মাত্র ১০ হাজার টাকার জন্য ঘর ভেঙ্গে গেল কাকনবিবির একমাত্র মেয়ে সকিনা বিবির
৭১ এর রণাঙ্গনের অকুতভয় বীরমুক্তিযোদ্ধা কাকন বিবি মাত্র ১০ হাজার টাকার জন্য জগত সংসারে পরাজিত। ভেঙ্গে গেল বীর মুক্তিযোদ্ধা কাকন বিবির একমাত্র মেয়ে সকিনা বিবির ঘর । সকিনার পাষন্ড স্বামী শুধু স্ত্রীকেই তালাক দিয়ে ান্ত হয়নি রাতের আধাঁরে কাকন বিবির ঘরবাড়ির আসবাবপত্র সহ টাকা পয়সা জোর করে নিয়ে যায়। গতকাল সুনামগঞ্জে সাংবাদিকদের কাছে কান্না জড়িত কন্ঠে এঅভিযোগ করে বলেন, তার মেয়ের সাবেক স্বামীর জন্য তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। তিনি জানান, মাস দেড়েক আগে তার চিকিৎসার জন্য জাতীয় সমাজ কল্যান পরিষদ তাকে ১০ হাজার অনুদান পাঠায়।
টাকা পাঠানোর খবর তার মেয়ের জামাই রফিকের কানে পৌঁছালে সে এই টাকা কাকন বিবির কাছে ব্যবসা করবে বলে টাকা গুলো দেওয়ার জন্য বলে। এতে কাকন বিবি ও তার মেয়ে রাজি হননি। এর পর থেকেই অনুদানের টাকার জন্য মারধোর করে কাকন বিবি ও তার স্ত্রী সকিনা বিবিকে। এতেও কাজ না হওয়ায় এক পর্যায়ে কাকন বিবির মেয়ে কে তালাক দেয় পাষন্ড স্বামী রফিক। এ ঘটনা দোয়ারাবাজার থানা কে অবহিত করা হলে থানার দারোগা আহাদ সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পান এবং কাকন বিবির সু-চিকিৎসার ব্যবস্থ করেন।
থানা পুলিশ ঘটনা জানার পর থেকেই রফিক ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে কাকন বিবি ও তার মেয়ের উপর। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে রফিক, ফারুক, মজুল হকসহ স্থানীয় কয়েকজন দোয়ারাবাজার উপজেলার জিরারগাঁওস্থ কাকন বিবির বসত ঘরে হামলা চালিয়ে আসবাব পত্র লুটপাট করে এবং ভিটামাটি উচ্ছেদ করবে বলে তাকে হুমকি দেয়। কাকন বিবি কান্নাজিড়ত কন্ঠে বলেন, যে দেশের জন্য যোদ্ধা করলাম পাকিস্থানী হানাদার কর্তৃক নির্যাতিত হলাম, আজ স্বাধীন দেশে নির্যাতিত হয়ে বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে।
স্বাধীনতার ৩৭ বছর পরও তিনবেলা অন্ন আর ন্যুনতম জীবন যাপনের ভাগ্য হয়নি তাঁর। খেয়ে না খেয়ে, অর্ধাহারে নানাবিধ রোগ বালাই নিয়ে বিনা চিকিৎসায় মানবেতর জীবন পার করছেন একাত্তরের বীরাঙ্গনা কাকন বিবি।
জীবনের এই শেষ মুহুর্তে এসে ধন নয়, সম্পদ নয় বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে দেয়া বীরপ্রতীক উপাধির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চান তিনি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কাকন বিবি। সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার লীপুর ইউনিয়নের ঝিরাগাঁও গ্রামে বর্তমানে বসবাস করছেন। কাকন বিবি মূলত খাসিয়া স¤প্রদায়ের লোক। তার মূল বাড়ি ছিল ভারতের খাসিয়া পাহাড়ের পাদদেশে।
১৯৭০ সালে তার বিয়ে হয় দিরাই উপজেলার জনৈক শহীদ আলীর সাথে। তখন তাঁর নাম হয় নুরজাহান বেগম। ১৯৭১ সালের ১৬ মার্চ তার এক কন্যা সন্তান জন্ম হয়। কন্যা সন্তান জন্ম দেবার কারণে স্বামী শহিদ আলীর সঙ্গে তার মনোমালিন্য দেখা দেয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে মৌখিক ছাড়াছাড়ি হয়।
