যা তুমি আগামিকাল করতে পার, তা কখনো আজ করতে গিয়ে ভজঘট পাকাবে না...
একবার নিজের জন্মদিনের অনুভূতি বিশেষভাবে লিখে আমার এক বন্ধুকে পড়তে দিয়েছিলাম। সে দুই পাতা পড়ে মুখটি লেখা থেকে ওঠাল, চশমার ফ্রেমের ওপর দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
-এইটা তর লেখা?
-আমি বললাম- না, অন্য একজনের। তুই পড়ে বল লেখাটা কেমন হয়েছে।
বন্ধুটি কপাল কুঁচকে বলল, ুদির ভাই এতো তেনা প্যাচায়ে লেকছে ক্যান?
সেই থেকে জানি, বিশেষ উপলক্ষে বিশেষ করে লেখা আমার পক্ষে সম্ভব না। অথচ বাংলা ব্লগে কারো শত পোস্ট হলে নাকি আলাদা করে একটি বিশেষ পোস্ট দেয়া দরকার পড়ে।
কেন জানিনা, এটাই নাকি রেওয়াজ। সমস্যা হলো, শততম পোস্টে আমার লেখা পড়ে কোনো ব্লগার মনিটরের দিকে তাকিয়ে আমাকে বিশেষ কিছু একটার ভাই সম্বোধন করে মনে মনে একটি কমেন্ট করবেন, এটা ভাবতেই অসুস্থ লাগে। তার চেয়ে আমি যেটা পারি, অর্থাৎ ছবি তোলা, সেটা দিয়েই যদি পোস্ট দেয়া যায়, ক্ষতি কি?
এবার আজই প্রথমবারের মতো গিয়েছিলাম বই মেলায়। সেখনে এমন বইয়ের ঘোমটা খোলা হবে, যেটি ব্লগারদের জন্য বেশ অনুপ্রেরণাদায়ক। এর পাশাপাশি আরো একটি উদ্দেশ্য ছিল।
আমি সামুতে প্রায় সব ব্লগারকেই পছন্দ করি (মানে, চরম বিরক্তিকর দুই একজন ছাড়া)। ফলে, আগে পোস্টের শিরোনাম দেখি, তারপর গোটা লেখা পড়ি। অমুকের লেখা এজন্য পড়ব না, তমুকের লেখা তাই পড়তেই হবে- এমন কোনো সমস্যা আমার কোনো কালে ছিল না, চাইনা হোক। ফলে আশা ছিল বইয়ের ঘোমটা খোলার আয়োজনে এমন বেশ অনেকজনকে নিশ্চয়ই পাব, যাদের মনে মনে কাল্পনিক একটি চেহারা দিয়ে এসেছি। লেখার পেছনের মানুষদের চেনার আগ্রহটা আমাকে তেজগাঁওয়ের অফিস থেকে ঠেলে নিয়ে গেল বই মেলায়।
তাহলে আসুন এবার নজর দেই আজকের ব্লগার আড্ডা ও বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আয়োজনের সচিত্র প্রতিবেদনে।
এখানে একটি কথা বলে রাখি, আমি জানি অনেক ব্লগার নিজের পরিচিতি ছবির মাধ্যমে দিতে চাননা। তাদের সে চাওয়ার প্রতি সম্মান জানিয়ে আমিও ছবির সঙ্গে ব্যক্তি পরিচিতি দেয়া থেকে দূরে থাকলাম। যারা যারা এসব ছবিতে আছেন, তারা নিজেরা চাইলে কমেন্টে নিজেদের পরিচিতি দিতে পারেন, সেটা ভালোই হয়-
প্রথমে মেলায় গিয়েই পেলাম কয়েকজন স্টার ব্লগার জম্পেস আড্ডা দিচ্ছেন
দু একজন দেখা গেল ছবিও তুলছেন
স্বাক্ষর দিলাম যুদ্ধাপরাধী বিচরের দাবীতে গণস্বাক্ষর নেয়ার বইতে। কোনো কোনো আয়োজনে স্রেফ `মিছিলের একজন' হতে পারাটাও আনন্দের।
এরপর আমরা চলে এলাম বর্ধমান হাউসের সামনে নজরুল মঞ্চে
চলছে আলোচনা
দু-একজন দেখা গেল তরুণীদের পাশে পজিশন নেয়ার ব্যাপারে বেশ সচেতন।
জয় গুরু-
একদিকে আলোচনা, অপরদিকে অনেকেই তুলে রাখছিলেন এ আয়োজনের স্মৃতি
নিজেও চেষ্টা করছিলাম নানা অ্যাঙ্গেল থেকে বিভিন্ন শট নিতে
অবশেষে বউয়ের থুক্কু বইয়ের ঘোমটা খোলা হইল
তাহার পর লেখক মহাশয়ের অটোগ্রাফ প্রদান ও ফটোগ্রাফ সেশনে আবির্ভাব
এই পরিবারটির পরিচয় না দিলেও চলে। এদের চেনে না, ব্লগে এমন কে আছে? স্বয়ং আরিল এবং তার পরিবার
দুই একজনের রিকোয়েস্টে শাটার ক্লিক
এক ফাঁকে গিয়েছিলাম উন্মাদের স্টলে। সেখানে দেখা গেল উন্মাদীয় স্টাইলে বইয়ের বিক্রি-বাট্টা। দোকানের মালিক কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব বাইরে আর সব কাস্টমার দোকানের ভেতরে!
এরপর আবার যথারীতি নজরুল মঞ্চ ছেড়ে পুরোনো আড্ডায় ফেরত।
সেখানে গান শোনালেন একজন ব্লগার
এবং রাত নটায় মেলা সাঙ্গ হবার আগ পর্যন্ত চলছিল বিচারের দাবী
এখন পর্যন্ত আমার হিসাব হলো-
* পোস্ট করেছেন: ১০০টি
* মন্তব্য করেছেন: ১০৬৩টি
* মন্তব্য পেয়েছেন: ১৯১৮টি
* ব্লগ লিখেছেন: ১ বছর ১১ মাস
* ব্লগটি মোট ৩৮৪৪২ বার দেখা হয়েছে।
আর মডারেটর মাহশয়কে জিজ্ঞেস করা লাগে না- তিনি অনায়াসে এখন পর্যন্ত বলছেন- "আপনি একজন নিরাপদ ব্লগার
আপনার লেখা সরাসরি সংকলিত পাতায় প্রকাশিত হবে। "
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।