যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
এশিয়া মহাদেশে স্পষ্টভাবে তিনটা মহাদেশ রয়েছে। আফ্রিকা, আমেরিকা, ইউরোপ বা অস্ট্রেলিয়া যেমন একটা কমন-আইডেন্টটি ধারণ করে, এশিয়ার মানুষ তেমন করে না। "উই আর এশিয়ান" এমন গর্বিত উচ্চারণ শোনা যায় না এশিয়ানদের মধ্যে ইউরোপিয়ান বা আফ্রিকানদের মত।
এর প্রধান কারণ এশিয়ায় আরব, আরিয়ান ও মঙ্গোলিয়ড তিনটি স্পষ্ট বলয় রয়েছে। মুলত পৃথিবীর সর্ববৃহৎ স্থলভাগ জুরে এশিয়া সেই অর্থে কোন মহাদেশীয় রাজনীতি, সংস্কৃতি ও অর্থনীতির ঐক্য গড়ে তুলতে পারে নি।
পৃথিবীর অন্য মহাদেশগুলোর মধ্যে এশিয়া একমাত্র মহাদেশ যাদের বৈশ্বিক ভূমিকায় মহাদেশীয় স্বার্থ দেখা হয় না। ক্লাইমেট চেঞ্জ থেকে শুরু করে জ্বালানী তেল সব ইস্যুতে এশিয়ার দেশগুলো একই মহাদেশের কো-কান্ট্রি হিসাবে আচরণ করে না।
এ অবস্থায় এশিয়াকে তিনটা আলাদা মহাদেশ বিভক্ত করা উচিত। আরবভাষী অঞ্চল, ইজরায়েল, তুরস্ককে নিয়ে আরব মহাদেশ। ইরান থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত দেশগুলোকে নিয়ে হিন্দ/সিন্দস্থান মহাদেশ।
সিন্দ অববাহিকায় এই অঞ্চলের মানুষের প্রথম সভ্যতা গড়ে তোলার নিদর্শন সরূপ। এবং এশিয়ার বাকী অংশটা থাকবে এশিয়া নামেই, জাপান, চীন থেকে বার্মা পর্যন্ত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।