পরবর্তীতে এপ্রিল মাসে ইপিআর সৈনিক মজিদ খাঁনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। অই সৈনিকটি তখন সিলেট ইপিআর ক্যাম্পে চাকরিরত ছিল। স্বামীর সাথে ২ মাস সিলেটে অবস্থানের পর কাকন বিবি তার পূর্বের স্বামীর বাড়ি থেকে মেয়ে সখিনাকে আনতে যায়। মেয়েকে নিয়ে সিলেট আসার পর স্বামী মজিদ খাঁন কে আর খুঁজে পায়নি। সেখানে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে তার স্বামীকে দোয়ারাবাজার সীমান্ত এলাকার কোন এক ক্যাম্পে বদলী করা হয়েছে।
স্বামীর খুঁজে তিনি সিলেট থেকে দোয়ারাবাজার সীমান্তে যান। তখন ছিল জুন মাস। পাকবাহিনীর সঙ্গে বাঙ্গালীর যুদ্ধ চলছিল। শিশুকণ্যা সখিনাকে সীমান্তবর্তী ঝিরাগাও গ্রামে জনৈক শাহীদ আলীর আশ্রয়ে রেখে দোয়ারাবাজারের টেংরাটিলা ক্যাম্পে তিনি স্বামীকে খুজে যান, কিন্তু পাননি। তখন তার ছিল টগবগে যৌবন।
নরপিশাচ পাকবাহিনী তাকে আটক করে তাদের ব্যাঙ্কারে নিয়ে যায়। তাকে ব্যাঙ্কারে রেখে নির্যাতন করে কয়েকদিন পর ছেড়ে দেয়। নির্যাতিতা কাকন বিবি স্বামীর আশা বাদ দিয়ে প্রতিশোধপরায়ন হয়ে ওঠেন।
জুলাই মাসে তিনি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন দেখা হয় মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলীর সঙ্গে।
রহমত আলী তাকে লেফট্যানেন্ট কর্ণেল মীর শওকত এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। মীর শওকত তাকে গুপ্তচরের দায়িত্ব দেন। কাকন বিবি সাহসিকতার সাথে গুপ্তচরের কাজ করতে থাকেন।
গুপ্তচরের কাজ করতে গিয়ে বাংলাবাজারে তিনি পাকবাহিনীর হাতে ধরা পড়লে তারা তাঁকে একনাগাড়ে ৭ দিন বিবস্ত্র করে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। লোহার রড গরম করে তার বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে ১২/১৩টি ছ্যাক দেয়।
তাকে অজ্ঞান অবস্থায় মৃত ভেবে পাঞ্জাবিরা ফেলে রেখে যায়। সাতদিন পর তার জ্ঞান ফিরে এলে মুমুর্ষ অবস্থায় তাঁকে বালাট নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। চিকিৎসা শেষে পুনরায় তিনি বাংলাবাজারে আসেন। সেখানে তিনি মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলীর কাছে অস্ত্র চালনায় প্রশিণ নেন। রহমত আলীর দলে সদস্য হয়ে অস্ত্র সহকারে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন।
১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে টেংরাটিলায় পাকসেনাদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে লিপ্ত হন। সেই যুদ্ধে কয়েকটি গুলি তার শরীরে বিদ্ধ হয়। উড়–তে কয়েকটি গুলির ত দাগ এখনও আছে। টেংরাটিলা যুদ্ধের পর আমবাড়ি, বাংলাবাজার, টেবলাই, বালিউরা, মহব্বতপুর, বেতুরা, দূর্বিনটিলা, আধারটিলা সহ প্রায় ৯টি সম্মুখযুদ্ধে তিনি অস্ত্র সহকারে যুদ্ধ করেন। আমবাড়ি বাজার যুদ্ধে তার পায়ে গুলি লাগে।
সেই গুলির চিহ্ন আজো বয়ে বেড়াচ্ছেন।
নভেম্বর মাসের শেষ দিকে তিনি রহমত আলী সহ আরো কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে জাউয়া ব্রীজ অপারেশনে যান। ব্রীজ অপারেশনে তারা সফল হন। এভাবেই যুদ্ধে যুদ্ধে দেশ স্বাধীন হয়ে যায়।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কাকন বিবি দোয়ারা বাজার উপজেলার লীপুর ইউনিয়নের ঝিরাগাঁও গ্রামে জনৈক এক ব্যক্তির কুড়েঘরের বারান্দায় মেয়ে সখিনা সহ আশ্রয় নেন।
