আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
পহেলা ফাল্গুন ১৪১৫ সাল। ব্লগার কবি সাজি আপুর কবিতার বইয়ের মোড়ক উম্মোচন। সাজি আপুর অগনিত ফ্যানের মাঝে আমিও একজন। এই ব্লগে আমার রেজিস্ট্রেশন করার কয়েক ঘণ্টা আগেই সাজি আপু রেজিস্ট্রেশন করেন। আপু একবার বলেছিলেন আমি আর আপু হচ্ছি ব্লগার টুইন।
সেই সাজি আপুর বইয়ের মোড়ক উম্মোচনের উদ্দেশ্যেই প্রথম কোন ব্লগার মিলন মেলায় যাওয়া হল।
আজ বিকেলে খুব ভীড় থাকার কথা মেলায়। ভাবছিলাম জাগৃতির স্টল খুজতে সমস্যা হবে হয়ত, কিন্তু তা হল না। বইমেলায় ঢুকলেই দেখা গেল জাগৃতির স্টল। গিয়ে দেখি স্টলের কাছে পরিচিত কোন মুখ নেই।
জাগৃতিতে গিয়ে প্রথমেই কিনলাম সাজি আপুর বইটা। বই কিনে দেখি সামনে থেকে লম্বা একটা মেয়ে চলে গেল। চিনলাম ইনিই শিরোনামহীন। একে একে ফুটে উঠল কিছু আড্ডারত কিছু পরিচিত মুখ। তাদের কারো সাথেই বাস্তবে কখনও দেখা হয় নি।
অথচ বিজ্ঞানের কল্যানে অনেককেই চিনলাম। প্রথমেই সাজি আপুর কাছে পরিচয় দিলাম। আপু মিনি চিৎকার দিয়ে ডেকে উঠলেন। নিজেই অন্য ব্লগারদের ডেকে পরিচয় করিয়ে দিলেন বিবর্তনবাদীকে। নিজেই পরিচিত হলাম মুকুল ভাইয়ের সাথে।
একে একে পরিচয় হল সামী মিয়াদাদ, শামীম (উকিল সাব), কালপুরুষ, তারার হাসি, আইরিন সুলতানা, শিরোনামহীন, ছন্নছাড়ার পেন্সিল, অহেতুক অকারণ, কৌশিক, বাবুয়া, সাইফুর (কাছিম ভাই), জামাল ভাস্কর সহ আরো অনেকের সাথে। সাজি আপু নিজেই পরিচয় করিয়ে দিলেন লালদরজা ভাইয়ের সাথে। বাবুয়াদা কার্ড দিলেন তার অফিসের।
হালকা ফটোসেশন হয়ে গেল ইতিমধ্যে। শিরোনামহীনকে দেখলাম এটিএনবাংলায় তার মূল্যবান মন্তব্য (যদিও সেই মন্তব্য মুছে ফেলার কোন অপশন ছিল না) দিতে।
এরপরই মোড়ক উম্মোচনের পালা। সবাই উপরে উঠে গেলাম। প্রথম বক্তব্য দিলেন কৌশিক, এরপর সামনে এলেন লালদরজা, ডাকা হল কালপুরুষকেও। উম্মোচিত হল সাজি আপুর বইয়ের মোড়ক। উম্মোচনের সাথে সাথেই শামিম চকলেটের প্যাকেট নিয়ে এগিয়ে এল।
একে একে সবাই চকলেট পাচ্ছিল। আমি দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। প্যাকেট ধিরে ধিরে পাতলা হচ্ছিল তাই নিজেই হাত বাড়িয়ে চকলেট নিয়ে নিলাম। সময় মত উপস্থিত হবার এটাই ফায়দা। অনেকেই শুনলাম পরে গিয়ে চকলেট মিস করেছেন।
এরপর আমরা সবাই গেলাম বর্ধমান হাউসের দিকে, সেখানে খুব সম্ভবত সাজি আপুর চ্যানেল আইতে কথা বলার ছিল। সেখানে দেখা হল নাজনিন খলিলের সাথে। এদিকে আমাদের ভাইয়া সেই কানাডা হতে আপুর জন্য ফুল পাঠিয়েছেন। আপুতো মহা খুশি। মিনি ফটোসেশন হল সেখানেও।
এরপর সাজি আপুকে তার বই এগিয়ে দিলাম অটোগ্রাফের জন্য। আপু বলে বই কিনে নাকি ঠিক করি নাই। উনিই গিফট করতেন। এই প্রথম আমি কবিতার বই কিনলাম সেই সাথে কবির অটোগ্রাফ নিলাম।
অনেকেই জিজ্ঞাসা করলেন আমার দাড়ির কথা (প্রোফাইল ফটোর)।
কে একজন আগের প্রোফাইল ফটোটার কথা মনে করলেন, সেই বানরমুখো ডারউইনের। মজা লাগছিল এই যে কেউ কারো আসল নামের প্রতি আগ্রহী নন। আমাকে কেউ আসল নাম জিজ্ঞাসা করেননি এমনকি আমিও না। শিরোনামহীন বলছিল আমি "শিরোনামহীন", সাজি আপু হেলাল ভাইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে বললেন ও "লালদরজা"। এক সুদর্শন ব্যক্তির নাম জানলাম "ছন্নছাড়ার পেন্সিল"।
আমি নিজে সবাইকে বলছিলাম, "আমি বিবর্তনবাদী"। কেউ "অহেতুক অকারন", কেউ "তারার হাসি"। মেলায় বসে এই অদ্ভুত ব্যাপারটা মাথা আসেনি। ফিরবার পথে খুবই হাসিই লাগছিল, এই জন্য যে "আমি কারো নামই জিজ্ঞাসা করি নাই"।
অবশেষে মেলা হতে বের হয়ে গেলাম বিদায় নিয়ে সবার কাছ থেকে।
আশা করি ব্লগারদের সাথে দেখা হবে আবারো, তাড়াতাড়িই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।