আশার কথা আমাদের দুইটি স্থান এতে উপরের দিকেই আছে।
কক্সবাজার তো বেশ আগে থেকেই দেশি বিদেশী পর্যটকের কারণে পরিচিত, যার কারণে সেখানে এখন যাতায়াত ও আবাসনের ভালো ব্যাবস্থা গড়ে উঠেছে। পর্যটক আরো হয়তো বাড়বে এই তালিকা চূড়ান্ত হলে।
কিন্তু এই তালিকার চিন নম্বরে থাকা সুন্দরবনে পর্যটনের অবস্থা তো কক্সবাজারের তুলনায় শোচনীয়।
সেখানে যাবার জন্য এখনো পর্যন্ত ভালো কোনো ব্যাবস্থা নেই যা দেশি বিদেশী পর্যটক আকর্ষণ করতে পারে। আমি অনেকের মধ্যে সুন্দরবনে যাবার প্রবল আগ্রহ দেখেছি কিন্তু সবাই এ ব্যাপারে কিছু জানেনা যে কিভাবে যেতে হয়, সেখানে আদৌ থাকা খাওয়ার সু-ব্যাবস্থা আছে কিনা!
তালিকাতে সুন্দরবন যদি শেষ পর্যন্ত উপরের দিকে থাকেও তবুও তো দুর্গম ই থেকে যাবে। অথচ আমার কাছে সুন্দরবনকে অনেক বেশি আকর্ষক মনে হয় কক্সবাজারের তুলনায়(এটা আমার ব্যাক্তিগত মত)।
এখানে এক ই সাথে বন ও সমুদ্র সৈকতের আনন্দ পাওয়া যাবে যা কক্সবাজারে সম্ভব না। হিরণপয়েন্ট, কটকা সৈকতের মত অসাধারণ জায়গাগুলোতে এখনো কিন্তু বিদেশি তো দূরে থাক, আমাদের অনেক দেশি মানুষের ও পা এখনো পড়েনি।
এই অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন স্থানটিকে কি সরকার বা কোনো প্রতিষ্ঠান পর্যটকদের কাছে আরো সুগম করে তুওলতে পারেনা?
একটু সদিচ্ছা থাকলে এটা খুব ই সম্ভব। এটিও দিন দিন হয়ে ঊঠতে পারে পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষনীয় স্থান, আর দেশ অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবে, অনেক বেকার লোকের কর্ম সংস্থান করবে এই উদ্যোগ।
আসুন সবাই কক্সবাজারের সাথে সাথে সুন্দরবনের পরিচিতির ব্যাপারে সমান ভাবে কাজ করি।
সুন্দরবন আর কক্সবাজার হয়ে উঠুক পর্যটকদের তীর্থস্থান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।