৭১-এর এই যোদ্ধা স্বাধীনতার পর লোকচুর সম্পুর্ণ অন্তরালে ছিলেন বহুদিন। ১৯৯৬ সালে এই গ্রন্থের সম্পাদক সাংবাদিক রনেন্দ্র তালুকদার পিংকু তাকে ভিারত অবস্তায় আবিস্কার করেন। কাকন বিবির দুরবস্থা সংবাদের পাতায় নিয়ে আসার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাকন বিবিকে এক একর খাস ভূমি প্রদান করেন এবং তাঁকে বীরপ্রতীক উপাধি দেন। এরপর সিলেটের মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান কাকন বিবিকে ঐ জায়গার উপর একটি ছোট কুড়ে ঘর নির্মাণ করে দেন। পরবর্তীতে দৈনিক জনকন্ঠ কাকন বিবিকে প্রতি মাসে ৫হাজার টাকা করে অনুদান দেয়।
কয়েক বছর ভালই কেটে ছিল তাঁর। হঠাৎ করে ২০০৭ সালের প্রথম দিকে জনকন্ঠ কাকন বিবির ভাতা বন্ধ করে দেয়। পুনরায় শুরু হয় দুর্বিষহ জীবন।
স্বাধীনতার ৩৭ বছর পরও তিনবেলা অন্ন আর ন্যুনতম জীবন যাপনের ভাগ্য হয়নি তাঁর। খেয়ে না খেয়ে, অর্ধাহারে নানাবিধ রোগ বালাই নিয়ে বিনা চিকিৎসায় মানবেতর জীবন পার করছেন একাত্তরের বীরাঙ্গনা কাকন বিবি।
জীবনের এই শেষ মুহুর্তে এসে ধন নয়, সম্পদ নয় বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে দেয়া বীরপ্রতিক উপাধির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চান তিনি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কাকন বিবি। সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার লীপুর ইউনিয়নের ঝিরাগাঁও গ্রামে বর্তমানে বসবাস করছেন। কাকন বিবি মূলত খাসিয়া স¤প্রদায়ের লোক। তার মূল বাড়ি ছিল ভারতের খাসিয়া পাহাড়ের পাদদেশে।
১৯৭০ সালে তার বিয়ে হয় দিরাই উপজেলার জনৈক শহীদ আলীর সাথে। তখন তাঁর নাম হয় নুরজাহান বেগম। ১৯৭১ সালের ১৬ মার্চ তার এক কন্যা সন্তান জন্ম হয়। কন্যা সন্তান জন্ম দেবার কারণে স্বামী শহিদ আলীর সঙ্গে তার মনোমালিন্য দেখা দেয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে মৌখিক ছাড়াছাড়ি হয়।
পরবর্তীতে এপ্রিল মাসে ইপিআর সৈনিক মজিদ খাঁনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। অই সৈনিকটি তখন সিলেট ইপিআর ক্যাম্পে চাকরিরত ছিল। স্বামীর সাথে ২ মাস সিলেটে অবস্থানের পর কাকন বিবি তার পূর্বের স্বামীর বাড়ি থেকে মেয়ে সখিনাকে আনতে যায়। মেয়েকে নিয়ে সিলেট আসার পর স্বামী মজিদ খাঁন কে আর খুঁজে পায়নি। সেখানে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে তার স্বামীকে দোয়ারাবাজার সীমান্ত এলাকার কোন এক ক্যাম্পে বদলী করা হয়েছে।
স্বামীর খুঁজে তিনি সিলেট থেকে দোয়ারাবাজার সীমান্তে যান। তখন ছিল জুন মাস। পাকবাহিনীর সঙ্গে বাঙ্গালীর যুদ্ধ চলছিল। শিশুকণ্যা সখিনাকে সীমান্তবর্তী ঝিরাগাও গ্রামে জনৈক শাহীদ আলীর আশ্রয়ে রেখে দোয়ারাবাজারের টেংরাটিলা ক্যাম্পে তিনি স্বামীকে খুজে যান, কিন্তু পাননি। তখন তার ছিল টগবগে যৌবন।
নরপিশাচ পাকবাহিনী তাকে আটক করে তাদের ব্যাঙ্কারে নিয়ে যায়। তাকে ব্যাঙ্কারে রেখে নির্যাতন করে কয়েকদিন পর ছেড়ে দেয়। নির্যাতিতা কাকন বিবি স্বামীর আশা বাদ দিয়ে প্রতিশোধপরায়ন হয়ে ওঠেন।
