একাকী নিরালায় কত কথা
ফাগুনের প্রথম দিনটা যে এমন যাবে তা বোধ হয় ভাবিনি। বিপদ যখন আসে তখন চারিদিক থেকে পিপড়ার মত জেকে বসে। ঘুম থেকে উঠলাম বেলা ১১ টায়..............অতপর আবিস্কার করলাম ইলেকট্রিসিটি নেই। সেই কারণে বাথরুমে এক ফোটা পানিও নেই।
এ কেমন বসন্ত! এ কেমন ফাগুন।
ফাগুনের আগুনে পুড়ে খা খা করছে আমাদের হল। কোথাও একফোটা পানি নেই। মরুভুমিতে কাটাতে লাগলাম বসন্তের প্রথম প্রহর..............
অতৎপর মোবাইলে বাসী মুখে শুভেচ্ছা বিনিময় চলল বেলা ১টা নাগাদ।
আর পারি না। আর কতক্ষণ পারা যায়।
সহ্যের একটা সীমা থাকে ? যাই হোক কোনমতে বের হলাম ক্যাম্পাসে। মধুর ক্যান্টিনে যেয়ে দেখি ভাই ব্রাদার কেউ নাই। ফোন করে আসলাম জিরোতে। ডিপার্টমেন্টের সবাই মিলে এক সাথে লাঞ্চ করলাম। বসন্তে বাসন্তী রঙের খিচুরি দিয়ে।
ওমা টি এস সি তে যেয়ে দেখি চারিদিকে সুন্দরী ললনারা শাড়ি পড়ে সেজে গুজে । কেউবা খোপায় বেধেছে ফুলের মালা। কেউ আবার বিচিত্র রঙে রাঙিয়েছে নিজেকে। যেদিকে তাকাই সেদিকেই সুন্দরীদের ভীড়। এভাবে মরূভূমিতে একফোটা পানির আশায় দিন পার করলাম।
কোথাও কিছুই মিলল না। কেউ বুঝল না আমাদের মনের দুঃখটা।
কী আর করার দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে চলে আসলাম হলে । বন্ধুরা যারা এখনো জীবনে পেড্রমের দেখা পাইনি। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম।
যাহয় হবে একটি রিস্ক নিয়েই নিই। আগামী বার আর একা থাকবো না। নিশ্টয়ই সাথে কেউ না কেউ জুটে যাবে। সে ভবিষ্যতের কথা। আফ্রেদিতি জানে তিনি কি লিখেছের কপালে।
আবারও গোদের ইপর বিষ ফোড়ার মত এসেছে বিশ্ব ভালবাসা দিবস। এত জ্বালা নিশ্চয় কোন ব্যাক্তিই সহ্য করতে পারা কথা নয়। আমরাও পারবো না। তাই আজ সকালে কেউই রুম থেকে বের হব না। সারারাত আড্ডা দিয়ে , ব্লগে বসে এখন ফজরের আযান দিচ্ছে।
ঘুমানোও উচিত।
তো ভাই আপনারা ভালো থাকেন। সারা দিন প্রিয়জনের সাথে মূহুর্তগুলো ভাগাভাগি করে নেন। ফাগুনের রঙে রাঙা হোক ভালবাসা দিবনের প্রতিটি ক্ষণ এই কামনা করি।
বাবা বলেছিল দেখিস একদিন আমরাও.........................?
হয়ত একদিন আমরাও.............................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।