জুলাই মাসে তিনি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন দেখা হয় মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলীর সঙ্গে।
রহমত আলী তাকে লেফট্যানেন্ট কর্ণেল মীর শওকত এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। মীর শওকত তাকে গুপ্তচরের দায়িত্ব দেন। কাকন বিবি সাহসিকতার সাথে গুপ্তচরের কাজ করতে থাকেন।
গুপ্তচরের কাজ করতে গিয়ে বাংলাবাজারে তিনি পাকবাহিনীর হাতে ধরা পড়লে তারা তাঁকে একনাগাড়ে ৭ দিন বিবস্ত্র করে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। লোহার রড গরম করে তার বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে ১২/১৩টি ছ্যাক দেয়।
তাকে অজ্ঞান অবস্থায় মৃত ভেবে পাঞ্জাবিরা ফেলে রেখে যায়। সাতদিন পর তার জ্ঞান ফিরে এলে মুমুর্ষ অবস্থায় তাঁকে বালাট নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। চিকিৎসা শেষে পুনরায় তিনি বাংলাবাজারে আসেন। সেখানে তিনি মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলীর কাছে অস্ত্র চালনায় প্রশিণ নেন। রহমত আলীর দলে সদস্য হয়ে অস্ত্র সহকারে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন।
১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে টেংরাটিলায় পাকসেনাদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে লিপ্ত হন। সেই যুদ্ধে কয়েকটি গুলি তার শরীরে বিদ্ধ হয়। উড়–তে কয়েকটি গুলির ত দাগ এখনও আছে। টেংরাটিলা যুদ্ধের পর আমবাড়ি, বাংলাবাজার, টেবলাই, বালিউরা, মহব্বতপুর, বেতুরা, দূর্বিনটিলা, আধারটিলা সহ প্রায় ৯টি সম্মুখযুদ্ধে তিনি অস্ত্র সহকারে যুদ্ধ করেন। আমবাড়ি বাজার যুদ্ধে তার পায়ে গুলি লাগে।
সেই গুলির চিহ্ন আজো বয়ে বেড়াচ্ছেন।
নভেম্বর মাসের শেষ দিকে তিনি রহমত আলী সহ আরো কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে জাউয়া ব্রীজ অপারেশনে যান। ব্রীজ অপারেশনে তারা সফল হন। এভাবেই যুদ্ধে যুদ্ধে দেশ স্বাধীন হয়ে যায়।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কাকন বিবি দোয়ারা বাজার উপজেলার লীপুর ইউনিয়নের ঝিরাগাঁও গ্রামে জনৈক এক ব্যক্তির কুড়েঘরের বারান্দায় মেয়ে সখিনা সহ আশ্রয় নেন।
৭১-এর এই যোদ্ধা স্বাধীনতার পর লোকচুর সম্পুর্ণ অন্তরালে ছিলেন বহুদিন। ১৯৯৬ সালে সাংবাদিক রনেন্দ্র তালুকদার পিংকু তাকে ভিারত অবস্থায় আবিস্কার করেন। কাকন বিবির দুরবস্থা সংবাদের পাতায় নিয়ে আসার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাকন বিবিকে এক একর খাস ভূমি প্রদান করেন এবং তাঁকে বীরপ্রতিক উপাধি দেন। এরপর সিলেটের মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান কাকন বিবিকে ঐ জায়গার উপর একটি ছোট কুড়ে ঘর নির্মাণ করে দেন। পরবর্তীতে দৈনিক জনকন্ঠ কাকন বিবিকে প্রতি মাসে ৫হাজার টাকা করে অনুদান দেয়।
কয়েক বছর ভালই কেটে ছিল তাঁর। হঠাৎ করে ২০০৭ সালের প্রথম দিকে জনকন্ঠ কাকন বিবির ভাতা বন্ধ করে দেয়। পুনরায় শুরু হয় দুর্বিষহ জীবন।
উল্লেখ্য, কাকন বিবি বর্তমানে যে বসত ভিটায় বসবাস করছেন তা গত আ’লীগ সরকারের আমলে সরসরি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন থেকে ভূমি দান করা হয়েছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।